Loading AI tools
ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রিচা গঙ্গোপাধ্যায় (জন্ম নামঃ অন্তরা রিচা গঙ্গোপাধ্যায়, জন্মঃ ২০ মার্চ ১৯৮৬)[2] একজন প্রাক্তন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল। বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজের পর, ২০১০ সালে তেলুগু রাজনৈতিক সিনেমা “লিডার” –এ অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে তার অভিনয় শুরু করার পর থেকে তিনি অনেক বাণিজ্যিকভাবে সফল তেলুগু সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যেমনঃ “মিরাপাক্কায়” এবং “মির্চী”। ২০১১ সালে তিনি প্রথমবারের মত তামিল সিনেমায় অভিনয় করেন, “মায়াক্কাম এন্না”, এই সিনেমায় তার অভিনয় অনেক ইতিবাচক মতামত অর্জন করে।
রিচা গঙ্গোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | অন্তরা রিচা গঙ্গোপাধ্যায় মার্চ ২০, ১৯৮৬ |
পেশা | চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, মডেল |
কর্মজীবন | ২০০৯-বর্তমান |
উচ্চতা | ৫ ফু ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মি)[1] |
রিচা গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৮৬ সালের ২০ মার্চ একটি বাঙালী পরিবারে জমগ্রহণ করেন। তিনি দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন, তার মা পাওলা গঙ্গোপাধ্যায় এবং বাবা উৎপল।[3] তার বাবা নেটশেপ টেকনোলজিসে সহ-সভাপতি হিসেবে এবং তার মা ডেট্রয়েটের দ্য হেনরী ফর্ড যাদুঘরে পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তার পরিবার তামিল নাডুর কোয়েম্বাটুরে বসবাসরত ছিল। তার প্রথম বছর বসবাসের পর থেকে ১৯৮৯ সাল থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত। রিচা পেন্নিসিলভানিয়া এবং মিশিগানে বেড়ে উঠেন। যখন তিনি জুনিয়র ছাত্রী হিসেবে ওকেমস উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন, তখনই তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমে লানসিং এ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য এটি তরুণ শিক্ষা কার্যক্রমে তার কর্মকাণ্ড সকলের নজরে আসে। এই কার্যক্রমটি তিনি চার বছর পরিচালনা করেন।[4] তিনি মিশিগানের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য প্রশাসন নিয়ে পড়াশোনা করেন।[5]
২০০৫ এবং ২০০৬ সালে, রিচা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং মিস ইন্ডিয়া ইউএসএ প্রতিযোগিতায় প্রথম দশে স্থান করে প্রতিযোগিতা সমাপ্ত করেন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি একটি ক্ষুদ্রতর পুরস্কার জেতেন, মিস কঞ্জেনিয়ালিটি।[6] ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে, রিচা মিশিগান সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা এবং ডিসেম্বরে, তিনি নিউ জার্সির রয়্যাল আলবার্ট’স প্রাসাদে অনুষ্ঠিত ২৬ তম বার্ষিক প্রতিযোগিতায় “মিস ইন্ডিয়া ইউএসএ” ২০০৭ এর মুকুট জেতেন।[7] প্রতিযোগিতা চলাকালে, মিস ফটোজেনিক টাইটেল জেতেন এবং জোহান্সবার্গে অনুষ্ঠিত ১৭ তম বার্ষিক বিশ্বব্যাপী মিস ইন্ডিয়া ইউএসএ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন।[8]
রিচা ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে চলে আসেন, সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার ক্যারিয়ারের উন্ননয়নের জন্য। তিনি একধারে অনুপম খেরের অভিনয় বিদ্যালয় থেকে অভিনয়ের উপর ডিপ্লোমাসহ স্নাতক, অভিনেত্রী প্রস্তুতি এবং তার পোর্টফোলিও সম্পন্ন করেন। এবং একটি ফ্যাশন শোতে তিনি কাজ করার প্রস্তাব পান। ২০০৯ সালের প্রথমদিকে, রিচা বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা’র পাশাপাশি ভাটিকা আমোন্ড হেয়ার অয়েলের একটি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। একইসাথে তখন তিনি পিটার ইংল্যান্ড, মালাবার গোল্ড এবং কালানিকেতনের মডেল হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন।[9]
