Loading AI tools
নারীভিত্তিক বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বেগম বাংলা ভাষায় প্রথম সচিত্র নারী সাপ্তাহিক। সাহিত্য ক্ষেত্রে মেয়েদের এগিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই কলকাতা থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৫০ সালে পত্রিকাটির কার্যালয় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পত্রিকাটির আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে স্থান পায় নারী জাগরণ, কুসংস্কার বিলোপ, গ্রামগঞ্জের নির্যাতিত নারীদের চিত্র, জন্মনিরোধ, পরিবার পরিকল্পনা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের জীবনবোধ থেকে লেখা চিঠি এবং বিভিন্ন মনীষীর বাণী।
সুধী ব্যক্তিরা বলেন, জাতি গঠনের দায়িত্ব প্রধানত নারীসমাজের হাতে, কথাটা অনস্বীকার্য নয় এবং এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে হলে পৃথিবীর কোনো দিক থেকেই চোখ ফিরিয়ে থাকলে আমাদের চলবে না, এ কথাও মানতে হবে। শিল্প-বিজ্ঞান থেকে আরম্ভ করে গৃহকার্য ও সন্তান পালন সর্বক্ষেত্রে আমরা সত্যিকার নারীরূপে গড়ে উঠতে চাই।
সুফিয়া কামাল, বেগম, প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়[1]
পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৎকালীন সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। পরে পত্রিকাটির সম্পাদনা শুরু করেন নূরজাহান বেগম।[2] ‘বেগম’-এর প্রথম সংখ্যা ছাপা হয়েছিল ৫০০ কপি ও এর মূল্য ছিল চার আনা। প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছিল নারী অধিকার পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার ছবি।[3]
১৯৪৮ সালে কলকাতায় প্রথম 'ঈদসংখ্যা বেগম' প্রকাশিত হয়। এ সংখ্যায় ৬২ জন নারী লেখকের লেখা ছাপা হয়। এর মূল্য ছিল ২ টাকা। ধর্ম সম্পর্কে মহিলাদের জ্ঞান লাভের জন্য ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত হয় বেগম বিশ্বনবী সংখ্যা। এ সংখ্যায় ২৪টি প্রবন্ধ, ৪টি কবিতা, ২টি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়।[1]
১৯৫০ সালে পত্রিকাটিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
১৯৫৪ সালে মার্কিন মহিলা সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী মিসেস আইদা আলসেথ ঢাকায় বেগম পত্রিকা অফিস পরিদর্শন করেন।
বর্তমানে বেগম মাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে এর দায়িত্বে আছে নূরজাহান বেগমএর জ্যেষ্ঠ কন্যা ফ্লোরা নাসরিন খান।
১৯৫৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে 'বেগম ক্লাব' প্রতিষ্ঠিত হয় যার প্রেসিডেন্ট হন বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ, সেক্রেটারি হন নূরজাহান বেগম এবং বেগম সুফিয়া কামাল ছিলেন এর অন্যতম উপদেষ্টা।[4] এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ক্লাব। ক্লাবটি ১৯৭০ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতবর্ষ বিভক্ত হবার পরে ১৯৫০ সালে বেগম পত্রিকার অফিস ঢাকায় চলে আসে। এর নতুন ঠিকানা হয় বর্তমান পুরনো ঢাকার পাটুয়াটুলিতে। এখন পর্যন্ত বেগম পত্রিকার কার্যালয় এখানেই আছে। [5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.