বনি এম. ছিলো একটি ইউরো-ক্যারিবীয় গানের দল। জার্মান রেকর্ড প্রযোজক ফ্র্যাঙ্ক ফারিয়ান দলটি শুরু করেছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পশ্চিম জার্মানিভিত্তিক দলটিতে সদস্য ছিলেন জ্যামাইকার লিজ মিচেল ও মার্সিয়া ব্যারেট, মন্টসারেতের মাইজি উইলিয়ামস এবং আরুবার মঞ্চ অভিনয় শিল্পী ববি ফ্যারেল। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটি ১৯৭০-এর দশকের ডিসকো সঙ্গীতের সময়কালে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৮০-এর দশকের পুরোটা সময়ে দলটি বিভিন্ন সময় ভিন্নি ভিন্ন ব্যক্তির সমন্বিত লাইন-আপ নিয়ে মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশ করে।
ব্যান্ডটি বিশ্বব্যাপী ৮০ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রি করে। তাদের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে "ড্যাডি কুল", "মা বেকার", "বেলফাস্ট", "সানি", "রাসপুটিন", "মেরি’স বয় চাইল্ড" এবং "রিভার্স অব ব্যাবিলন"।[1]
প্রতিষ্ঠা
জার্মান সঙ্গীতশিল্পী-গীতিকার ফ্র্যাঙ্ক ফারিয়ান ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে নৃত্য সঙ্গীত "বেবি ডু ইউ ওয়ানা বাম্প" রেকর্ড করেন। গানটি স্টুডিওতে কৃত্রিম চড়া সুর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ফ্র্যাঙ্ক রেকর্ডটি তার আসল নাম ব্যবহার করে প্রকাশের পরিবর্তে প্রথমে একক সঙ্গীত হিসেবে তার ছদ্মনাম ‘বনি এম.’ ব্যবহার করে প্রকাশ করেন। ফ্র্যাঙ্ক অস্ট্রেলীয় গোয়েন্দা টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘বনি’-এর নাম থেকে তার ছদ্মনামটি নিয়েছিলেন।[2] তিনি নামটি নেওয়া প্রসঙ্গে বলেছিলেন:
একদিন আমি টেলিভিশন দেখছিলাম এবং সেখানে বনি টেলিভিশন ধারাবাহিকটির শেষ পর্ব প্রচার হচ্ছিল যেখানে ‘বনি’ নামটি দেখতে পাই। আমার মনে হয়েছিলো এটি একটি ভালো নাম - বনি, বনি, বনি,....বনি এম., শুনতেও ভালো লাগে। সহজ।[2]
একক গানটি ধীরে ধীরে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এ সময় ফ্র্যাঙ্ক টেলিভিশনে গানটি পরিবেশনের জন্য মঞ্চ অভিনয় শিল্পী ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি প্রথমে মাইজি উইলিয়ামসকে খুঁজে পান। পরে মাইজি নৃত্যশিল্পী ববি ফ্যারেলকে নিয়ে আসেন। মার্সিয়া ব্যারেট এরপর যুক্ত হন যিনি পরবর্তীতে লিজ মিচেলকে নিয়ে আসেন। লিজ এর পূর্বে হামবুর্গভিত্তিক গানের দল ‘লেস হামফ্রিস সিঙ্গারস’ দলের সাথে যুক্ত ছিলেন।
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.