মাযহাব কী ও কেন?
মুহাম্মদ তাকি উসমানির বই উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাযহাব কী ও কেন? (উর্দু: تقلید کی شرعی حیثیت) পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত মুহাম্মদ তাকি উসমানির রচিত মাযহাব বিষয়ক একটি গবেষণা গ্রন্থ।[১] এটি ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটির উর্দু নাম "তাকলিদ কি শরয়ি হাইসিয়াত" যার অর্থ শরিয়তের দৃষ্টিতে তাকলিদ। এই গ্রন্থে লেখক শরিয়তের আলোকে মাযহাব ও তাকলিদের বাস্তবতা, প্রামাণ্যতা ও এ সম্পর্কে বিভিন্ন সন্দেহের নিরসন করেছেন।[২] "মাযহাব কী ও কেন?" নামে গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেছেন আবু তাহের মিসবাহ। বাংলা ভাষায় এধরনের প্রামাণ্য গ্রন্থ এটিই প্রথম।[৩] গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ "The Legal Status of Following a Madhab"। এর ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মদ আমিন খোলভাদিয়া।[৪]
![]() বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ | |
লেখক | মুহাম্মদ তাকি উসমানি |
---|---|
মূল শিরোনাম | উর্দু: تقلید کی شرعی حیثیت |
অনুবাদক | আবু তাহের মিসবাহ |
দেশ | পাকিস্তান |
ভাষা | উর্দু |
বিষয় | মাযহাব |
প্রকাশিত | ১৯৭৬ |
প্রকাশক | দারুল উলুম করাচি |
মিডিয়া ধরন | শক্তমলাট |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৬০ |
আইএসবিএন | ৯৭৮৯৬৯৪২৮৪৭৩৬ ইংরেজি সংস্করণ |
ওসিএলসি | ৫৫১৪৫৮৪৫ |
ওয়েবসাইট | muftitaqiusmani.com |
প্রেক্ষাপট
১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানে মাযহাব ও তাকলিদ বিষয়ে একটি বিতর্কের সূচনা হয়। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রকাশিত ফারান সাময়িকীর সম্পাদক মাহের আল কাদেরী মুহাম্মদ তাকি উসমানিকে এই বিষয়ে একটি তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ লেখার অনুরোধ করেন। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে উসমানি এই বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেন যা ফারান সাময়িকীর মে সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে প্রবন্ধটি আরও বিভিন্ন প্রকাশনায় স্থান লাভ করে। প্রবন্ধটি প্রকাশের ১৩ বছর পর মুহাম্মদ তাকি উসমানি প্রবন্ধটি নিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করেন এবং প্রবন্ধটিকে আরও পূর্ণাঙ্গ অবয়বে বই আকারে প্রকাশ করেন।[২]
গঠন
গ্রন্থটির শুরুতে তাকলিদের বর্ণনা দিয়ে শরিয়তের উৎস থেকে তাকলিদ প্রমাণে কুরআন থেকে ৪টি ও হাদিসের ৫টি উদ্ধৃতি টেনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। এরপর সাহাবা যুগের ১০টি উদাহরণ এবং তাবেয়ী যুগ থেকে ৪টি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এরপর ব্যক্তি তাকলিদের প্রয়োজনীয়তা, চার মাযহাব, তাকলিদের স্তর তারতম্য ও উদাহরণ দিয়ে তাকলিদ বিরোধীদের বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। গ্রন্থের শেষ অংশে লেখক হানাফি মাযহাব, আধুনিক সমস্যা ও তাকলিদ এবং অন্ধ তাকলিদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সর্বশেষে লেখক শেষ আবেদন শিরোনামে মাযহাব নিয়ে বিতর্কের অবসানে নিজের অভিমত ব্যক্ত করে গ্রন্থটির ইতি টেনেছেন।[৫]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.