রাই (ফুটবলার)
ব্রাজিলীয় ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রাই সুজা ভিয়েরা ডি অলিভিয়েরা (জন্ম: ১৫ মে, ১৯৬৫) রিবেইরো প্রেতো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ব্রাজিলের অবসরপ্রাপ্ত ও প্রথিতযশা ফুটবলার। বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে তিনি রাই (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [ʁaˈi]) নামেই সমধিক পরিচিত ফুটবল খেলোয়াড়। ব্রাজিল ফুটবল দলে তিনি আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ছিলেন। জাতীয় দলে তিনি একদশকেরও অধিককাল ফুটবল খেলেছেন। ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ী ব্রাজিল দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
![]() ২০০৯ সালে রাই | |||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রাই সুজা ভিয়েরা ডি অলিভিয়েরা | ||||||||||||||||
জন্ম | ১৫ মে ১৯৬৫ | ||||||||||||||||
জন্ম স্থান | রিবেইরো প্রেতো, ব্রাজিল | ||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৯ মিটার (৬ ফুট ২+১⁄২ ইঞ্চি) | ||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||||||
১৯৮৪-১৯৮৫ | বোতাফোগো-এসপি | ||||||||||||||||
১৯৮৬ | পন্তে প্রেতা | ১০ | (১) | ||||||||||||||
১৯৮৭-১৯৯৩ | সাঁও পাউলো | ১১০ | (২৫) | ||||||||||||||
১৯৯৩-১৯৯৮ | প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন | ১৪৫ | (৫১) | ||||||||||||||
১৯৯৮-১৯৯৯ | সাঁও পাউলো | ১৯ | (১) | ||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||
১৯৮৭-১৯৯৮ | ব্রাজিল | ৫১ | (১৭) | ||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
১৫ বছরের ফুটবল জীবনে তিনি সাঁও পাউলো এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন দলের হয়ে ক্লাব ফুটবলে অংশ নিয়েছেন।[১] এ দুইদলে সম্মিলিতভাবে ১৫টি প্রধান শিরোপা জয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি শতগোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। বিখ্যাত ব্রাজিলীয় ফুটবল তারকা সক্রেটিসের ছোট ভাই হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
১৯৮৭ সালে ব্রাজিলের হয়ে ৫১তম ক্যাপ পরিধান করেন। ঐ বছরই সাঁও পাউলোতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার খেলায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামেন। চিলির বিপক্ষে ০-৪ গোলে হারা খেলাসহ তিনি দুই খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এরফলে তার দল গ্রুপ-পর্ব থেকেই বিদায় নিতে বাধ্য হয়।[২] ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রৌজ কাপে ১৯ মে ১৫ মিনিটের জন্য অংশ নেন ও তার দল ১-১ গোলে ড্র করে।
কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা’র পরিচালনায় ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ব্রাজিল দলের অধিনায়ক মনোনীত হন তিনি। প্রথম খেলায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়ী হয় ব্রাজিল। ঐ খেলায় তিনি পেনাল্টিতে এক গোল করেছিলেন। প্রথম তিন খেলায় রোমারিওকে মাঠে নামানো হলে কোয়ার্টার-ফাইনালে তিনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ১০ মিনিট, সেমি-ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে ৪৫ মিনিট খেলেন। এরফলে তার দল প্রতিযোগিতায় শিরোপা লাভ করেছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
রাইয়ের সহোদর বড় ভাই সক্রেটিস ব্রাজিলের ফুটবলার ছিলেন ও মধ্যমাঠে খেলতেন। তিনিও সাঁও পাউলোর বোতাফিগো ডি সাঁও পাউলো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে ব্রাজিলের পক্ষে দীর্ঘদিন খেলেছেন।[৩][৪] ফুটবল খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর সমাজকর্মী ও ন্যায়বিচারের প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত রয়েছেন রাই।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.