রিচা ২০১০ সালে লিডার নামে একটি তেলুগু সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন, যার নির্মাতা ছিল এভিএম প্রোডাকশন এবং পরিচালক শেখর কাম্মুলা।[10] রিচা তার জন্মদিনে হায়দ্রাবাদ যান এবং সিনেমার অডিশনে যোগ দেন। তিনি ঐ অডিশনে তৎক্ষণাৎ নির্বাচিত হন এবং তার দুইদিন পরেই শুটিং শুরু হয়।[11] ছবিতে, তিনি অর্চনা নামের একটি চরিত্র অভিনয় করেন, যে কিনা একজন টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধি এবং প্রধান চরিত্রের প্রেমে পড়া একজন রাজনীতিবিদ রানা দাজ্ঞুবাতির কন্যা। এই সিনেমাটি অনেক ইতিবাচক রিভিউ অর্জনের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। এই সিনেমায় রিচার অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা "pretty and charming" এবং "good in a performance oriented role" হিসেবে বর্ণিত হয়। এই সিনেমার সফলতার পর, পরিচালক পি.বাসু “নাগাভালী” সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তার সাথে চুক্তি করেন, এই সিনেমাটি ২০০৫ সালে “চন্দমুখী” সিনেমার পর্যায়ক্রমিক সিনেমা।[12][13] এই সিনেমায় অভনিওয় করেন ভেঙ্কাটেশ, আনুশ্কা শেটি, শ্রদ্ধা দাস এবং পুনম কর। এই সিনেমা নির্মাণ চলাকালে, ভাসুর উৎসাহ কমে যেতে থাকে, যা রিচাকে এই সিনেমার প্রকল্প থেকে বাদ পড়ার হাত থেকে বাঁচায়। এই সিনেমাটিও বিভিন্ন ধরনের রিভিউ অর্জন করে। রিচা এই সিনেমায় নাগাভালীর আত্মা দ্বারা মানসিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনয় সম্পর্কে সমালোচকরা "impressive" এবং "convincing" দ্বারা অভিহিত করেন।[14][15]
২০১১ সালের তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত আকশনধর্মী সিনেমা হল “মীরাপাক্কাই”, যে সিনেমাতেও রবি তেজা এবং দেকাশ শেঠ প্রধান চরিত্র অভিনয় করেন। তার অভিনীত পূর্বের “লিডার” সিনেমায় তার অভিনয়ের সফলতা দেখে এই ছবির পরিচালক হরিশ শঙ্কর তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি রিচাকে প্রধানত বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভুত দীক্ষা নামের একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেন।[16] কিন্তু যখন তারা সংলাপ দেখার জন্য একত্রিত হন, তখন পরিচালক হরিশ সিদ্ধান্ত নেন যে রিচা “ভিনম্র – একজন চিরাচরিত ব্রাহ্মণ নারী” চরিত্রে অভিনয়ের যোগ্য। সিনেমাটি ইতিবাচক রিভিউ অর্জন করে এবং সমালোচকরা রিচার অভিনয়কে "just about okay" বলে বর্ণনা করে।[17] তারপর রিচাকে পরে আরো দুইটি তামিল সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়; প্রথমটি “মায়াক্কাম এন্না” বিয়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি নাটকীয় সিনেমা, অভিনেতা ধনুশ, পরিচালনা করেন সেলভারাঘাভান, এই ছবিটি অত্যধিক ইতিবাচক রিভিউ এবং প্রশংসা অর্জন করে। তারপর তাকে “শিলাবর্ষন” সিনেমার পাশাপশি ধরনী’র “অস্থি” সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা যায়। যা কিনা, ২০১০ সালের হিন্দি সিনেমা “দাবাং” এর পুনঃনির্মিত সিনেমা। এই সিনেমায় তিনি নেদুভালী চরিত্র অভিনয় করেন, যা সমালোচকদের দ্বারা প্রসংশিত হয়।
২০১২ সালে, ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে “বিক্রম সিংহ : দ্য লায়ন ইজ ব্যাক” তার বাংলা সিনেমায় অভিষেক ঘটে, তার মাতৃভাষা। এই সিনেমাটি তেলুগু সিনেমা ভিকারামারকুডু এর পুনঃনির্মিত ছবি। তিনি তেলুগু সিনেমা “মিরচি” এবং “ভাই” সিনেমাতেও প্রভাশ এবং আক্কিনেনি নাগার্জুনার বিপরীতে অভিনয় করেন যা ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়।[18]
২০১৩ সালে অক্টোবরে, তার ক্ষুদ্র ব্লগিং সাইটে ঘোষণা করেন যে, তিনি আপাতত সিনেমা থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি নেবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ফিরে যাবেন তার স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য।[19][20]
বছর | সিনেমার নাম | চরিত্র | ভাষা | টীকা |
---|---|---|---|---|
২০১০ | লিডার | অর্চনা | তেলুগু | |
২০১০ | নাগাভালী | গৌরী/চন্দমুখী | তেলুগু | |
২০১১ | মীরাপাক্কাই | ভিনম্র | তেলুগু | TSR-TV9 জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার – বিশেষ জুরি পুরস্কার [21] |
২০১১ | মায়াক্কাম এন্না | যামিনী | তামিল | এডিসন সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার বিজয় সেরা নবাগতা পুরস্কার SIIMA পুরস্কার – বিশেষ উৎসাহ (অভনেত্রী) মনোনীত—বিজয় সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত—ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রী-তামিল মনোনীত—SIIMA সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত—SIIMA সেরা নবাগতা পুরস্কার |
২০১১ | অস্থি | নেদুভালী | তামিল | সাউথস্পিন ফ্যাশন পুরস্কার- স্টাইলিশ ডিভা [22] |
২০১২ | বিক্রম সিংহ : দ্য লায়ন ইজ ব্যাক | মধু | বাংলা | |
২০১২ | সারোচারু | ভাসুধা | তেলুগু | |
২০১৩ | মির্চি | মানসা | তেলুগু | |
২০১৩ | ভাই | রাধিকা | তেলুগু |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.