Loading AI tools
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মওদুদ আহমেদ (২৪ মে ১৯৪০ – ১৬ মার্চ ২০২১) ছিলেন বাংলাদেশের আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নোয়াখালী-৫ ও নোয়াখালী-১ আসনের তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন।[1]
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ | |
---|---|
বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১২ আগস্ট ১৯৮৯ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
রাষ্ট্রপতি | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ |
পূর্বসূরী | এ কে এম নূরুল ইসলাম |
উত্তরসূরী | শাহাবুদ্দিন আহমেদ |
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ মার্চ ১৯৮৮ – ১২ আগস্ট ১৯৮৯ | |
রাষ্ট্রপতি | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ |
পূর্বসূরী | মিজানুর রহমান চৌধুরী |
উত্তরসূরী | কাজী জাফর আহমেদ |
বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ জুলাই ১৯৮৬ – ২৭ মার্চ ১৯৮৮ | |
রাষ্ট্রপতি | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ |
প্রধানমন্ত্রী | মিজানুর রহমান চৌধুরী |
পূর্বসূরী | কাজী জাফর আহমেদ |
উত্তরসূরী | শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন |
কাজের মেয়াদ ১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ – ২ জানুয়ারি ১৯৮০ | |
রাষ্ট্রপতি | জিয়াউর রহমান |
প্রধানমন্ত্রী | শাহ আজিজুর রহমান |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্টি |
উত্তরসূরী | বদরুদ্দোজা চৌধুরী |
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | আব্দুল মতিন খসরু |
উত্তরসূরী | শফিক আহমেদ |
বাংলাদেশের যোগাযোগ মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৫ আগস্ট ১৯৮৫ – ২৩ মার্চ ১৯৮৬ | |
পূর্বসূরী | সুলতান আহমেদ |
উত্তরসূরী | সুলতান আহমেদ |
কাজের মেয়াদ ২৫ মে ১৯৮৬ – ৯ আগস্ট ১৯৮৬ | |
পূর্বসূরী | সুলতান আহমেদ |
উত্তরসূরী | এম এ মতিন |
নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ২৪ মার্চ ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | আব্দুর রহমান |
উত্তরসূরী | হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ |
কাজের মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫ | |
পূর্বসূরী | হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ |
উত্তরসূরী | এ এস এম এনামুল হক |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | ওবায়দুল কাদের |
উত্তরসূরী | ওবায়দুল কাদের |
নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | জাফর ইমাম |
উত্তরসূরী | কে এম হোসেন |
বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | খালেদা জিয়া |
উত্তরসূরী | মুহম্মাদ আলতাফ আলী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মানিকপুর গ্রাম, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১৪ মে ১৯৪০
মৃত্যু | ১৬ মার্চ ২০২১ ৮০) মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, সিঙ্গাপুর | (বয়স
সমাধিস্থল | পারিবারিক কবরস্থান মানিকপুর গ্রাম, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ (১৯৭১–২০২১) |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (১৯৭৮–১৯৮৪),(১৯৯৬–২০২১) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি (১৯৮৪–১৯৯৬) |
দাম্পত্য সঙ্গী | হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ |
সম্পর্ক | জসীম উদ্দীন (শশুর), তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (ভায়রা) |
সন্তান | ২ ছেলে ও ১ মেয়ে |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ |
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যারয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এবং বিদেশি আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ছিলেন তিনি।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের আইনজীবীদের একজন ও মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের ডাকা গোলটেবিল বৈঠকে আইনজীবী এবং অরাজনৈতিক, অবৈতনিক সচিব হিসেবে শেখ মুজিবের সাথে ছিলেন।
মওদুদ আহমেদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জের মানিকপুর গ্রাম জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ।
মওদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে ব্রিটেনের লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল' ডিগ্রি অর্জন করেন।
মওদুদ আহমদ বার-অ্যাট-ল শেষ করে ৬০ এর দশকের মাঝামাঝি লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পরই হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তখন তিনি ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের জুনিয়র হিসাবে কাজ শুরু করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন ১৯৯৭ সালে। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১০), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৩) ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের (১৯৮১, ১৯৯৮, ২০১১ ও ২০১২) ফেলো ছিলেন তিনি।
মওদুদ আহমদ স্কুলের ছাত্র থাকার সময় বাংলা ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিয়ে তিনি জেল খেটেছিলেন। তিনি ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় কলেজ ছাত্র সংসদের আপ্যায়ন সম্পাদক ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফরমান উল্লাহ খানের প্রতিষ্ঠিত খেলাফত রব্বানীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশক্তির সাথে জড়িত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করার পর তিনি লন্ডনে বার-অ্যাট-ল পড়তে যান।
তিনি বার-অ্যাট-ল শেষ করে ৬০ এর দশকের মাঝামাঝি লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন। তখন ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণা করলে তারা তার সমর্থনে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামেন। একজন আইনজীবী এবং অরাজনৈতিক, অবৈতনিক সচিব হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে থেকেছেন। আইয়ুব খানের সাথে দুই দফা গোল টেবিল বৈঠকে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন।
