মেডুলোব্লাস্টোমা
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মেডুলোব্লাস্টোমা হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ ও প্রাথমিক মাত্রার মস্তিষ্কের ক্যান্সার যা মূলত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটি মস্তিষ্কের পেছনে ও নিচের দিকে থাকা অংশ, মাথার খুলি, লঘুমস্তিষ্ক, বা পোস্টেরিওর ফসা থেকে সৃষ্টি হয়।[১]
মেডুলোব্লাস্টোমা | |
---|---|
![]() | |
মেডুলোব্লাস্টোমায় আক্রান্ত ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশুর সিটি স্ক্যান, যেখানে পোস্টেরিয়র ফসায় টিউমার দৃশ্যমান | |
উচ্চারণ | |
বিশেষত্ব | অনকোলজি, নিউরোসার্জারি |
মস্তিষ্ক দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত — সামনের অংশে থাকা বৃহত্তর গুরুমস্তিষ্ক এবং পেছনের অংশে থাকা লঘুমস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের এই দুইটি অশ টেন্টোরিয়াম নামক একটি ঝিল্লি দ্বারা বিযুক্ত। যেসকল টিউমার লঘুমস্তিষ্কের অন্তর্গত অংশ, অর্থাৎ টেন্টোরিয়ামের নিচের অংশে সৃষ্ট তাদেরকে ইনফ্রাটেন্টোরিয়াল নিওপ্লাজম বলা হয়।
ঐতিহাসিকভাবে মেডুলোব্লাস্টোমাকে প্রমিটিভ নিউরোএক্টোডার্মাল টিউমার (ইংরেজি: primitive neuroectodermal tumor) বা পিএনইটি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হলেও বর্তমানে মেডুলোব্লাস্টোমা সুপ্রাটেন্টোরিয়াল পিএনইটি থেকে আলাদা হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায় দুটিকে একই শ্রেণির অন্তর্গত হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।[২]
টিউমার হিসেবে মেডুলোব্লাস্টোমা আক্রমণাত্মক ও দ্রুত বর্ধনশীল। সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের মাধ্যমে এটি মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ও দ্রুত মেটাস্ট্যাসাইজ করে যা সচারচর মস্তিষ্কের অন্যান্য টিউমারের মধ্যে দেখা যায় না। টিউমারটি যখন সুষুম্নাকাণ্ডের কডা একিনা বা শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে ড্রপ মেটাস্ট্যাসিস হিসেবে অভিহিত করা হয়।
আক্রান্তদের বয়স ও কোষবিদ্যা অনুসরণ করলে বেঁচে থাকার হার ৫, ১০, ২০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে শতকরা ৬০, ৫২, ও ৪৭ ভাগ, অর্থাৎ শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।[৩]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.