Loading AI tools
২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পীপলী লাইভ হল ২০১০ সালের একটি ভারতীয় ব্যঙ্গাত্মক কৌতুক চলচ্চিত্র যেটি কৃষকের আত্মহত্যা এবং তার পরবর্তীতে সেই বিষয়ে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অন্বেষণ করেছে।[3] এটি রচনা ও পরিচালনা করেছিলেন অনুষা রিজভি, এটি ছিল তাঁর প্রথম পরিচালনা। এটি প্রযোজনা করেছিল আমির খান প্রোডাকশনস। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নয়া থিয়েটার কোম্পানির সদস্য ওঙ্কার দাশ মানিকপুরী। এছাড়াও আরও ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ্, রঘুবীর যাদব, নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী, শালিনী বৎসা এবং মালাইকা শেনয় সহ বেশ কয়েকজন নবাগত অভিনেতা। ইউটিভি মোশন পিকচার্স দ্বারা বিতরিত পীপলী লাইভ ২০১০ সালের ১৩ই আগস্ট মুক্তি পেয়েছিল।
পীপলী লাইভ | |
---|---|
পরিচালক | অনুষা রিজভি |
প্রযোজক | আমির খান কিরণ রাও |
চিত্রনাট্যকার | অনুষা রিজভি |
কাহিনিকার | অনুষা রিজভি |
শ্রেষ্ঠাংশে | ওঙ্কার দাস মানিকপুরী রঘুবীর যাদব শালিনী বৎসা মালাইকা শেনয় নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী নাসিরুদ্দিন শাহ্ |
সুরকার | ইন্ডিয়ান ওশান ব্রিজ মণ্ডল ভাদওয়াই নাগীন তনভীর রাম সম্পথ |
চিত্রগ্রাহক | শঙ্কর রামন |
সম্পাদক | হেমন্তি সরকার |
পরিবেশক | ইউটিভি মোশন পিকচার্স আমির খান প্রোডাকশনস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০৪ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ₹ ১০ কোটি (ইউএস$ ১.২২ মিলিয়ন)[1] |
আয় | ₹ ৪৬.৮৫ কোটি (ইউএস$ ৫.৭৩ মিলিয়ন)[2] |
৮৮ তম একাডেমী পুরস্কার অনুষ্ঠানে সেরা বিদেশী চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতের সরকারী উপস্থিতি ছিল পীপলী লাইভ,[4][5] যদিও এটি মনোনীত হয়নি।[6]
নাথা দাস মানিকপুরী, বা নাথা মুখ্য প্রদেশের পীপলী গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক। মা, বড় ভাই বুধিয়া, স্ত্রী ধনিয়া এবং তিন সন্তান নিয়ে তার বেশ বড় সংসার। নাথা ও বুধিয়া তাদের জমানো টাকা মদ্যপান করে উড়িয়ে দেয়। এর ফলে তারা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনা, ফলে তাদের জমি ও বাড়ি বেদখল হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে, ভারতের বৃহত্তম রাজ্য মুখ্য প্রদেশের সরকার উপ-নির্বাচন আহ্বান করে। বিরোধী পক্ষ আপনা দল বিশ্বাস করে যে এই নির্বাচনে তারা সরকার গঠনের সুযোগ পাবে কারণ দীর্ঘমেয়াদী "সম্মান দল" এবং এর মুখ্যমন্ত্রী রাম বাবু যাদবের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের ভরসা চলে গেছে- কৃষিমন্ত্রী, সেলিম কিদওয়াইকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ অঞ্চলের শিল্পায়নে বিশ্বাসী।
