যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ বাংলাদেশে অবস্থিত একটি সামরিক কলেজ। কলেজটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ১৯৬৯ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি অধ্যাপনা এবং পরীক্ষার ফলাফল উচ্চ মানের জন্য বিখ্যাত।[১] যশোর ক্যান্টনমেন্টের দক্ষিণ পূর্ব সীমান্তে, শহরের উপকণ্ঠে আরবপুর রেল ক্রসিং সংলগ্ন প্রায় ২০ একর জমির উপর কলেজটি অবস্থিত।

দ্রুত তথ্য স্থাপিত, ইআইআইএন ...
যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ
Thumb
স্থাপিতজুন, ১৯৬৯
ইআইআইএন১১৬১০৯ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষলেঃ কর্ণেল নুসরাত আল নুর চৌধুরী
শিক্ষার্থী৫,১০৭ জন
অবস্থান
যশোর শহরের কেন্দ্র থেকে ২ কি: মি: উত্তর-পশ্চিমে ক্যান্টনমেন্টের দক্ষিণ-পূর্ব কোনে।

২৪.৫৪৯০০৫° উত্তর ৮৮.৬৪৭৫১২° পূর্ব / 24.549005; 88.647512
শিক্ষাঙ্গন২০ একর
ওয়েবসাইটwww.jcc.edu.bd
Thumb
বন্ধ

ইতিহাস

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর কর্তৃক ১৯৬৯ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যশোর সেনানিবাসের অভ্যন্তরে ১৯৬৯-এর জুনে দাউদ পাবলিক স্কুল এর দুইটি ছোট কক্ষে কলেজটির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন দাউদ পাবলিক স্কুলের শিক্ষক মোজাম্মেল হকের প্রচেষ্টা ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের অনুপ্রেরণায় এটা করা সম্ভব হয়। তখনও কলেজটি দাউদ পাবলিক স্কুল ও কলেজ নামেই পরিচিত ছিল। ১৯৮৩ সালে দাউদ পাবলিক স্কুল থেকে কলেজের ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত করা হয় এবং যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ নাম করণ করা হয়। প্রথমত কলেজটিতে শুধুমাত্র মানবিক শাখা চালু ছিল। পরে ১৯৭৭ সালে বিজ্ঞান শাখা এবং ১৯৮৫ সালে বাণিজ্য শাখা চালু করা হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝির দিকে এখানে ডিগ্রী পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হয়।

২০০২ সালে কলেজটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে প্রত্যয়িত হয়। কলেজে মোট ৭৮ জন শিক্ষক এবং উচ্চমাধ্যমিক শাখায় ১৬০৩ জন ও অনার্স শাখায় প্রায় ২৫০০ শিক্ষার্থী আছে।

শিক্ষা ব্যবস্থা

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা কোর্সসমূহ চালু আছে। স্নাতক (পাস) শ্রেণিতে বি.এ, বি,এস-এস, ও বি,এসসি কোর্স চালু রয়েছে। স্নাতক (সম্মান) কোর্সে বাংলা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামশিক্ষা, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা,বিবিএ ও গণিত বিষয় এবং মার্স্টাসে বাংলা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, হিসাববিজ্ঞান কোর্স চালু রয়েছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

পড়ালেখা ছাড়াও সহশিক্ষা কার্যক্রমে এই কলেজ বরাবরই ভালো করে আসছে। আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট কলেজ কুইজ প্রতিযগিতা ২০১৩ ও ২০১৫-তে চ্যাম্পিয়ন হবার পাশাপাশি আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৫-তে এই কলেজ রানার আপ[২] হবার গৌরব অর্জন করে। ২০১৩ সালের জাতীয় রসায়ন অলিম্পিয়াডে কলেজের একজন ছাত্র জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করে।

সুবিশাল কলেজ ক্যাম্পাসে আউট ডোর গেমঃ ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, বাস্কেট বল, ভলিবল, এ্যাথলেটিক্স এবং ইনডোর গেমঃ টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, দাবা ও ক্যারাম খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও কলেজের অন্যান্য সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম; যেমনঃ সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, সোসাইটি ক্লাস কার্যক্রম, বিএনসিসি (সেনা ও বিমান শাখা), রোভার স্কাউট ও গার্লস ইন স্কাউটিং প্রভৃতি। কলেজ টি তার সুশৃংখল নিয়মাবলী নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিখ্যাত। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এই স্বনামধন্য কলেজে পড়তে আসে।

পরিচালনা পর্ষদ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে। ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, যশোর সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং কলেজটির প্রধান পৃষ্ঠপোষ্ক। কমান্ডার, ৫৫ আর্টিলারী ব্রিগেড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.