Remove ads
বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র।[1] এই একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
প্রতিষ্ঠাতা(গণ) | শেখ মুজিবুর রহমান |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ |
উদ্দেশ্য | জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে সকল মানুষের জন্য শিল্প সংস্কৃতির প্রবাহ তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠন |
মহাপরিচালক | সৈয়দ জামিল আহমেদ |
স্বত্বাধিকারী | সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
প্রাক্তন নাম | পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল |
অবস্থান | , বাংলাদেশ |
ঠিকানা | ১৪/৩, সেগুনবাগিচা, রমনা, ঢাকা- ১০০০ |
ওয়েবসাইট | shilpakala.gov.bd |
জাতীয় সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলার চর্চা ও বিকাশের উদ্দেশে ১৯৭৪ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ আইন দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে জাতীয় সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে জাতীয় আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে গৃহীত “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আইন ১৯৭৪” (১৯৭৪ সালের আইন নং ৩১) অনুসারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। একাডেমীর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন ড. মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।[2]
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, ঢাকার রমনায় সেগুনবাগিচা এলাকার দুর্নীতি দমন কমিশন ভবনের বিপরীতে অবস্থিত। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের ৬৩টি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীসমূহ একটি "কার্য নির্বাহী" কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসন পদাধিকার বলে উক্ত কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেক জেলায় একজন কালচারাল অফিসার রয়েছেন, যিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লালন ও বিকাশে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।[3]
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নিম্নলিখিত বিভাগ নিয়ে গঠিত:
সাংস্কৃতিক বিষয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে দুস্থ ও গুণী শিল্পীদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যাবলীর অংশ। অন্যদিকে বিভিন্ন পুরস্কার এবং সম্মাননা প্রদানসহ সাংস্কৃতিক সংস্থাসমূহকে অনুদান প্রদান করে থাকে এই প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, নাটক, সংগীত ও নৃত্যনুষ্ঠান, আন্তর্জাতিক উৎসবের এবং প্রতিযোগীতার আয়োজন করে থাকে। পাশাপাশি চারুকলা, সংগীত, নৃত্য, নাটক ও চলচ্চিত্র বিষয়ক গ্রস্থাদি প্রকাশ, গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণ এবং প্রকাশনা বিক্রয়ের ব্যবস্থাসহ সিম্পোজিয়াম আয়োজনও করে থাকে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিশাল চত্বরে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক জাতীয় নাট্যশালা, জাতীয় চিত্রশালা, সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি ভবন এবং প্রশিক্ষণ ভবন। এখানকার মঞ্চে নিয়মিত নাট্যপ্রদর্শন, গ্যালারীতে চিত্রকর্ম প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর ব্যতীত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিস্তৃত করার লক্ষ্যে দেশের ৬৩টি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমানে এর কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। বর্তমানে একাডেমিতে সঙ্গীত, নৃত্যকলা, তালযন্ত্র, আবৃত্তি এবং চারুকলা বিষয়ে পাথদান করা হয়।[4]
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, কক্সবাজার বা কক্সবাজার শিল্পকলা একাডেমি কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টে অবস্থিত।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম বা চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আলী সড়কে ম্যানোলা পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী বাগমনিরাম এলাকায় অবস্থিত। ১৯৭৩ সালে "চট্টগ্রাম কলাভবন" প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরীর হাতে এর গোড়াপত্তন ঘটে।[5] ১৯৭৭ সালে "চট্টগ্রাম উৎসব ১৯৭৭" উদ্যাপনের উদ্যেশ্যে "চট্টগ্রাম কলাভবন" নামে একটি অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়।[6][7][8] বর্তমানে এখানে কণ্ঠসঙ্গীত, নৃত্যকলা, তালযন্ত্র, চারুকলা বিভাগে চার বছর মেয়াদী কোর্স এবং আবৃত্তি ও নাট্যকলা বিভাগে দুই বছর মেয়াদী ফাউন্ডেশন কোর্স চালু রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর শিল্প সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য পাঁচ জন শিল্পীকে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, রাজশাহী বা রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার রাজশাহী কোর্ট অঞ্চলে শ্রীরামপুর এলাকায় আবস্থিত। একাডেমির পশ্চিম প্রান্তে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, উত্তরে রাজশাহী পর্যটন মোটেল ও কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এবং দক্ষিণে ডিআইজির বাসভবন, জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্স ও পদ্মা নদী প্রবহমান। অনেক গুণীকর্মকর্তা এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। বর্তমান কর্মকর্তার হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন জনাব মো: ফারুকুর রহমান ফয়সল।[9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.