বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ
বাঙালি পুরাতত্ত্ববিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বসন্তরঞ্জন রায় (জন্ম: ১৮৬৫ - মৃত্যু: ৯ নভেম্বর ১৯৫২) একজন বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ, ভাষাতাত্ত্বিক এবং গবেষক। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ তাকে ‘বিদ্বদ্বল্লভ’ উপাধি দিয়েছিল।
বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১৮৬৫ |
মৃত্যু | ৯ নভেম্বর, ১৯৫২ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
স্বাক্ষর | ![]() |
জন্ম ও পরিবার
বসন্তরঞ্জন রায় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে এক অভিজাত ও বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবার নাম রামনারায়ণ রায়। শিল্পী যামিনী রায় তার জ্ঞাতি ভ্রাতা।[১]
শিক্ষাজীবন
তিনি পুরুলিয়া জেলা স্কুল অধ্যয়ন করেন। প্রবেশিকা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন।[২]
সাহিত্যকর্ম
তিনি বহু গ্রামে পুঁথির সন্ধান করে সারা জীবনে প্রায় ৮০০ পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদকে দান করেছিলেন। তিনি বিষ্ণুপুরের কাছে কাঁকিল্যা গ্রামের নিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়াল ঘরের মাচা থেকে ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথি আবিষ্কার করেন।[১] এটি ছিল তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি। [২] চর্যাপদের পরে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নিদর্শন।
১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ লিটারেচারের সদস্য ছিলেন। পরে এই সংস্থার নাম সাহিত্য পরিষদ হলে প্রথম থেকেই তিনি এর সদস্য হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ খোলা হলে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাকে অধ্যাপক মনোনীত করেন। ১৯১৯ থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি অধ্যাপনা করেন এবং এরপর সাহিত্য পরিষদের কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
উপাধি
বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভকে তার কাজের জন্য বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ‘বিদ্বদ্বল্লভ’ উপাধি দিয়েছিলেন।[১][২]
মৃত্যু
তিনি ৯ নভেম্বর ১৯৫২ সালে মারা যান।
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.