রানী মুখার্জী (হিন্দি: रानी मुखर्जी; জন্ম মার্চ ২১, ১৯৭৮) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ২০০০-এর দশকের বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা অভিনেত্রী ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
রানী মুখার্জী | |
---|---|
रानी मुखर्जी | |
জন্ম | মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত | মার্চ ২১, ১৯৭৮
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
শিক্ষা | স্নাতক |
মাতৃশিক্ষায়তন | এসএনডিটি উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৯৬–বর্তমান |
উচ্চতা | ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৬০ মিটার)[১] |
টেলিভিশন | ডান্স প্রিমিয়ার লীগ |
উপাধি | প্রতিভা বিচারক |
মেয়াদ | অক্টোবর ৯, ২০০৯ – ডিসেম্বর ২৬, ২০০৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আদিত্য চোপড়া (বি. ২০১৪) |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | মুখার্জী-সমর্থ পরিবার |
পুরস্কার | সম্পূর্ণ তালিকা |
মুখার্জি-সমর্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও, যেখানে তার বাবা এবং আত্মীয়রা ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সদস্য ছিলেন; সেখানে তিনি জীবিকা হিসেবে চলচ্চিত্রকে বেছে নেয়ার বিষয়ে উচ্চাভিলাষী ছিলেন না। যদিও, ছেলে বেলায়ই তিনি বাবার পরিচালিত বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র বিয়ের ফুল (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে সহ-চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এবং পরবর্তীতে তার মায়ের সনির্বন্ধ অনুরোধে রাজা কি আয়েগি বারাত। (১৯৯৭) সামাজিক নাট্য চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর নিয়মিত হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে শাহরুখ খানের বিপরীতে একটি সহযোগী চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তার কর্মজীবনের এই প্রাথমিক সাফল্যের পর, পরবর্তী তিন বছরের জন্য তার চলচ্চিত্র বক্স অফিসে দুর্বল অবস্থানে ছিল। যশ রাজ ফিল্মসের সাথিয়া (২০০২) নাট্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর, তার কর্মজীবনের সাফল্য আসে।
তিনি তার পিতা রাম মুখার্জী একজন অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক। তার মা কৃষ্ণা মুখার্জী চলচ্চিত্রে গান গাইতেন। তার ভাই রাজা মুখার্জী একজন চিত্র প্রযোজক। তার মাসি হলেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা দেবশ্রী রায়। বলিউড তারকা অভিনেত্রী কাজল তার সম্পর্কিত বোন।তিনি বিখ্যাত পরিচালক প্রযোজক যশ চোপড়া এর বড় ছেলে পরিচালক ও প্রযোজক আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করেন।
কর্মজীবন
তার পরবর্তী দুটি ছবি গুলাম ও কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) ব্যবসাসফল হয়। শেষের ছবিটির জন্য তিনি তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।
এরপর তিনি অনেক ছবি করেন যার অধিকাংশই ব্যবসা সফল হয় নি। তিনি শাদ আলি পরিচালিত সাথিয়া (২০০২) ছবিতে অভিনয় করেন। এই ছবিটি সমালোচক ও সাধারণ দর্শকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
২০০৪ সালে হাম তুম ও যুবা ছবির অভিনয় তাকে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী পুরস্কার পাইয়ে দেয়।[২] বীর-জারা ছবিতে সামাজিক কর্মী হিসেবে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়ে ছিল এবং তিনি মনোনীত হয়েছিলেন।[৩]
২০০৫ সালে তিনি ৪ টি বড় মাপের ছবিতে অভিনয় করেন।[৪] বান্টি অর বাবলি ছবিটি সাফল্য লাভ করে [৫] এবং অন্যান্য ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। ব্ল্যাক ছবিটি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।[৬]
রানী একজন সক্রিয় মঞ্চ অভিনেত্রী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি অনুষ্ঠান করেছেন। টেম্পটেশন ২০০৪ ছিল তার সফলতম কনসার্ট যেটি হয়েছিল শাহরুখ খান, সইফ আলি খান, প্রীতি জিনতা, অর্জুন রামপাল এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কে নিয়ে। মেলবোর্ন ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমস এর সমাপনী অনুষ্ঠানেও তিনি অংশ নেন।
ব্যক্তিগত জীবন
অভিনয় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রানী মুখার্জী বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সাথে যুক্ত থেকেছেন। তার উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনী হচ্ছে টেম্পটেশন ২০০৫ যা তিনি নয়া দিল্লী তে করেছিলেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য অর্থ যোগানের উদ্দেশ্যেই এই শো করা হয়। শাহরুখ খানও প্রিয়াংকা চোপড়াও এসময় তার সাথে অংশগ্রহণ করেছেন।[৭]
বধির ও অন্ধদের সমন্বয়ে গড়া হেলেন কিলার ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে তিনি ২০০৬ সালে তার জন্মদিন পালন করেন। ব্ল্যাক ছবিতে অভিনয়ের সময় তিনি এই ইনস্টিটিউটের সদস্যের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন তাদের ঐকান্তিক সাহায্য ছাড়া ব্ল্যাক ছবিতে তিনি অভিনয় করতে পারতেন না।[৮]
বিভিন্ন সময়ে গোবিন্দ[৯], আমির খান, অভিষেক বচ্চন ও আদিত্য চোপড়ার সাথে তার প্রেম সম্পর্কিত গুজব প্রকাশিত হয়েছে।[১০] যদিও কিছু সময় উভয় পক্ষ থেকে এগুলো স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার সঙ্গেও তার সংঘর্ষ আছে বলে গুজব রটেছে। যদিও উভয় অভিনেত্রী তাদের সম্পর্ককে পেশাদারী বলেছেন।[১১]
