ভূপেন হাজারিকা সেতু
আসাম প্রদেশের সেতু, ভারত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আসাম প্রদেশের সেতু, ভারত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.
ভূপেন হাজারিকা সেতু বা ঢোলা-সাদিয়া সেতু হল পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যে লোহিত নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু। এটি ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সড়ক সেতুর।[1][2][3] ঢোলা থেকে সাদিয়া পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্য জুড়ে ব্রহ্মপুত্রের উপনদী লোহিত নদীর উপরে তৈরি হয়েছে ভূপেন হাজারিকা সেতু। এই সেতু প্রতিবেশী দুই রাজ্য অসম আর অরুণাচল প্রদেশকে যুক্ত করেছে।
ভূপেন হাজারিকা সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৭°৪৭′৫৫″ উত্তর ৯৫°৪০′৩৪″ পূর্ব |
বহন করে | মোটরযান |
অতিক্রম করে | লোহিত নদী |
স্থান | ঢোলা-সাদিয়া, তিনসুকিয়া, ভারত |
রক্ষণাবেক্ষক | সড়ক পরিবহন ও জনপথ মন্ত্রক নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | বিম সেতু |
মোট দৈর্ঘ্য | ৯.১৫ কিলোমিটার (৫.৬৯ মাইল) |
প্রস্থ | ১২.৯ মিটার (৪২ ফুট) |
দীর্ঘতম স্প্যান | ৫০ মিটার (১৬০ ফুট) |
স্প্যানের সংখ্যা | ১৮৩ |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | নভেম্বর ২০১১ |
নির্মাণ শেষ | ১০ মার্চ ২০১৭ |
চালু | ২৬/০৫/২০১৭ (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেতুর উদ্ভোধন করেন) |
অবস্থান | |
অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে সাদিয়ার দূরত্ব ৫৪০ কিলোমিটার। অন্য দিকে, অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে ঢোলার দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। এই সেতুর সুবাদে দুই রাজ্যের মধ্যে সড়কপথের যাতায়াত আরও সহজ হয়েছে। অরুণাচলে কোনও বিমানবন্দর নেই। এই সেতু চালুর ফলে অসম থেকে অরুণাচল পর্যন্ত চার ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। মুম্বইয়ের বিখ্যাত বান্দ্রা-ওরলি সমুদ্র সংযোগ সেতুর থেকে ৩০ শতাংশ বেশি দীর্ঘ এই সেটি। এই সেতুটি বান্দ্রা-ওরলি সমুদ্র সংযোগ সেতুর চেয়ে প্রায় ৩.৫৫ কিলোমিটার বেশি দীর্ঘ।[4]
২০১১ সালে শুরু হয়েছিল এই সেতু তৈরির কাজ। খরচ হয়েছে ৯৫০ কোটি রুপি। সাধারণ মানুষসহ সেনাবাহিনীর কাছেও এই সেতুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অরুণাচলের উত্তর দিকে রয়েছে চিন সীমান্ত। ফলে এই অঞ্চল থেকে দেশের মূলভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঢোলা-সাদিয়া সেতু। ঢোলা-সাদিয়া সেতুর যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতির জন্য ২০১৫ সালে ১৫,০০০ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
স্থানীয় জনগণের দাবির পর ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয় ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্পটির একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে। ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে সড়ক ও মহাসড়কের অরুণাচল প্রদেশ প্যাকেজের অংশ হিসাবে ভারত সরকারের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল[5]।
নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সাথে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব হিসাবে ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে সেতুটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালে। যাইহোক, নির্মাণ বিলম্ব এবং ব্যয় বৃদ্ধির কারণে, ২০১৭ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়[6][7]।
প্রকল্পটির ব্যয় প্রায় ₹১,০০০ কোটি (২০২৩ সালে ₹১৪ বিলিয়ন বা $১৬৮ মিলিয়নের সমতুল্য) এবং নির্মাণ শেষ হতে পাঁচ বছরের বেশি সময় লেগেছিল[8]। এটি মুম্বাইয়ের বান্দ্রা ওয়ারলি সি লিঙ্কের চেয়ে ৩.৫৫ কিলোমিটার (২.২১ মাইল) দীর্ঘ, এটি ভারতের দীর্ঘতম সেতুতে পরিণত হয়েছে[9]।
সেতুটি ২৬ মে ২০১৭-তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নিতিন গড়করি (সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী) উদ্বোধন করেছিলেন। আসামের একজন শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ভূপেন হাজারিকার নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে[10]।