গ্রামের মোড়ল জানায় কৃষক আত্মহত্যা করলে ঋণের টাকা মকুব হয়ে যায় এবং মোটারকম ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। নাথা এবং বুধিয়া আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা যখন স্থানীয় চায়ের দোকানে এই সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছিল, তখন পীপলীর স্থানীয় সাংবাদিক রাকেশ শুনে ফেলে। দেখতে দেখতে এই খবর জাতীয় ইংরেজি চ্যানেলে প্রচারিত হয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছোয়। সমস্ত গণমাধ্যম পীপলী পৌঁছে যায়। আইটিভিএন-র এক সাংবাদিক, ডেটাইম উপস্থাপক নন্দিতা মালিক এই মৃত্যুর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যখন প্রতিদ্বন্দ্বী হিন্দি নিউজ চ্যানেল, "ভারত লাইভ" নাথা এবং পিপলির সম্পর্কে জানতে পারে, আইটিভিএন এর সাথে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। দুটি চ্যানেলই নাথার আসন্ন মৃত্যুকে তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে চিত্রিত করার চেষ্টা করে। "সম্মান দল" সব জেনে নাথাকে আত্মহত্যা করা থেকে বিরত করার জন্য তাকে কেনার চেষ্টা করে। বিরোধী দলগুলিও এতে জড়িত হয়ে নির্বাচনে নাথাকে ক্ষমতার পথে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে।
নাথা অথবা তার পরিবারের কাউকে ন পেয়ে নন্দিতার সাক্ষাৎকার নেবার প্রচেষ্টা বানচাল হয়ে যেতে বসে। এদিকে, সম্মান পার্টি বুঝতে পারে যে নাথা যদি আত্মহত্যা করে তবে তারা নির্বাচনে হেরে যাবে। গ্রামের মোড়ল গোপনে নাথাকে অপহরণ করে এবং বিরোধীদের কাছ থেকে মুক্তিপণের অর্থ দাবী করে। একটি শস্যাগারে নাথাকে বন্দী করে রাখা আছে খবর পেয়ে আপনা দল, সিপিআই, আইটিভিএন, ভারত লাইভ এবং পীপলী গ্রামবাসী সকলেই নাথাকে খুঁজতে হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দেয়। বিভ্রান্তিতে, পেট্রোম্যাক্স থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ে শস্যাগারটিতে আগুন ধরে যায় এবং রাকেশ আগুনে পুড়ে মারা যায়। সরকারী কর্মকর্তারা মনে করে নাথা মারা গেছে, কিন্তু দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হয়েছে বলে তারা নাথার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে অস্বীকার করে। এরমধ্যে জীবিত নাথা গুরুগ্রাম পালিয়ে যায়। একটি নির্মাণ শিল্পে একজন দিনমজুর হিসাবে কাজ করতে দেখা গেছে তাকে।
পরিবারের জমিটি ব্যাংক বাজেয়াপ্ত করে।
এনডিটিভি সাংবাদিক অনুষা রিজভির লেখা দ্য ফলেন নামে একটি চিত্রনাট্য থেকে পীপলী লাইভ এর চিত্রনাট্য শুরু হয়েছিল। ২০০৪ সালে রিজভি আমির খানকে তাঁর স্ক্রিপ্টটি পড়তে বলেছিলেন। যদিও মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রথমে আমির অস্বীকার করেছিলেন, পরে রিজভির কাছে এর গল্পের রূপরেখা শুনে অবশেষে তিনি চলচ্চিত্রের অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নেন।[7] একটি সাক্ষাৎকারে, চলচ্চিত্রের শিরোনামের অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমির বলেছেন: "চলচ্চিত্রের প্রচার এবং অগ্রগতি শুরু করার আগে যখন আমরা সঠিক শিরোনাম খুঁজছিলাম, আমরা পীপলী লাইভ নামটি ঠিক করেছিলাম। যেখানে এই গল্পটি তৈরি হয়েছে সেই গ্রামটির নাম পীপলী এবং "লাইভ" অংশটি দিয়ে বোঝানো হয়েছে: একটি গল্প পীপলীতে ঘটছে যেটি চলচ্চিত্র নির্মাতা আপনার কাছে সরাসরি (লাইভ) এনেছে। এই কারণেই এটি পীপলী লাইভ।"