২০০৬ সালে তিনি জুহুতে তার নিজের একটি বাড়ী কিনেন। এই বাড়ীর ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী টুইংকেল খান্না যা শেষ হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে।
চলচ্চিত্র তালিকা এবং পুরস্কার
নির্বাচিত চলচ্চিত্র তালিকা
- কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮)
- সাথিয়া (২০০২)
- যুবা (২০০৪)
- হাম তুম (২০০৪)
- বীর-জারা (২০০৪)
- ব্ল্যাক (২০০৫)
- বান্টি অর বাবলি (২০০৫)
- কভি আলবিদা না কেহনা (২০০৬)
- নো ওয়ান কিল জ্যাসিকা (২০১১)
- তালাশ: দি আনসার লাইজ উইদিন (২০১২)
- মর্দানি (২০১৪)
পুরস্কার এবং মনোনয়ন
জনপ্রিয়
- ১৯৯৯, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী পুরস্কার, কুছ কুছ হোতা হ্যায়
- ১৯৯৯, জি সিনে পুরস্কার, লাক্স বছরের মুখ, গুলাম ও কুছ কুছ হোতা হ্যায়
- ১৯৯৯, জি সিনে পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী কুছ কুছ হোতা হ্যায়
- ২০০৩, স্টার পর্দা পুরস্কার বিশেষ জুরি পুরস্কার, সাথিয়া
- ২০০৩, ফিল্মফেয়ার, ফিল্মফেয়ার সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ অভিনয় পুরস্কার, সাথিয়া
- ২০০৩, সানসুই পুরস্কার বছরের শ্রেষ্ঠ অভিনয়, সাথিয়া
- ২০০৩, বলিউড পুরস্কার সবচেয়ে আকর্ষনীয় অভিনেত্রী, সাথিয়া
- ২০০৩, রাজীব গান্ধী পুরস্কার
- ২০০৪, বিবিসি ফিল্ম ক্যাফে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, চলতে চলতে
- ২০০৫, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার, হাম তুম
- ২০০৫, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী পুরস্কার, যুবা
- ২০০৫, জি সিনে পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হাম তুম
- ২০০৫, প্রথম জি.আই.এফ.এ. পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হাম তুম
- ২০০৫, স্টার পর্দা পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হাম তুম
- ২০০৫, স্টার পর্দা পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী, যুবা
- ২০০৫, সিনেগোয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হাম তুম
- ২০০৫, সিনেগোয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী, বীর-জারা
- ২০০৫, আই.আই.এফ.এ. শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার হাম তুম
- ২০০৫, আই.আই.এফ.এ. শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী পুরস্কার বীর-জারা
- ২০০৫, বলিউড পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হাম তুম
- ২০০৫, বলিউড পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী, যুবা
- ২০০৬, রেডিফ চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ব্ল্যাক
- ২০০৬, স্টার পর্দা পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ব্ল্যাক
- ২০০৬, স্টারডাস্ট বছরের সেরা তারকা পুরস্কার - নারী, ব্ল্যাক
- ২০০৬, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার, ব্ল্যাক
- ২০০৬, ফিল্মফেয়ার সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ অভিনয় পুরস্কার, ব্ল্যাক
- ২০০৬, জি সিনে পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ব্ল্যাক
- ২০০৬, বিবিসি ফিল্ম ক্যাফে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ব্ল্যাক
- ২০০৬, আই.আই.এফ.এ. শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার ব্ল্যাক
তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি ফিল্মফেয়ারে একই সাথে একই বছরে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ও শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পান (২০০৫)।
অন্যান্য
- ২০০১, আশীর্বাদ পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হার দিল জো পেয়ার কারেগা
- ২০০৩, আনন্দলোক পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, সাথিয়া
- ২০০৫, স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হাম তুম
- ২০০৫, স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী, বীর-জারা
- ২০০৫, স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড বছরের সেরা জুটি (সাইফ আলি খান ও রানী মুখার্জী) হাম তুম
- ২০০৫, বলিউড ফ্যাশন পুরস্কার, সেলেব্রিটি স্টাইল নারী পুরস্কার
- ২০০৫, আনন্দলোক পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, হাম তুম
- ২০০৫, লায়ন পুরস্কার চলচ্চিত্রে অবদান
- ২০০৬, ২য় সংস্করন পোগো কন্ঠ পুরস্কার সবচেয়ে ভাল অভিনেত্রী, বান্টি অর বাবলি
- ২০০৬, Star Screen পুরস্কার Jodi No. 1 (Abhishek Bachchan and Rani Mukerji) for Bunty Aur Babli
- ২০০৬, 2nd Apsara পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, Black
- ২০০৬, Star's Sabsey Favourite Heroine, Black
- ২০০৬, Idea Zee F পুরস্কারs, Celebrity Model of the Year
Her two movies have been India's entry to the Academy পুরস্কার. Paheli was the official entry for the ২০০৬ Oscars. Hey Ram (2000) was an earlier entry. (See India's official entry).
Black, Paheli, and Veer-Zaara were all part of the final process of nomination selection for the 63rd Annual Golden Globe পুরস্কারs amongst 60 foreign films in ২০০৬. [১২]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.