ভারতের সরকারি প্রকৌশল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান খড়্গপুর (আইআইটি খড়গপুর) একটি সরকারি স্বশাসিত গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, যা ভারতের সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি প্রথম আইআইটি এবং এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। ২০১৯ সালে এটি ভারতের সরকার দ্বারা ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স (বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা) হিসেবে পুরস্কৃত হয়।[৪] আইআইটি খড়গপুরকে ভারতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়।[৫]
![]() | |
নীতিবাক্য | योगः कर्मसु कौशलम् (যোগঃ কর্মসু কৌশলম) |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | যোগই কর্মে শ্রেষ্ঠত্ব |
ধরন | সরকারি গবেষণাধর্মী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৮ আগস্ট ১৯৫১ |
অধিভুক্তি | ব্রিকস বিশ্ববিদ্যালয় লীগ জাতীয় গুরুত্বের ইনস্টিটিউট |
চেয়ারম্যান | থাচাত বিশ্বনাথ নরেন্দ্রন |
পরিচালক | বীরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি[১][২] |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৯২৮ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ১,৫০০ |
শিক্ষার্থী | ১৫,৮৬২ |
স্নাতক | ৮,২৮৯ |
স্নাতকোত্তর | ৩,৬৫৪ |
৩,৯১৯ | |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | ২,১৫০ একর (৮.৭ কিমি২)[৩] |
ভাষা | ইংরেজি |
পোশাকের রঙ | নীল |
সংক্ষিপ্ত নাম | আইআইটিয়ান, কেজিপিয়ান |
ক্রীড়ার অধিভুক্তি | ইন্টার আইআইটি স্পোর্টস মিট |
মাসকট | অশ্বত্থ |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
প্রতিষ্ঠানটি মূলত স্বাধীনতার পরে ভারতীয় প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক সক্ষমতা বৈচিত্র্যময় হয়েছে, যেখানে ব্যবস্থাপনা, আইন, স্থাপত্য, মানবিক বিজ্ঞান ইত্যাদিরও পাঠক্রম রয়েছে। আইআইটি খড়গপুরের ক্যাম্পাসের আয়তন ৮.৭ বর্গকিলোমিটার (২,১০০ একর) এবং এতে প্রায় ২২,০০০ অধিবাসী রয়েছে।[৬]
আইআইটি খড়গপুর ইনস্টিটিউট সমাবর্তন দিবসে বার্ষিক বিশিষ্ট অ্যালামনাস অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তার প্রাক্তন ছাত্রদের পেশাদার কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেয়। ইনস্টিটিউট প্রাক্তন ছাত্রদেরও স্বীকৃতি দেয় যারা ইনস্টিটিউটে অসামান্য পরিষেবা প্রদান করেছে একটি বিশিষ্ট পরিষেবা পুরস্কার। ইয়াং অ্যালামনাই অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড ৪৫ বা তার কম বয়সী প্রাক্তন ছাত্রদের স্বীকৃতি দেয়, যারা তাদের পেশায় সাফল্য এবং স্বীকৃতি অর্জন করেছে।[৭]
বিনোদ গুপ্ত স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট (ভিজিএসওএম) এবং রাজীব গান্ধী স্কুল অফ ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ল (বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আইন) প্রতিষ্ঠিত হয় বিনোদ গুপ্ত (ইনফোগ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা) কর্তৃক দানকৃত অর্থ এবং ভারত সরকারের সহায়তায়। ভিজিএসওএম ১৯৯৩ সালে ৩০ জন শিক্ষার্থীর একটি ব্যাচ দিয়ে শুরু হয়। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তহবিলে গঠিত অন্যান্য কেন্দ্রগুলোর মধ্যে জি.এস. সান্যাল স্কুল অফ টেলিকমিউনিকেশন এবং ভিএলএসআই-ক্যাড ল্যাবরেটরি অন্তর্ভুক্ত। ১৯৯২ সালে বিনোদ গুপ্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আইআইটি ফাউন্ডেশন হল প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমিতি, যার শাখাগুলি ভারতের বিভিন্ন শহর এবং বিদেশে অবস্থিত। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমিতি ত্রৈমাসিক সংবাদপত্র 'কেজিপিয়ান' প্রকাশ করে।[৮] প্রতিষ্ঠানটি 'কেজিপি কানেকশন' নামে একটি মাসিক ই-নিউজলেটারও প্রকাশ করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য।[৯] আইআইটি খড়গপুরের অ্যালামনাই অ্যাফেয়ার্সের ডিন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের দায়িত্বে আছেন। আইআইটি খড়গপুরের যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা "ভিশন ২০২০" তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছেন, যার লক্ষ্য হল বিশ্বমানের অবকাঠামো (প্রযুক্তি ল্যাবরেটরি এবং সরঞ্জাম), যোগ্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী আকৃষ্ট ও ধরে রাখার জন্য সহায়তা করা। ভিশন ২০২০ এর লক্ষ্য হল ২০২০ সালের মধ্যে প্রযুক্তি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন সংশ্লিষ্ট বিকাশের জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি তহবিল সংগ্রহ করা।[১০]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.