[8] মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে পীপলী লাইভ চিত্রায়িত হয়েছিল, তার মধ্যে আছে ভোপাল, ইন্দোর, তিকমগড়, খুরাই এবং নতুনদিল্লি। যথাযথভাবে চলচ্চিত্রের গ্রাম্য নির্যাসটুকু ধরে নিয়ে ম্যাক্সিমা বসু এই ছবির পোশাকের নকশা করেছিলেন। আমির খানের মতে, অভিনেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, ভাদওয়াইয়ের উপ-নগর অঞ্চলের আদিবাসী।[9] ছবির অন্যান্য অভিনেতা সদস্যরা নাট্যকার হাবিব তনভীরের থিয়েটার দল নয়া থিয়েটারের।[10]
পিপলি লাইভ সানডান্স ফিল্ম ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছিল, এই কৃতিত্ব ভারত থেকে প্রথম এই চলচ্চিত্রের। গণমাধ্যমের ক্রোড়পতি কেউর প্যাটেলের ফিউজ গ্লোবালের সমর্থনে "পীপলী লাইভ" সানডান্স ফিল্ম ফেস্টিভালে নির্বাচিত হয়েছিল এবং রবার্ট রেডফোর্ডের সাথে তাঁর সম্পর্কের কারণে সেখানে একটি ভাল মঞ্চ পেয়ে গিয়েছিল।[11] ভাষার ব্যবহারের কারণে ভারতে এটি 'এ' বিভাগের প্রাপ্তবয়স্কের শংসাপত্র পেয়েছিল।[12] জার্মান বিতরণ সংস্থা র্যাপিড আই মুভিজের পক্ষ থেকে বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে একটি বিশেষ মঞ্চায়নের জন্য ছবিটি নেওয়া হয়েছিল।[13] দক্ষিণ আফ্রিকার ৩১ তম ডারবান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও এটিকে সেরা প্রথম পূর্ণদৈর্ঘের চলচ্চিত্রের সম্মান দেওয়া হয়েছিল।[14] যুক্তরাজ্যে, ছবিটি ২৪শে সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিল।[15] পীপলী লাইভ মুক্তির আগেই তার নির্মান মূল্য পুনরুদ্ধার করেছিল বলে জানা গেছে।[16]
পীপলী লাইভ ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছিল। চলচ্চিত্র সমালোচক এবং দ্য এসেনশিয়াল গাইড টু বলিউড এর লেখক সুভাষ কে. ঝা, পীপলী লাইভকে বর্ণনা করেছিলেন "জাগিয়ে দেবার মত একটি কাজ।" তিনি আরও বলেছিলেন যে, "আমরা যারা প্রেক্ষাগৃহে বসে আছি, তাদের অধিকাংশের কাছে কৃষকদের আত্মহত্যা কেবল একটি শিরোনাম। পড়ি, অনুশোচনা করি এবং তারপরে শুতে চলে যাই। পিপলি (লাইভ) হল বন্য, অস্পর্শিত এবং বেদনাদায়ক জেগে ওঠার আহ্বান,- যে কথা গিলে ফেলে না।"[17] দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার নিখাত কাজমি ছবিটিকে পাঁচের মধ্যে তিনটি তারা দিয়েছিলেন, বলেছিলেন, "ভারতীয় চলচ্চিত্র কতখানি বুদ্ধিমান হতে পারে? উল্লাসজনক উত্তর: খুব বুদ্ধিমান। এবং সেটিই পীপলী লাইভ এর আসল কথা, একটি ছোট্ট ছায়াছবি, যেটি আমাদের এলোমেলো-আনাড়ি গনতন্ত্রের দ্বন্দ্বগুলিকে উজ্জ্বল না করে বা গরিবী এবং তার সাথে সংযুক্ত ঝুলকালি না দেখিয়ে, আসল ভারতকে প্রদর্শন করেছে।[18] দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিম ডি গুপ্ত লিখেছিলেন "পীপলী লাইভ কেবল দেখার মত ছবি নয়, একে মনের মধ্যে ভরে নিতে হবে" এবং পরিচালক অনুষা রিজভির প্রশংসা করে বলেছিলেন – "তাঁর কাছে শ্যাম বেনগালের মত গাঢ় ব্যঙ্গ কৌতুকের উপহার রয়েছে, এবং তাঁর আপোষহীন শুটিং শৈলীতে মীরা নায়েরের মত আগুন রয়েছে"।