মালাধর বসু

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

মালাধর বসু গুণরাজ খাঁ মধ্যযুগীয় বাঙালি কবি। তিনি ছিলেন পঞ্চদশ শতাব্দীর একজন কবি।[১] তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় ভাগবত পুরাণ বা ভাগবত অনুবাদ করেন।[২] তার অনূদিত কাব্যটির নাম শ্রীকৃষ্ণবিজয়। মালাধর বসুই ভাগবতের প্রথম অনুবাদক। তার আগে অন্য কোনো ভাষায় ভাগবত অনূদিত হয়নি।

দ্রুত তথ্য মালাধর বসু গুণরাজ খাঁ, জন্ম ...
মালাধর বসু গুণরাজ খাঁ
জন্মআনু. ১৫০০
পেশাকবি
পিতা-মাতাভগীরথ বসু, ইন্দুমতী দেবী
বন্ধ

[২]

জীবনী

সারাংশ
প্রসঙ্গ

কেদারনাথ ভক্তিবিনোদ প্রথম কবির জন্মস্থান কুলীনগ্রামে গিয়ে কবির জীবন সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করে আনেন। এছাড়া শ্রীকৃষ্ণবিজয় গ্রন্থের আরম্ভে ও শেষে কবি তার আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে কিছু কথা লিখেছেন। এই সব সূত্র থেকে মালাধর বসুর জীবন সম্পর্কে কিছু বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়।[৩]

মালাধর বসু অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মেমারির নিকটবর্তী কুলীনগ্রামে এক অভিজাত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার বাবার নাম ছিল ভগীরথ বসু, মায়ের নাম ছিল ইন্দুমতী দেবী।[২] কুলীনগ্রাম বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই গ্রামে মালাধর বসুর বংশধরেরা আজও বাস করেন। মালাধর ছিলেন পণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি বৈষ্ণব সাহিত্য ও পুরাণ নিয়ে যথেষ্ট পড়াশোনা করেছিলেন।

মালাধর বসু গৌড়ের কোনো এক সুলতানের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। ঐতিহাসিকদের অনুমান, এই সুলতান সম্ভবত রুকনুদ্দিন বরবক শাহ।[১] ১৪৭৩ সালে তিনি ভাগবত পুরাণের বিষয়বস্তু অবলম্বনে শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্য রচনা শুরু করেন। কাব্য রচনার শেষ হয় ১৪৮০ সালে।[১] এই কাব্যের অপর নাম ছিল গোবিন্দমঙ্গল[১] শ্রীকৃষ্ণবিজয় রচনা করে তিনি গৌড়ের সুলতানের কাছ থেকে গুণরাজ খাঁ উপাধি পান।[১][২] মালাধর বসুর অনেকগুলি ছেলে ছিল। তার দ্বিতীয় পুত্রের নাম ছিল সত্যরাজ খাঁ। সত্যরাজের পুত্র রামানন্দ ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভুর পার্ষদ। অন্যমতে, রামানন্দ ও সত্যরাজ খাঁ একই ব্যক্তি।[২][৩]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.