মঠবাড়িয়া উপজেলা
পিরোজপুর জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পিরোজপুর জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মঠবাড়িয়া, বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত এগারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত একটি উপজেলা। ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার ৭০৬ এবং নতুন ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৪৩ জন
মঠবাড়িয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে মঠবাড়িয়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°১৭′২৬″ উত্তর ৮৯°৫৮′৪″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | পিরোজপুর জেলা |
মঠবাড়িয়া উপজেলা | মঠবাড়িয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৪ সালে। |
পিরোজপুর ৩ আসন | মঠবাড়িয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে -মঠবাড়িয়া পৌরসভা,আমড়াগাছিয়া,টিকিকাটা,তুষখালী,দাউদখালী,ধানীসাফা,বড় মাছুয়া,বেতমোর রাজপাড়া,মঠবাড়িয়া,মিরুখালী,শাপলেজা এবং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়ন। |
সরকার | |
• রাজনীতিবিদ | মহিউদ্দিন আহমেদ (১৯২৫-১৯৯৭) - রাজনীতিবিদ; |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪৪.২৪ বর্গকিমি (১৩২.৯১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৬২,৮৪১ |
• ক্রম | পুরুষ ১,২৮,৮৪৫ জন এবং মহিলা ১,৩৩,৯৯৬ জন। |
• জনঘনত্ব | ৭৬০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৫৬৬ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৭৯ ৫৮ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
মঠবাড়িয়া উপজেলার আয়তন: ৩৫৩.২৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°০৯´ থেকে ২২°২৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫২´ থেকে ৯০°০৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এ উপজেলার উত্তরে পিরোজপুর সদর উপজেলা ও ভান্ডারিয়া উপজেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা, পূর্বে ইন্দুরকানী উপজেলা ও বরগুনা জেলার বামনা উপজেলা, পশ্চিমে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা, শরণখোলা উপজেলা ও বলেশ্বর নদ।
প্রশাসন মঠবাড়িয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৪ সালে।
মঠবাড়িয়ার প্রাচীন ইতিহাস মূঘল আমলে থেকেই গ্রোথিত । সুবেদার মুর্শিদ কুলি খাঁ আগা বাকের খাঁ কে পাঠিয়েছিলেন কির্তন খোলা নদীর তীর ঘেষে চন্দ্রদ্বীপের এলাকায় যা আগাঁ বাকের তাঁর নামানুসারে বাকের গঞ্জে নাম করন করা হয় । এই বাকের গঞ্জের মৌজায় আরো নিচূ এলাকায় মঠবাড়িয়ার হিন্দু অধ্যুষিত মঠ সমারোহে এর নামকরণ করা হয় মঠবাড়িয়া । মঠবাড়িয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৪ সালে।মঠবাড়িয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে।এগুলো হচ্ছে -মঠবাড়িয়া পৌরসভা,আমড়াগাছিয়া,টিকিকাটা,তুষখালী,দাউদখালী,ধানীসাফা,বড় মাছুয়া,বেতমোর রাজপাড়া,মঠবাড়িয়া,মিরুখালী,শাপলেজা এবং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়ন। কৃতি সন্তানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শহীদ নূর হোসেন (১৯৬১ - ১০ নভেম্বর ১৯৮৭) - রাজনৈতিক কর্মী।
মহিউদ্দিন আহমেদ (১৯২৫-১৯৯৭) - রাজনীতিবিদ; খান সাহেব হাতেম আলী জমাদার (১৮৭২-১৯৮২) - বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য; মেজর (অবঃ) মেহেদী আলী ইমাম (মৃত্যুঃ ১৯৯৬) - স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সেনানী, বীরবিক্রম; করপোরাল আব্দুস সামাদ (মৃত্যু ২০১৮) - আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৮ নং আসামী; গনপতি হালদার- ১৯৭১ সালের শহীদ। জমিদার লাল মিয়া জমাদ্দার.আবুল হাশেম সি.এস.পি সাবেক সচিব. জাতীয় সংসদ সচিবালয়।কালে ভাদ্রে আরো অনেক কবি,সাহিত্যিক,রাজনীতিবিদ সাংবাদিক,বৈজ্ঞানিক,অর্থনীতিবিদ,শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার,খেলোয়ার,নাট্যকার,শিল্পপতি, দেশে-বিদেশে অনেক সুনামের সাথে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন ।
জলাশয় বলেশ্বরী, কচা ও পোনা নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ সোনাখালী জমিদারবাড়ী ও সাপলেজা কুঠিবাড়ী উল্লেখযোগ্য।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি উপজেলার তুষখালীতে খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৮৩০ সাল থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। ১৯৭১ সালের মে মাসে ঝাটিপুনিয়া নামক স্থানে রাজাকারবাহিনী ১২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ১।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৭২০, মন্দির ২০, তীর্থস্থান ১। বন্দর জামে মসজিদ, সাফা জামে মসজিদ,পশ্চিম মিঠাখালী মৌলভী হেলাল উদ্দিন খান জামে মসজিদ. মঠবাড়ীয়ার হরিমন্দির উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬২.৮%; পুরুষ ৬২.৮%, মহিলা ৩৭.২%। কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৫, স্যাটেলাইট স্কুল ৭, মাদ্রাসা ১৮২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মঠবাড়ীয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মহিউদ্দীন মহিলা কলেজ, কে.এম লতিফ ইনস্টিটিউশন (১৯২৮), গুলশাখালী জি.কে ইউনিয়ন হাইস্কুল, বড় মাছুয়া ইউনাইটেড হাইস্কুল, নলী ভিম চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৮)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী পাক্ষিক: মঠবাড়ীয়া সমাচার।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৫, ক্লাব ১৯, সিনেমা হল ১, নাট্যদল ১।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৯.৮৯%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৪৯%, ব্যবসা ১২.৮১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৮৬%, চাকরি ৭.১০%, নির্মাণ ১.৩৬%, ধর্মীয় সেবা ০.২৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.১৩% এবং অন্যান্য ১০.১২।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৫.১৬%, ভূমিহীন ৩৪.৮৪%। শহরে ৫৪.০৪% এবং গ্রামে ৬৬.৩২% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আখ, শাকসবজি, ডাল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পান, পাট, তিল, সরিষা।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, নারিকেল, কাঁঠাল, কলা, সুপারি, আমড়া।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১২ কিমি, কাঁচারাস্তা ৪২০ কিমি; নদীপথ ৮ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা বরফকল, স’মিল, রাইস মিল।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশের কাজ, লোহার কাজ, বিড়ি কারখানা, ওয়েল্ডিং কারখানা।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩১, মেলা ৩। মঠবাড়ীয়া, তুষখালী ও বড় মাছুয়া হাট এবং পহেলা বৈশাখের মেলা (মঠবাড়ীয়া বন্দর) উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য সুপারি, নারিকেল।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১০.৪৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ২৭.৬৫%, পুকুর ৬৩.৭৩%, ট্যাপ ৫.৯৬% এবং অন্যান্য ২.৬৬%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলায় ৩৫.৪৮% (গ্রামে ৩১.৯৯% ও শহরে ৬৯%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৬.৬০% (গ্রামে ৫৯.৯১% ও শহরে ২৪.৭৫%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৭.৯২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, পল্লী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ৪৯, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা।
মঠবাড়িয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মঠবাড়িয়া থানার আওতাধীন।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মঠবাড়িয়া উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৬২,৮৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,২৮,৮৪৫ জন এবং মহিলা ১,৩৩,৯৯৬ জন। মোট পরিবার ৬১,১৮৭টি।[২]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মঠবাড়িয়া উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬১.৭%।[২]
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ১টি
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.