Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি প্রধান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রধান। তিনি ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতি হিসাবেও রয়েছেন। দুটি ক্ষমতাই ১৯৮৯ সাল থেকে ইয়াসির আরাফাতের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এবং তার উত্তরসূরি মাহমুদ আব্বাসের মাধ্যমে পরবর্তীতে এটি অব্যাহত ছিল। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে পিএলও সেন্ট্রাল কাউন্সিল আব্বাসকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের জন্য বলেছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে পিএলও সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি হিসাবে আব্বাসের কার্যকারিতা অব্যাহত রাখার অনুমোদন দেয়।[১]
ফিলিস্তিনেরের রাষ্ট্রপতি | |
---|---|
رئيس دولة فلسطين | |
মেয়াদকাল | ৪ বছর নবায়নযোগ্য |
গঠন | ২ এপ্রিল ১৯৮৯ |
প্রথম | ইয়াসির আরাফাত |
১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর মুনাজ্জামাত আল-তাহরির আল-ফিলিস্তিনিয়া সংস্থা ফিলিস্তিন রাজ্য (এসওপি) ঘোষণা করে। মুনাজ্জামাত আল-তাহরির আল-ফিলিস্তিনিয়া সংস্থার চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাত "ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি" উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ পিএলওকে "ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধি" হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। পিএলও ফিলিস্তিনি জাতীয় কাউন্সিল এবং একটি প্রবাসী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল, উভয়ই বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে।
ওসলো অ্যাকর্ডস সমান্তরাল প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল অথরিটি (ফিলিস্তিন জাতীয় কর্তৃপক্ষ বা পিএ) এবং ফিলিস্তিনের আইন পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেছিল, উভয়ইই প্যালেস্তিনি অঞ্চলগুলোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৯৪ সাল থেকে আরাফাত ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতির পদবি গ্রহণ করেছিলেন, যা ১৯৯৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে একীভূত হয়েছিল। সেই থেকে, উভয় ক্ষমতা (এসওপি এবং পিএ এর সভাপতি) একক ব্যক্তি দ্বারা একসাথে নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল।
২০১২ সালে, জাতিসংঘ "ফিলিস্তিনের রাজ্য" কে অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতির কার্যকারিতা বাতিল করেনি, কারণ এটি অসলো চুক্তি থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।
প্যালেস্তিনি কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতির বিপরীতে, ফিলিস্তিন রাজ্যের রাষ্ট্রপতির পদ গণতান্ত্রিক নির্বাচন দ্বারা বৈধ নয়, বরং পিএলও কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। ১৯৮৯ সালে, পিএলও কেন্দ্রীয় পরিষদ আরাফাতকে প্যালেস্তাইন রাজ্যের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে।[২] এ সময় তাকে যে পিএলও নির্বাচিত করেছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন আরাফাত নিজেই। ২০০৪ সালের নভেম্বরে আরাফাতের মৃত্যুর পরে পদটি খালি ছিল। আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার চার মাস পরে ২০০৫ সালের মে মাসে পিএলও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল আব্বাসকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি হিসাবে কাজ করতে বলেছিল। ২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর পিএলও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি আব্বাসকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা করে।[১] ২০০৫ ও ২০০৮ সালে আব্বাসকে নিযুক্ত পিএলও অঙ্গগুলো আব্বাসের নেতৃত্বে ছিল এবং এখনও রয়েছে।
১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ইয়াসের আরাফাত ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা ঘোষিত ফিলিস্তিন রাজ্যের প্রতীকী রাষ্ট্রপতি হন, ১৯৮৯ সালের ২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হন।[২] ১৯৯৪ সালে, তিনি ৫ জুলাই পিএর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরে প্যালেস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতিও হন।[৩]
২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আরাফাত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
নং | চিত্র | নাম (জন্ম-মৃত্যু) |
Term | রাজনৈতিক দল | নির্বাচন | তথ্যসূত্র | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব ত্যাগ | সময়কাল | ||||||
১ | ইয়াসির আরাফাত (১৯২৯–২০০৪) | ২ এপ্রিল ১৯৮৯ | ১১ নভেম্বর ২০০৪ † | ১৫ বছর, ২২৩ দিন | ফাতাহ | ১৯৯৬ | [২][৪] | |
– | রাহি ফাত্তোঃ (জন্ম ১৯৪৯) অস্থায়ী | ১১ নভেম্বর ২০০৪ | ১৫ জানুয়ারি ২০০৫ | ৬৫ দিন | ফাতাহ | – | [৫] | |
– | মাহমুদ আব্বাস (জন্ম ১৯৩৫) অস্থায়ী | ১৫ জানুয়ারি ২০০৫ | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ | ৩ বছর, ৩১৩ দিন | ফাতাহ | ২০০৫ | [৬] | |
২ | মাহমুদ আব্বাস (জন্ম ১৯৩৫) [৭] | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ | পদাধিকারী | ১৬ বছর, ১৪ দিন | ফাতাহ | – | [১] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.