ইদ্রিস কান্ধলভি

পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

মুহাম্মদ ইদ্রিস বিন মুহাম্মদ ইসমাইল সিদ্দিকী কান্ধলভী (উর্দু: محمد ادریس بن محمد اسماعیل صدیقی کاندھلوی; ২০ আগস্ট ১৮৯৯ - ২৮ জুলাই ১৯৭৪) দেওবন্দী ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। বিশেষতঃ হাদীসতাফসিরের আলেম হিসাবে পরিচিত। তিনি ভারতে দারুল উলূম দেওবন্দে শায়খ-এ-তাফসির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং পরে তিনি পাকিস্তানে চলে যান যেখানে তিনি জামিয়া আশরাফিয়া লাহোরে শায়খুল হাদীস ওয়াত-তাফসিরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার লিখিত রচনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ'ল মাআরিফুল কুরআন (কান্ধলভি), কোরআনের তাফসীর, সিরাতুল মুস্তফা, ইসলামী নবী মুহাম্মাদীর সীরাহ (জীবনী), এবং তা'লিক আস-সাবিহ, একটি আরবি শারহ্ (ভাষ্য) মিশকাত আল-মাসাবীহ হাদীস সংগ্রহের উপর। মাজাহির উলূম সাহারানপুর এবং দারুল উলূম দেওবন্দ উভয় মাদ্রাসায় স্নাতক অর্জন করেন, তিনি খলিল আহমদ সাহারানপুরী, আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি, এবং শব্বির আহমদ উসমানী সহ বিদ্বানদের অধীনে পড়াশোনা করেছেন।[][]

প্রাথমিক জীবন

ইদ্রিসের জন্ম ১২ রবিউস সানি ১৩১৭ হিজরিতে (২০ শে আগস্ট ১৮৯৯), মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল কান্ধলভীর পুত্র (মৃত্যু: ১৯৪২) ভোপাল রাজ্যের রাজধানী ভোপালে। ইসমাইল, একজন ইসলামী পণ্ডিত এবং হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কির শিষ্য, ভোপাল রাজ্যের বন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ইদ্রিসের বয়স যখল অল্প ছিল, ইসমাইল তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং কান্ধলার জামে মসজিদে হাদীস শিক্ষা শুরু করেন। ইদ্রিস একটি ধর্মীয় পরিবারে বেড়ে ওঠেন। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে, ইদ্রিস তার বাবার কাছে কান্ধলায় নয় বছর বয়সে কোরআন মুখস্থ করেছিলেন।

কর্মজীবন

মুহাম্মদ ইদ্রিস তার জীবনের অধিকাংশ সময় ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পেছনে ব্যায় করেছেন।

এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য কর্ম তুলে দেয়া হল:

  • ১৯২১-১৯২২: মাদ্রাসা আমিনিয়াহ দিল্লী
  • ১৯২২-১৯২৯: দারুল উলূম দেওবন্দ
  • ১৯২৯-১৯৩৯: হায়দরাবাদ রাজ্য
  • ১৯৩৯-১৯৪৯: দারুল উলূম দেওবন্দ শায়খ-এ-তাফসিরের পদে
  • ১৯৪৯-১৯৫১: জামিয়া আব্বাসিয়াহ বাহওয়ালপুর শায়খ আল জামিয়ার পদে
  • ১৯৫১-১৯৭৪: জামিয়া আশরাফিয়া লাহোর শায়খ আল হাদিস ওয়াত-তাফসিরের পদে

তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.