Loading AI tools
স্বাদুপানির মাছ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাগুর (বৈজ্ঞানিক নাম: Clarias batrachus) (ইংরেজি: walking catfish) হচ্ছে Clariidae পরিবারের Clarias গণের একটি স্বাদুপানি বা মিঠে জলের মাছ।
মাগুর Clarias batrachus | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Siluriformes |
পরিবার: | Clariidae |
গণ: | Clarias |
প্রজাতি: | C. batrachus |
দ্বিপদী নাম | |
Clarias batrachus Linnaeus, 1758 | |
প্রতিশব্দ | |
|
মাগুর বাংলাদেশের এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহুল পরিচিত মাছগুলোর মধ্যে একটি যার মূল প্রাপ্তিস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এর স্থানীয় নাম মজগুর, মচকুর বা মাগুর। আন্তর্জাতিকভাবে এটি ওয়াকিং ক্যাটফিস নামে পরিচিত। এই নামের কারণ হলো এটি শুষ্ক মাটির উপর দিয়েও প্রতিকূল পরিবেশ বা খাদ্য সংগ্রহের জন্য হেঁটে যেতে পারে। এই বিশেষ হাঁটার জন্য মাগুর মাছের বুকের কাছে পাখনা থাকে যা ব্যবহার করে এটি সাপের মত চলাচল করতে পারে। এই মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র আছে যার মাধ্যমে এটি বাতাস থেকে শ্বাস নিতে পারে।
মাগুর মাছ সাধারণত ৩০ সে.মি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৪৭ সে.মি হতে পারে। মাছের গায়ে কোন আঁশ থাকেনা। এরা অস্থিময়, মাথা অবনত এবং দুটি খাঁজ বিদ্যমান৷ পিঠের পাখনা লম্বা এবং চার জোড়া শুড় আছে৷ মাথা চ্যাপ্টা, মুখ প্রশস্ত, গায়ের রং লালচে বাদামী বা ধূসর কালো রংয়ের। কোন কোন ক্ষেত্রে পরিপক্ব স্ত্রী মাছের গায়ের রং ধূসর এবং পুরুষ মাছগুলির গায়ে হালকা বলয় থাকে। স্ত্রী মাছে কোন বলয় থাকে না। মাছের পৃষ্টদেশে ও পায়ুতে বড় বড় পাখনা থাকে।এই মাছ সর্বোচ্চ ১.১ঌ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
মাগুর মাছ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোচীন, ফিলিপাইন, হংকং, দক্ষিণ চীন এবং ইন্দোনেশিয়াতে পাওয়া যায়।[2] এটি মূলতঃ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মাছ এবং পানির তাপমাত্রা ১০-২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা। মাছ সাধারণত পানির তলদেশে খাল, বিল, নদী-নালা, হাওড়-বাওড়, ধান ক্ষেতের কর্দমাক্ত পানি এমনকি উপকূলীয় এলাকায় ঈষৎ লোনা পানিতে স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করে।
মাগুর মাছ প্রধানত পুকুরের তলদেশ থেকে খাবার খায়। ছোট অবস্থায় সবুজ কণা ও প্রাণীকণা, আধাপচা পাতা, কীট, জলজ সন্ধিপদ প্রাণী, পতঙ্গ খায়। প্রাপ্তবয়ষ্ক মাছ বিভিন্ন পোকামাকড়, শূককীট বা মূককীট, জলদ উদ্ভিদ, প্রটোজোয়া, শামুক ঝিনুক, কাদা, বালি ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। বিভিন্ন সম্পুরক খাদ্য যেমন- কুঁড়া, ভূষি, ফিসমিল ইত্যাদিও এরা খেয়ে থাকে।
মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ ব্যাপক। অসুস্থ রোগীর খাদ্য হিসেবে এই মাছ বহুল প্রচলিত। প্রতি ১০০ গ্রাম মাগুর মাছে ৩২.০ গ্রাম আমিষ, ২.০ গ্রাম চর্বি, ১৭২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ০.৭ মিলিগ্রাম লোহা থাকে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে ৩৫-৫০ সেমি গভীরতায় মাগুর মাছ বছরে একবার প্রজনন করে৷ জুন-জুলাই থেকে আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মাছ প্রজনন করে থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে মাগুর মাছের কৃত্রিম প্রজনন সম্ভব হয়েছে এবং এর সাহায্যে কিছু পোনাও উৎপাদন করা গেছে।
মাগুর মাছ অগভীর জলাশয়ে গর্তের মধ্যে ডিম ছাড়ে। আবার পুকুর এবং অন্যান্য বদ্ধ জলাধারে এদের প্রজনন ঘটে থাকে। পূর্ণবয়স্ক মাছ ২৩৪০-১৩৪০০ টি ডিম ছাড়তে পারে বলে জানা গেছে।[2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.