Loading AI tools
পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জেনারেল মুহাম্মদ মুসা খান হাজারা (Urdu:محمد موسى خان; ২০ অক্টোবর ১৯০৮ – ১২ মার্চ ১৯৯১), HPk, HQA, HI, HJ, MBE, ছিলেন চার-তারকা পদমর্যাদাপ্রাপ্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অধীনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুহাম্মদ মুসা খান Muhammad Musa | |
---|---|
Governor of Balochistan | |
কাজের মেয়াদ 17 December 1985 – 12 March 1991 | |
রাষ্ট্রপতি | গোলাম ইশাক খান জিয়া উল হক |
প্রধানমন্ত্রী | মুহাম্মদ জিনো বেনজীর ভুট্টো নওয়াজ শরীফ |
পূর্বসূরী | গুল জগেজাই |
উত্তরসূরী | Lieutenant General K. K. Afridi |
পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ 18 September 1966 – 20 March 1969 | |
রাষ্ট্রপতি | আাইয়ুব খান |
পূর্বসূরী | আমির মোহাম্মদ |
উত্তরসূরী | Yusuf Haroon |
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক | |
কাজের মেয়াদ 27 October 1958 – 17 June 1966 | |
পূর্বসূরী | General Ayub Khan |
উত্তরসূরী | General Yahya Khan |
President of the Pakistan Hockey Federation | |
কাজের মেয়াদ 1960–1966 | |
পূর্বসূরী | Naseer Ahmad |
উত্তরসূরী | Air Mrshl Nur Khan |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুহাম্মদ মুসা খান হাজারা ২০ অক্টোবর ১৯০৮ কোয়েটা, বেলুচিস্তান, ব্রিটিশ ভারতa |
মৃত্যু | ১২ মার্চ ১৯৯১ ৮২) কোয়েটা, বেলুচিস্তান প্রদেশ, পাকিস্তান | (বয়স
সমাধিস্থল | মাশহাদ, রাজিবি খোরসান, ইরান |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ বিষয় (১৯০৮–১৯৪৭) পাকিস্তান (১৯৪৭–১৯৯১) |
জাতীয়তা | Pakistani |
রাজনৈতিক দল | Independent Pakistan Muslim League (1985–91) |
পিতা | Yazdan Khan |
আত্মীয়স্বজন | Yazdan Khan |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ভারতীয় সামরিক একাডেমী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজ |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
বেসামরিক পুরস্কার | Hilal-i-Quaid-e-Azam Hilal-e-Pakistan |
সামরিক পরিষেবা | |
শাখা | ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী (1935–1947) পাকিস্তান সেনাবাহিনী (1947–1976) |
কাজের মেয়াদ | 1926–1966 |
পদ | General |
ইউনিট | 4th Hazara Pioneers, FF Regiment |
কমান্ড | Chief of Staff, Army GHQ 14th Infantry Division 8th Infantry Division |
যুদ্ধ | World War II
Indo-Pakistan War of 1965 |
সামরিক পুরস্কার | Hilal-e-Imtiaz Hilal-i-Jurat Order of the British Empire |
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভের পরে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যুক্তরাজ্যে কাজ করেন এবং ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি পাকিস্তানকে বেছে নেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ভারতের কাশ্মীরের সাথে যুদ্ধে যুদ্ধরত ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন প্রণয়নের পর চূড়ান্তভাবে কমান্ডার পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ভারতের সাথে দ্বিতীয় যুদ্ধের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বিচক্ষনতার সাথে পরিচালনার সুবাদে তিনি সবার নজর কাড়েন এবং খ্যাতি অর্জন করেন।
মুসা খান যুদ্ধের পর অবসর গ্রহণ করেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি ১৯৬৬ সালে থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি বেলুচিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯১ সালের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার দায়িত্ব পালন নিয়োজিত ছিলেন।
মুহম্মদ মুসা খান ১৯০৮ সালের ২০ অক্টোবর তারিখে ব্রিটিশ ভারতের বেলুচিস্তানের কোয়েটায় একটি উপজাতীয় হাজারা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[1] তিনি ছিলেন ফার্সি ভাষী হাজারা ব্যক্তিত্ব।[2][3] তার পরিবারের সদস্যরা হাজারা গোষ্ঠীর সরদার বা প্রধান ছিলেন এবং স্থানীয় আদিবাসী প্রধান সরদার ইয়াজদানের খান এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন।
১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণের সময় জেনারেল মুসা খানের খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় সামরিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত লাভ করেন, যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাকে পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিয়োগদান করেন।:৫০–৫১[4] নিয়োগের সংবাদটি উৎসাহের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানি জনগণের উদ্যোগে তাদের সমন্বয়ে করা হয়।:৫০[4] ১৯৬৯ সালের ২ মার্চ তারিখে পদত্যাগপত্র দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন, যেখানে জেনারেল ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সামরিক আইন জারি করেন।:১৩৬[5]
১৯৬৯-৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি সামরিক ভাতাদি পাওয়ার সময় থেকে করাচিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।[1] ১৯৮৫ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী এম.একে. জানেজা এর নেতৃত্বে পাকিস্তান মুসলিম লিগ এর অধিনে জাতীয় রাজনীতিতে কার্যক্রম শুরু করেন।[1] ১৯৮৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরবর্তীত সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউল-হক কর্তৃক বেলুচিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পরে গভর্নর মুসা খান বিতর্কিতভাবে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খান জামালী এর পরামর্শে প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দিয়েছিলেন।:xxxiv[6]
যাইহোক পরবর্তীতে, বেলুচিস্তান হাইকোর্ট গভর্নরের পদক্ষেপকে নিন্দা জানিয়ে প্রাদেশিক পরিষদকে পুনর্বহাল করেন।:xxxiv[6] রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে উক্ত মজলিসকে বিভক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল বলে ব্যাখ্যা করা হয়।:xxxiv[6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.