[19] বলিউড হাঙ্গামার তরণ আদর্শ একে পাঁচটি তারার মধ্যে সাড়ে চারটি দিয়েছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন "ধারণাটি [কৃষকদের আত্মহত্যা] সহজাতভাবেই একটি গুরুতর, চিন্তা-চেতনামূলক ছবিতে পরিণত হবে। তবে পীপলী [লাইভ] একটি মারাত্মক এবং গম্ভীর সমস্যা নিয়েছে, তাকে ব্যঙ্গে রূপান্তরিত করেছে, সাধারণের অনুভূতিতে একে সজ্জিত করেছে এবং এটি একটি জ্বলন্ত সমস্যাটির মোকাবিলা করেছে, নিছক একটি তথ্যচিত্রের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। আসলে আমির খানের সব চলচ্চিত্রের মতোই, পীপলি [লাইভ] বাস্তবতার সাথে বক্স-অফিসে সফল হওয়ার সূত্রের মিলন ঘটিয়েছে।"[20] হিন্দুস্তান টাইমসের ময়াঙ্ক শেখর ছবিটিকে পাঁচটি তারার মধ্যে চারটি দিয়েছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে "এর ব্যঙ্গ অপ্রতিরোধ্য; চলচ্চিত্রের ভাষা, বাধ্যকারী। এবং তবুও কোনওরকম আত্ম-গাম্ভীর্যতার মধ্যে নিজেকে দেখায় না। কৌতুক লেখাটি নিখুঁতভাবে অনুপ্রাণিত"।[21]ইয়াহু!র নয়ন জ্যোতি পরাসরা ছবিটিকে পাঁচটি তারার মধ্যে ৩.৫ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "পীপলী [লাইভ] একটি প্রথম শ্রেণীর নাট্য এবং পরিচালক অনুষা রিজভি ও প্রযোজক আমির খান এটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য নতজানু প্রণাম পেতে পারেন"।[22] সিএনএন-আইবিএন এর রাজীব মসান্দ এটিকে পাঁচটি তারার মধ্যে সাড়ে তিন দিয়েছিলেন, বলেছিলেন এটি "গ্রামীণ শ্রেণির প্রতি এবং বিশেষত কৃষকদের প্রতি দেশের উদাসীনতার উপর এক কঠোর ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্য, পীপলী লাইভ ব্যঙ্গের ছলে একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প বলে। মজাদার চিত্রনাট্য নাথাকে খানিকটা স্থানীয় নামী ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত করে, যারা তার পথে পড়েছে তাদের সত্যিকারের চরিত্র এবং প্রেরণা সে টেনে বার করেছে।"[23] দ্য স্টেটসম্যানের ম্যাথিউস পল ছবিটিকে ৫টির মধ্যে ৪টি তারা দিয়েছিলেন, এবং উল্লেখ করেছিলেন যে, " রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের যে সামান্য বিশ্বাস ছিল, অনুষা রিজভি তা সফলভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন। পীপলী (লাইভ) বিনোদনমূলক এবং অনুপ্রেরণামূলক"।[24]
জুন ২০২০-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], রটেন টম্যাটোস অনুযায়ী ছবিটির ৮৬% অনুমোদন রয়েছে, ২৮টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ১০টির মধ্যে ৬.৩২র গড় মান। [25] মেটাক্রিটিক এ, ১২টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ছবিটির ১০০ এর মধ্যে গড় মান ছিল ৬৯, যা বোঝায় "সাধারণভাবে অনুকূল" পর্যালোচনা।[26]
ভারতের বক্স অফিস অনুসারে, পীপলী লাইভ ভালভাবে শুরু করে ছিল[27] এবং প্রথম দিনেই ₹ ৪০ মিলিয়ন (ইউএস$ ৪,৮৮,৯৩২) ব্যবসা করেছিল।[28] তৃতীয় সপ্তাহের শেষে চলচ্চিত্রটির সংগ্রহ ছিল ₹২৯৯.১ মিলিয়ন (ইউএস$ ৩.৬৬ মিলিয়ন) এবং একে অতি জনপ্রিয় ঘোষণা করা হয়েছিল।[29] বিদেশে, ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৪ টি স্থানে সীমিতভাবে মুক্তি পেয়েছিল, এবং দেশীয় বাজারে $৩৫০,০৫৪ আয় করে তৃতীয় স্থানে ছিল[30] এবং এর শুরুর সপ্তাহান্তে বিশ্বব্যাপী $৭০০,০০০ আয় করেছিল।[31]
