Remove ads
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মারভিন জর্জ গ্রেল (ইংরেজি: Mervyn Grell; জন্ম: ১৮ ডিসেম্বর, ১৮৯৯ - মৃত্যু: ১১ জানুয়ারি, ১৯৭৬) ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবল রেফারি ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মারভিন জর্জ গ্রেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ত্রিনিদাদ | ১৮ ডিসেম্বর ১৮৯৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ জানুয়ারি ১৯৭৬ ৭৬) কোকোরাইট, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২৪) | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন মারভিন গ্রেল।
১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৩৭-৩৮ মৌসুম পর্যন্ত মারভিন গ্রেলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। খাঁটিমানের ব্যাটসম্যান ছিলেন মারভিন গ্রিল। এছাড়াও মিডিয়াম পেসার হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন।
নিচেরসারিতে আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এছাড়াও, মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সক্রিয়ভাব বজায় রাখেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে ত্রিনিদাদের সদস্যরূপে খেলেন। জানুয়ারি, ১৯৩০ সালে পোর্ট অব স্পেনে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। ৯ ও ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে যথাক্রমে ৪০ ও ৫৪ রান সংগ্রহ করেন।
ত্রিনিদাদের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। এছাড়াও দ্বিতীয় ইনিংসে নাইজেল হেগ ও লেস টাউনসেন্ডকে আউট করেন। উভয়ক্ষেত্রেই উইকেট-রক্ষক এরল হান্ট গ্লাভস বন্দী করেন।[১] কিছুদিন পর পোর্ট অব স্পেনে এমসিসি’র বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় আবারও অংশ নেন। ত্রিনিদাদের অধিনায়কের নির্দেশনায় ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে বিদেয় নেন ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৩৪ রান তুলে দলকে জয় এনে দেন।[২]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন মারভিন গ্রেল। ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
ইংরেজ দলের বিপক্ষে অনিন্দ্য সুন্দর তিনটি চমৎকার ইনিংস খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ এবং পোর্ট অব স্পেনে বসবাসের সুবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলে রাখা হয়। ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ সালে পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ২১ ও ১৩ রান তুলেছিলেন তিনি।[৩]
অংশগ্রহণকৃত সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় মারভিন গ্রেল সর্বোচ্চ রান করেছেন অপরাজিত ৭৪। ১৯৩৭ সালে জর্জটাউনের বোর্দায় ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে নিজস্ব শেষ খেলায় এ সংগ্রহটি করেছিলেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্রান্সে ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ রেজিমেন্টে নিযুক্ত ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লোকাল ত্রিনিদাদ রেজিমেন্টে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। ত্রিনিদাদ বনাম বার্বাডোসের মধ্যকার খেলার পরিচালনা করেছিলেন তিনি।[৪]
১১ জানুয়ারি, ১৯৭৬ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে পোর্ট অব স্পেনের কোকোরাইট এলাকায় মারভিন গ্রেলের দেহাবসান ঘটে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.