মইনুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক ১৩তম প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) ও চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস)। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][২]
মোঃ মাইনুল ইসলাম | |
---|---|
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ১৩তম প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার | |
কাজের মেয়াদ ১ জুলাই ২০১৫ – ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ | |
রাষ্ট্রপতি | আবদুল হামিদ |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক |
উত্তরসূরী | মোঃ মাহফুজুর রহমান |
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ১৭তম মহাপরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ – ১০ মে ২০১০ | |
রাষ্ট্রপতি | জিল্লুর রহমান |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | শাকিল আহমেদ |
উত্তরসূরী | মোঃ রফিকুল ইসলাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নীলফামারী, পূর্ব পাকিস্তান |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
সম্পর্ক | আতিকুল ইসলাম (ভাই) তাফাজ্জাল ইসলাম (ভাই) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি |
পুরস্কার | জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার (২০১৯-আরচারি) |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
শাখা | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭৭-২০১৬ |
পদ | লেফটেন্যান্ট জেনারেল![]() |
ইউনিট | ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট |
কমান্ড | |
যুদ্ধ |
|
প্রাথমিক ও পারিবারিক জীবন
মইনুল ইসলাম কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মমতাজউদ্দিন আহমেদ, ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। মায়ের নাম মাজেদা খাতুন। তার ভাই তাফাজ্জাল ইসলাম বাংলাদেশের ১৭তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩] অপর ভাই ব্যবসায়ী ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র আতিকুল ইসলাম।[৪][৫][৬]
শিক্ষাজীবন
মইনুল ইসলাম ১৯৭২ সালে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৫ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
২০০৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি ওয়ার কলেজ থেকে সামরিক কৌশলবিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০৪ সালে ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা ক্যাম্পাস থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে এবং পরের বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[৭]
কর্মজীবন
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মইনুল ইসলাম ২8 ফেব্রুয়ারি ২০০৯ থেকে ৯ মে ২০১০ পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের বাংলাদেশ রাইফেলস বিদ্রোহে মহাপরিচালক শাকিল আহমেদ মারা যাওয়ার পর তিনি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৮] তিনিই বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ করেন। তার পরিচালনার সময় ইউনিফর্ম পরিবর্তিত হয় এবং সীমান্ত বাহিনীতে একটি গোয়েন্দা ইউনিট যোগ করা হয়।[৯] এর পর তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করা হয় এবং সেনাবাহিনী সদর দফতরে জেনারেল স্টাফ করা হয়। জুলাই ২০১৫ সালে তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হন।[১০] ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[১১] মহাপরিচালক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ হিসাবে যোগদান করার আগে তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ বাংলাদেশ এর আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) এর প্রধান প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
গ্রেফতার
তিনি ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কানাডা যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে আটন হন।[১২][১৩]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.