শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

মহাকাশ আইন

মহাকাশ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

মহাকাশ আইন
Remove ads
Remove ads

মহাকাশ আইন বলতে মহাকাশ-সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণকারী কতগুলি আইনের সমষ্টিকে বোঝায়, যেগুলি মূলত আন্তর্জাতিক ও দেশের অভ্যন্তরীণ সমঝোতা, নিয়ম ও মূলনীতিগুলি নিয়ে গঠিত।[] মহাকাশ আইনে মহাকাশ অনুসন্ধান, ক্ষতিপূরণের বাধ্যবাধকতা, অস্ত্রের ব্যবহার, উদ্ধার প্রচেষ্টা, পরিবেশ সংরক্ষণ, তথ্য ভাগাভাগি, নতুন প্রযুক্তি ও নৈতিকতা, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।[] আইনের অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন প্রশাসনিক আইন, মেধাসম্পদ আইন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন, বীমা আইন, পরিবেশ আইন, ফৌজদারী আইনবাণিজ্যিক আইন, ইত্যাদিকেও মহাকাশ আইনের সাথে সমন্বিত করা হয়।[]

Thumb
আংশিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (১৯৬৩), প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন চুক্তি

মহাকাশ আইনের উৎপত্তি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে। সেই বছর প্রতিটি দেশের তার নিজ ভূখণ্ডের ঠিক উপরে অবস্থিত বায়ুমণ্ডলের উপরে সার্বভৌমত্বের ব্যাপারটিকে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃতিদান করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে শিকাগোতে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমানচলাচল সমঝোতা চুক্তিতে ব্যাপারটিকে আরও জোরদার করা হয়।[][] ২০শ শতাব্দীতে স্নায়ুযুদ্ধের সময় জাতীয় মহাকাশ কর্মসূচীগুলির আবির্ভাব ঘটলে তার প্রতিক্রিয়ায় বৈজ্ঞানিক সংঘসমূহের আন্তর্জাতিক পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ নীতির সূচনা করে (আন্তর্জাতিক ভূ-প্রাকৃতিক বর্ষ দেখুন)। ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ইতিহাসে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুতনিক ১ উৎক্ষেপণ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস (আইনসভা) জাতীয় বিমানচালনা ও মহাকাশ আইন প্রণয়ন করে ও এর মাধ্যমে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।[][] যেহেতু মহাকাশ অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করা আবশ্যক, তাই এই যুগে প্রথাগত বায়বান্তরীক্ষ আইনের থেকে স্বতন্ত্র মহাকাশ আইন ক্ষেত্রটির সৃষ্টি হয়।[]

স্নায়ুযুদ্ধের পরে মহাকাশ চুক্তি (যার পূর্ণনাম চাঁদ ও অন্যান্য নভোবস্তুসহ মহাকাশ অনুসন্ধান ও ব্যবহারে রাষ্ট্রসমূহের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী মূলনীতিসমূহ বিষয়ক চুক্তি) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা মহাকাশ আইন গঠনকারী মূলনীতি ও কর্মপদ্ধতিসমূহের সংকলন ও শাসনতান্ত্রিক পরিকাঠামো হিসেবে কাজ করে চলেছে।[][] অধিকন্তু, মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি (United Nations Committee on the Peaceful Uses of Outer Space, COPUOS) এবং পাশাপাশি এর আইনি, কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক উপকমিটিগুলি আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন ও নীতিগুলির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক আয়োজনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। মহাকাশ বিষয়াবলীর জন্য জাতিসংঘ কার্যালয় (United Nations Office for Outer Space Affairs, UNOOSA) এই কমিটির সচিবালয় হিসেবে কাজ করে এবং বহু-বিভিন্ন সম্মেলন ও সামর্থ্য-নির্মাণ কর্মসূচীর মাধ্যমে "সবার জন্য মহাকাশ" (Access to Space for All) নীতিটির প্রসারে কাজ করে।[] ভবিষ্যতে মহাকাশ চার ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে: দেশাভ্যন্তরে মহাকাশ আইনের প্রতি আনুগত্য, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, নৈতিকতা ও নিত্যনতুন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের আবির্ভাব।[][১০][১১] উপরন্তু, বায়বান্তরীক্ষের (বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশের একত্রিত রূপ) সংজ্ঞা কী হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা এখনও বৈশ্বিকভাবে নির্ণয় করা হয়নি।[]

Remove ads

আরও দেখুন

  • আর্টেমিস চুক্তি
  • মানবজাতির সাধারণ উত্তরাধিকার
  • বিজ্ঞানভিত্তিক আইন প্রণয়ন
  • বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি
  • মহাকাশের রাজনীতি
  • এর্নস্ট ফাসান
  • মহাকাশ ও টেলিযোগাযোগ আইন ইনস্টিটিউট
  • অধি-আইন
  • চন্দ্রচুক্তি
  • নতুন মহাকাশ
  • মহাকাশ চুক্তি
  • আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের রাজনীতি
  • মহাকাশ কর্মকাণ্ড সমর্থন
  • মহাকাশ পুরাতত্ত্ব , মহাকাশ স্থানগুলি থেকে প্রাপ্ত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক আইন
  • মহাকাশ নীতি
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইনসংহিতার ৫১নং শিরোনাম
  • মহাকাশযান চলাচল ব্যবস্থাপনা
Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading content...

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Loading content...
Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads