ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে একাধিকবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[১]
ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল | |
---|---|
ময়মনসিংহ-১০ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০১৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪[১] | |
পূর্বসূরী | গিয়াস উদ্দিন আহমেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সেপ্টেম্বর ৯, ১৯৭৬ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
মাতা | মাহফুজা গোলন্দাজ |
পিতা | আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
প্রাথমিক জীবন
ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ১৯৭৬ সালের ২৩শে জুন জেলার গফরগাঁও থানার বাগুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ ও মাতার নাম মাহফুজা গোলন্দাজ। আলতাফ হোসেন ৩ বার সংসদ সদস্য ও ১ বার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। ফাহমী মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।[২]
রাজনৈতিক জীবন
ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে গফরগাঁও উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং ১,৮৫,০৭৮ ভোট পেয়ে খেলাফত মজলিসের নুরুল ইসলাম খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। বিএনপি সহ বিরোধী দল সমূহ নির্বাচন বর্জন করায় আর কোন প্রার্থী ছিল না। দশম সংসদের মেয়াদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
৩০ এপ্রিল ২০১৬ সালে জেলা কাউন্সিল হলে ২০১৮ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার কমিটি অনুমোদিত হলে বাবেল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন।[৩] ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন এবং মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২,৮১,২৩০ ভোট পেয়ে ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।[৪]
২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[১]
বিতর্ক
ফাহমির বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৪ জুন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তাকে মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে সেই কর্মকর্তা গফরগাঁও থানায় মামলা করেন। তবে ফাহমি এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে গফরগাঁও উপজেলার চেয়ারম্যান থাকার সময় থেকেই ফাহমির বিরুদ্ধে ক্যাডার পালনের অভিযোগ আছে। তার ক্যাডারদের হাতে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা ও হামলার অভিযোগ আছে। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন ময়মনসিংহ-১০ আসনের পূর্ববর্তী সাংসদ গিয়াস উদ্দিন তাকে হত্যার চেষ্টা চলছে জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট চিঠি দেন; যেখানে হত্যাচেষ্টার তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে ফাহমি গোলন্দাজের নাম উল্লেখ করা হয়।[৫][৬]
২০১৮ সালে ফাহমি গোলন্দাজ দ্বিতীয় দফায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে নিজ দলের ভিন্ন নেতার অনুসারী নেতা-কর্মী এবং তার বিরোধিতা করা ব্যক্তিদের ওপর হামলা ও এলাকাছাড়া করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.