পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রস্তাবিত জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রানাঘাট জেলা পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের একটি প্রস্তাবিত জেলা।[১][২] জেলাটি নদীয়া জেলা থেকে রানাঘাট ও কল্যাণী মহকুমাকে পৃথক করে গঠন করা হবে।[৩][৪] জেলার নাম নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।[৫][৬]
রানাঘাট জেলা | |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গের জেলা | |
উপরে থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: রানাঘাট জেলার গ্রামীণ এলাকা, এসডিও অফিস, চূর্ণী নদী সেতু ও টাউন হল | |
সার্বভৌম রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
বিভাগ | প্রেসিডেন্সি |
প্রতিষ্ঠা | ২০২২ |
সদরদপ্তর | রানাঘাট |
সরকার | |
• লোকসভা নির্বাচনী এলাকা | রানাঘাট |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | বাংলা, ইংরেজি |
জনসংখ্যা-বিষয়ক | |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২ সালের ১লা আগস্ট রানাঘাট জেলার ঘোষণা করেছিলেন।[১][৩][৪] বিদ্যমান নদীয়া জেলার থেকে নতুন রানাঘাট জেলা তৈরি করার ঘোষণায় ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষ এবং বুদ্ধিজীবীদের অভিযোগ যে নতুন প্রশাসনিক এলাকা নদীয়ার সাথে যুক্ত তাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য কেড়ে নেবে। নবান্নের সূত্র জানিয়েছে যে সরকার রানাঘাটের পরিবর্তে দক্ষিণ নদীয়া হিসাবে নতুন জেলার নামকরণের সম্ভাবনা বিবেচনা করছে।[৫][৬]
এই জেলায় সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। জেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এছাড়া, জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ও পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
রানাঘাট জেলার প্রধান হাসপাতাল দুটি হল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল ও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালটি ১৭১ টি শয্যা ও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালটি ১৩১ টি শয্যা নিয়ে গঠিত।[৭] এছাড়াও, এই জেলায় ৩০ টি শয্যা বিশিষ্ট ৩ টি গ্রামীণ হাসপাতাল রয়েছে, যথা- বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল, হবিবপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও আড়ংঘাটা গ্রামীণ হাসপাতাল।[৮]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.