Loading AI tools
উইকিসংবাদের নিবন্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির এক নির্বাচনী সমাবেশ শেষে সভাস্থল ত্যাগ করার পর গাড়ীতে আরোহণের পর মুহূর্তে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির ভুট্টো। আত্মঘাতী হামলাকারী প্রথমে তার ঘাড়ে গুলি করে এবং পরবর্তীকালে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলে, র্যালি শেষে বেনজীর তার এসইউভিতে চড়ে গন্তব্যে যাত্রা করবেন এমন সময় তার গাড়িতে এক বা একাধিক আততায়ী গুলিবর্ষণ করে। যখন অন্য কেউ মনে করছিল বেনজীরকে গুলি করে হত্যার প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ সফল হয়নি, তখন এসইউভি'র আশেপাশে কোথাও থেকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ঘাড়ে গুলি লাগার কারণে বেনজীরের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়েছিল, যে আততায়ী গুলি করেছিল সে-ই নিরাপত্তা রক্ষীদের হাত থেকে বাঁচতে বোমা বিস্ফোরণটি ঘটায়।
বেনজীর ভুট্টো হত্যাকাণ্ড | |
---|---|
স্থান | রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান[1] |
তারিখ | ডিসেম্বর ২৭, ২০০৭ |
লক্ষ্য | বেনজীর ভুট্টো |
হামলার ধরন | আত্মঘাতী হামলা,[1] গুলি বর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ[2] |
নিহত | ২৩ - ২৪[3][4] |
দলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছিলেন, আততায়ী নিজের শরীরে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর পূর্বে বেনজীরের ঘাড়ে ও বুকে গুলি করেছিল। বেনজীর রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকত জাতীয় বাগ থেকে র্যালি শেষে ফিরার উদ্যোগ করছিলেন। স্থানীয় সময় ১৮:১৬ (জিএমটি ১৩:১৬)-তে রাওয়ালপিন্ডি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার সময় বেনজীরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে দলের কর্মীসহ মোট ২৩/২৪ জন নিহত হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, এই ঘটনার দুই মাস আগেও একবার বেনজীর হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল।
বেনজীর ভুট্টোর নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, একজন আততায়ী বেনজীর গাড়িতে উঠার পর তার ঘাড়ে এবং কাঁধে গুলি করেছে। এই গুলির ফলেই বেনজীরের মৃত্যু হয়। গুলি করার পর আততায়ী যখন পালানোর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না তখন সে নিজের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সে সহ আরও অনেকে নিহত হয়। দলের কর্মী এবং বেনজীরের সমর্থকরা এই ঘটনাতেই তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তারা বলছে, সরকার থেকে বেনজীরকে যথেষ্ট নিরাপত্তা না দেয়ার কারণেই এমনটি ঘটতে পেরেছে। না হলে এতো নিকট থেকে আততায়ীর গুলি করাটা বেশ বিস্ময়জনক।
কিন্তু পরবর্তীকালে পাকিস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রঞ্জন রশ্মি পরীক্ষায় বেনজীরের মাথা বা শরীরের অন্য কোথায় গুলির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। শুধু গুলি নয়, তার শরীরে বহিরাগত কোন বস্তুর অস্তিত্বই এক্স-রেতে ধরা পড়েনি। তারা বলেন, বোমা বিস্ফোরিত হবার পর প্রচণ্ড অভিঘাত তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এই অভিঘাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বেনজীর গাড়িতে ঢুকে নিরাপদ স্থানে সরে যাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিঘাতে গাড়ি দুলে উঠে এবং গাড়ির ডানদিকের সানরুফের লিভারটি তার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়। অনেকেই ধারণা করছেন, বেনজীরের নিরাপত্তা যথেষ্ট ছিলনা বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সরকার এ ধরনের কাহিনী বানিয়েছে। বিশেষত দলীয় কর্মীদের তা-ই মত।
কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পর আল কায়েদার বরাত দিয়ে একটি টিভিতে জানানো হয়, আল কায়েদাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর তারিখে আল কায়েদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়, আল কায়েদা এই হামলা চালায় নি। অর্থাৎ আল কায়েদা এই হামলার দায় অস্বীকার করেছিল।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.