ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বৈসু (ইং: Bwisu/Boisu/Buisu) বাংলাদেশ এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।[১][২] চৈত্র মাসের শেষ দুইদিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিনদিনব্যাপী এ উৎসব পালন করা হয়।[৩] প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিনকে বৈসুমা এবং তৃতীয় বা শেষ দিনটিকে বলা হয় বিসি কতাল। মূলত আগামী দিনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয়।
বৈসু ত্রিপুরী নববর্ষ | |
---|---|
আনুষ্ঠানিক নাম | বৈসু |
পালনকারী | ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী |
ধরন | সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় |
তাৎপর্য | ত্রিপুরী নববর্ষ |
উদযাপন | তিন দিন |
শুরু | ত্রিপুরী বর্ষপঞ্জির বৈশাখ মাসের প্রথম দিন |
তারিখ | ২৯, ৩০ চৈত্র ও ১লা বৈশাখ |
সংঘটন | বার্ষিক |
সম্পর্কিত | দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সৌর নববর্ষ |
হারি বৈসুর[৪] দিনে ভোরবেলায় ফুলগাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করার প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এই ফুলে একাংশ দিয়ে পুরো বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয় এবং ফুলের আর এক অংশ দিয়ে নদীর তীরে ,মন্দিরে এবং পবিত্র স্থানে ফুল, ধুপ এবং দীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে।
বৈসুমা হচ্ছে দ্বিতীয় দিন এবং এইদিনে মূলত খাদ্য উৎসব করা হয়। এই দিনে মানুষ একজন আর একজনের বাসায় ঘুরে দেখা সাক্ষাৎকার করে। বৈসুমা দিনের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে মিক্স সবজি যেটাকে "লাবড়া " বলে ককবরক ভাষায়।[৫] এই লাবড়া তৈরির জন্য প্রায় ৩০-৪০ ধরনের সবজি দেয়া হয়। পাশাপাশি ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলোর পাশাপাশি সেমাই , পায়েস, নুডলস সহ অনেক খাবার আইটেম থাকে |
তৃতীয় দিন হচ্ছে বিসিকাতাল[৬] এই দিনে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। পরিবারের ছোটরা বড়দের পানি দিয়ে পা ধুয়ে প্রণাম করে। নতুন বছরে সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করা হয়। [৭]
বৈসুর সময় ত্রিপুরারা/ত্রিপুরিরা নিজেদের ঐতিহবাহী খেলা সুকুই ( গিলা) , ওয়াকরাই, চপ্রিং, কাংটি/কাং ইত্যাদি খেলা খেলে থাকে এবং পাশাপাশি ঐতিহবাহী গরয়া নৃত্য পরিবেশন করে। [৮]নতুন বছরের মঙ্গলের জন্য পরিবারের সদস্যদের মধ্যে "কমা বতই(এক ধরনের পবিত্র পানি ছিটানো হয়।[৯]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.