মওদুদ আহমদ ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের সহকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি শাসকদের করা যে মামলা 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা' হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল এবং যে মামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল - সেই মামলায় আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন।
মওদুদ আহমদ মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিবনগর সরকারের পোস্টমাস্টার জেনারেল ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকদেরও অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে লন্ডনে অবস্থান করে তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে জনমত সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ নামে একটি ইংরেজি মুখপত্র নিয়মিত প্রকাশ করার দায়িত্ব পালন করেন। তখন মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত ডাকটিকিট প্রকাশ ও শুভেচ্ছামূল্য বাবদ অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেন তিনি।
মওদুদ আহমদকে ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের সময় বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চর অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়। তার শ্বশুর পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের একান্ত আবেদনে শেখ মুজিবুর তাকে মুক্তি দেন।
বিএনপি প্রতিষ্ঠার আগে জিয়াউর রহমান জাগদল গঠন করেছিলেন। সেই জাগদলের ১৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন মওদুদ। তিনি ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৭ থেকে ২৯ জুন ১৯৭৮ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা হিসেবে ডাক, টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠার সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নোয়াখালী-৫ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[2]
জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে ১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ থেকে ২ জানুয়ারি ১৯৮০ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্টারকালেক্টর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান তাকে মন্ত্রীসভা থেকে অব্যাহতি দেন।
১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ থেকে ২৪ মার্চ ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা ছিলেন।[3][4] ১৯৮২ সালে এরশাদের সামরিক শাসনামলে গুলশানের বাড়িসংক্রান্ত মামলায় মওদুদের বাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়। তিনি ১২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।
১৯৮৫ সালে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৮৫ সালেই তিনি এরশাদের সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করলে মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নোয়াখালী-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[5] হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রীসভায় ৫ আগস্ট ১৯৮৫ সাল থেকে ২৩ মার্চ ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি ৯ জুলাই ১৯৮৬ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত তিনি পুনরায় বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নোয়াখালী-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[6] ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদে সংসদে তিনি সংসদ নেতাও ছিলেন। তিনি ২৭ মার্চ ১৯৮৮ থেকে ১২ আগস্ট ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
১২ আগস্ট ১৯৮৯ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়, বিশেষ কার্যাদি (কল্যাণ) মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা ন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে এরশাদ সরকারের পতন হলে তিনি জেলে যান।
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[7][1] জাতীয় পার্টির হয়ে তিনি তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলন করেন। ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নোয়াখালী-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে পরাজিত হন।[1]
১৯৯৬ সালে বিএনপি বিরোধী দলে গেলে তিনি পুনরায় বিএনপিতে যোগ দিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নোয়াখালী-৫ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[8][1] অষ্টম জাতীয় সংসদের মন্ত্রীসভায় তিনি ১০ অক্টোবর ২০০১ থেকে ২৯ অক্টোবর ২০০৬ সাল পর্যন্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে পরাজিত হলেও খালেদা জিয়ার ছেড়েদেয়া আসন বগুড়া-৭ থেকে তিনি ২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[9][1] ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে পরাজিত হন।[1]
মওদুদ আহমদ এক ডজন বই লিখেছেন।
মওদুদ আহমদের স্ত্রী পল্লিকবি জসিমউদদীনের মেয়ে হাসনা জসীমউদদীন মওদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং এরশাদ সরকারের সময়ে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। এই দম্পতির দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। বড় ছেলে আসিফ মওদুদ ছোট বয়সেই মারা যান। দ্বিতীয় সন্তান আমান মওদুদ প্রতিবন্ধী ছিলেন এবং তিনিও ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মারা যান। একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার আনা আসপিয়া মওদুদ স্বামীসহ থাকেন নরওয়েতে।
মওদুদ আহমদ ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সিওপিডি রোগে আক্রান্ত হলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। পরে ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে ৬.৩০ মিনিট নাগাদ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মানিকপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় তাকে।[12][13][14]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.