পীপলী লাইভ | |
---|---|
ইন্ডিয়ান ওশান, রঘুবীর যাদব, নাগীন তনভীর এবং রাম সম্পথ কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | |
ঘরানা | পূর্ণদৈর্ঘের চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাক |
ভারতীয় ব্যান্ড ইন্ডিয়ান ওশান এবং রাম সম্পথ এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীতকার।
নং. | শিরোনাম | সুরকার | গায়ক | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১. | "ছোলা মাটি কে রাম" | নাগীন তনভীর | নাগীন তনভীর | ৩:১৪ |
২. | "দেশ মেরা" | ইন্ডিয়ান ওশান, সঞ্জীব শর্মা | ইন্ডিয়ান ওশান | ৪:৫৫ |
৩. | "দেশ মেরা – ১" | ইন্ডিয়ান ওশান, সঞ্জীব শর্মা | ইন্ডিয়ান ওশান | ৪:৫৫ |
৪. | "মেহঙ্গাই ডাইয়েন" | ব্রিজ মণ্ডল, ভাদওয়াই | রঘুবীর যাদব, ব্রিজ মণ্ডল, ভাদওয়াই | ৩:৫৭ |
৫. | "জিন্দেগি সে ডরতে হো" | ইন্ডিয়ান ওশান | ইন্ডিয়ান ওশান | ৭:৩০ |
৬. | "মেহঙ্গাই ডাইয়েন" (পুনর্মিশ্রিত-রেকর্ডিং (রিমিক্স)) | রাম সম্পথ | রঘুবীর যাদব | ৪:৩৭ |
ছবিটি নিয়ে কিছু বিতর্ক হয়েছিল। নাগপুর-ভিত্তিক কৃষকের পরামর্শদাতা গোষ্ঠী, ভিজেএএস (বিদর্ভ জনন্দোলন সমিতি), কৃষক আত্মহত্যার চিত্রের কারণে মহারাষ্ট্র সরকারকে ছবিটি নিষিদ্ধ করতে বলেছিল। ভিজেএএসের সভাপতি কিশোর তিওয়ারি বলেছিলেন: "টিভি সিরিয়াল 'বৈরী পিয়া' দেখিয়েছে যে ঋণগ্রস্ত বিদর্ভ কৃষকরা তাদের ঋণ মেটানোর জন্য কন্যা সন্তানকে বিক্রি করছেন, যদিও 'পীপলী লাইভ' বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে এবং বিদর্ভের দরিদ্র কৃষকদের জন্য অপমান, এরা বিশ্বায়নের এবং রাষ্ট্রের ভুল নীতির শিকার হয়েছে।" [40]
এছাড়াও, হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে, "লোক সংগীতশিল্পী রমা জোশি অভিযোগ করেছিলেন, ছবিতে ব্যবহৃত ছোলা মাটি কে রাম গানটির জন্য ছত্তিসগড়ের প্রখ্যাত লোক গায়ক গঙ্গারাম সিওয়ারকে এবং লোক গানের মূল গীতিকারকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।" এর জবাবে, ছবিতে গানটির গায়ক নাগীন তনভীর, জানিয়েছিলেন: "ছোলা মাটি কে রাম গানটির সুর করেছিলেন ছত্তিসগড়ের গঙ্গারাম সিওয়ার, কিন্তু হাবিব তনভীর নাট্যদলটি গানটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিনে নিয়েছে। সুতরাং আমি বুঝতে পারছি না যে ছত্তিসগড়ের লোকেরা কেন আবার তাদের প্রাপ্য চাইছে।" [41]
এছাড়াও, জন ট্রাভোল্টার মতানুসারে, পীপলী লাইভ ছবিটি ১৯৯৭ সালের ইংরেজি চলচ্চিত্র ম্যাড সিটি দ্বারা অনুপ্রাণিত। দ্য হিন্দুর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি জানতে পেরে অবাক হয়েছিলেন যে এই বছর অস্কারের জন্য ভারতের সরকারী প্রবেশ, পীপলী লাইভ , অভিনেতা হিসাবে তাঁর সেরা চলচ্চিত্র ম্যাড সিটি দ্বারা অনুপ্রাণিত।[42]
ছবির গল্পরেখায় মালায়ালম চলচ্চিত্র পাকালেরও মিল রয়েছে। এর পরিচালক এম. এ. নিশাদ বলেছিলেন: "বলিউড ছবি পীপলী লাইভ এর কাহিনীতে পাকাল এর মতোই বিষয়বস্তু রয়েছে, এটি হিন্দি ছবির অনেক আগে প্রকাশিত হয়েছিল। দুটির পার্থক্যটি শুধু আখ্যান শৈলীতে।"[43]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.