অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাইকেল জোনাথন স্ল্যাটার (ইংরেজি: Michael Slater; জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০) নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াগা ওয়াগা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাবেক পেশাদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। স্ল্যাটস ডাকনামে পরিচিত মাইকেল স্ল্যাটার ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে বোলিং করতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ এবং ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের পক্ষাবলম্বন করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মাইকেল জোনাথন স্ল্যাটার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়াগা ওয়াগা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | স্ল্যাটস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৫৬) | ৩ জুন ১৯৯৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ আগস্ট ২০০১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১৪) | ৯ ডিসেম্বর ১৯৯৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৪ মে ১৯৯৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-২০০৪ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮-১৯৯৯ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ জুলাই ২০১৫ |
১৯৮৯ সালে এআইএস অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ১৯৯১-৯২ মৌসুমের শেফিল্ড শীল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরফলে তিনি খুব দ্রুত অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে সদস্য মনোনীত হন। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে অ্যাশেজ সিরিজে ২৩ বছর বয়সে অংশ নেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কুইন্সল্যান্ডের ম্যাথু হেইডেন। ওয়াগা ওয়াগা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী মার্ক টেলরের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। অভিষেক খেলায় অর্ধ-শতক করেন। পরের টেস্টেই লর্ডসে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও তার সফলতা অব্যাহত রাখেন। সিরিজে তিনি ৭৬.২৫ গড়ে ৩০৫ রান তুলেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে ৬২৩ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। পরের মৌসুমে পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দ্বি-শতক করেন।
সিডনিতে ১২৩ রান তুলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়সূচক রানে অংশ নেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে দলের সর্বমোট সংগ্রহের ৬৬.৮৪% রানই আসে তার ব্যাট থেকে। চার্লস ব্যানারম্যানের অপরাজিত ১৬৫* রানের টেস্ট ইনিংসটি ছিল দলের সর্বমোট সংগ্রহের ৬৭.৩৪%।[১] এরপরই তার অংশগ্রহণটি দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
টেস্ট ক্রিকেটেই তিনি অধিক সফলতা পেয়েছেন। ১৪ সেঞ্চুরিসহ ৪২ গড়ে পাঁচ সহস্রাধিক রান তুলেন। সে তুলনায় ওডিআই তেমন সফলতা পাননি। এক্ষেত্রে তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৪.০৭। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকবার। ২৩বারের মধ্যে ৯বারই এ ঘটনা ঘটে।[২]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেন। এর পূর্বে রাগবি লীগেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোরে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব শেষে জানুয়ারি, ২০০৬ সালে নাইন’স ওয়াইড ওয়ার্ল্ড অব স্পোর্টস ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার দলে যোগ দেন। এ পদে অদ্যাবধি তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.