Remove ads
ভারতীয় মহিলা শিক্ষাবিদ, বামপন্থী কর্মী ও নারীবাদী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ড. বীণা মজুমদার (জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯২৭ - মৃত্যু: ৩০ মে, ২০১৩) কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ভারতীয় মহিলা শিক্ষাবিদ, বামপন্থী কর্মী ও নারীবাদী ছিলেন। ভারতে নারীদের গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ভারতে নারী আন্দোলনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। প্রথম মহিলা শিক্ষাবিদ হিসেবে সক্রিয়তার পাশাপাশি নারী গবেষণায় পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভারতে নারীদের মর্যাদাবিষয়ক প্রথম কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে টুওয়ার্ডস ইকুয়ালিটি শীর্ষক প্রতিবেদনে দেশের নারীদের অবস্থার বিষয়ে তুলে ধরেন।[১][২] ১৯৮০ সালে ভারতীয় সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার (আইসিএসএসআর) অধীনে প্রতিষ্ঠিত স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা সেন্টার ফর ওম্যানস ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (সিডব্লিউডিএস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। দিল্লিভিত্তিক ওম্যানস ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সেন্টারের জাতীয় গবেষণা অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত হন।[৩]
বীণা মজুমদার | |
---|---|
জন্ম | কলকাতা, ভারত | ২৮ মার্চ ১৯২৭
মৃত্যু | ৩০ মে ২০১৩ ৮৬) নতুন দিল্লি, ভারত | (বয়স
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | ডি. ফিল. |
মাতৃশিক্ষায়তন | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ওম্যান স্টাডিজ শিক্ষাবিদ ও গবেষক |
প্রতিষ্ঠান | সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা, দিল্লি |
বীণা মজুমদার কলকাতার মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠা ছিলেন। বাবা প্রকাশ মজুমদার পেশায় প্রকৌশলী ছিলেন। তার কাকা আর.সি. মজুমদার সুপ্রসিদ্ধ ইতিহাসবেত্তা ছিলেন।[৪] কলকাতার সেন্ট জোন্স ডাইওসিসান গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে বিদ্যালয় জীবন পার করে বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ওম্যানস কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে আশুতোষ কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে অবস্থানকালে আশুতোষ কলেজ গার্লস স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন।
কলেজে থাকাকালীন রামা রাও কমিটির সমর্থনে সভা-সমাবেশ আয়োজন করেন। ঐ কমিটি উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কন্যাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করেছিল।[৪] ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের অল্প কিছুদিন পর অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫১ সালে সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন ও সেখান থেকে ১৯৬২ সালে ডি.ফিল সম্পন্ন করেন।
১৯৫১ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে বর্ণাঢ্যময় কর্মজীবন শুরু করেন। অল্প কিছুদিন পরই পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রথম সচিব হন।[৪] পরবর্তীতে বারহামপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীকালে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সচিবালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
এপ্রিল-ডিসেম্বর, ১৯৭০ সময়কালে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও সামাজিক পরিবর্তন শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের জন্য শিমলায় ভারতীয় এডভান্স স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের ফেলো মনোনীত হন।[১][৫]
১৯৭১-৭৪ সময়কালে ভারতের মহিলাদের মর্যাদাবিষয়ক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭১ সালে এ কমিটি ভারত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ছিল। তাকে সাথে নিয়ে কমিটি পুণর্গঠিত হয় ও পরবর্তীতে সদস্য সচিবরূপে নিযুক্ত করে।[৬]
২০১০ সালে তিনি স্মৃতিকথাভিত্তিক মেমরিজ অব এ রোলিং স্টোন প্রকাশ করেন।
১৯৫২ সালে প্রথিতযশা সঙ্গীতজ্ঞ শঙ্কর মজুমদারের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। পাটনায় কর্মরত অবস্থায় তারা একে-অপরের সাথে পরিচিত হন। বিয়ের পর ‘মজুমদার’ বানান সংশোধন করনে।[৪] এ দম্পতির চার সন্তান রয়েছে। তিন কন্যা ও এক পুত্রের মধ্যে এক কন্যা মার্কসবাদী ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সীতারাম ইয়েচুরি’র সাবেক স্ত্রী ছিলেন।
৮৬ বছর বয়সে স্বল্পকালীন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে ৩০ মে, ২০১৩ তারিখে দিল্লির একটি হাসপাতালে তার দেহাবসান ঘটে। এ সময় তিনি তার সন্তানদের রেখে গেছেন।[৪]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.