Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পিটার জেমস লোডার (ইংরেজি: Peter Loader; জন্ম: ২৫ অক্টোবর, ১৯২৯ - মৃত্যু: ১৫ মার্চ, ২০১১) সারের ওয়ালিংটনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও আম্পায়ার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের পক্ষে তেরো টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার জেমস লোডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়ালিংটন, সারে, ইংল্যান্ড | ২৫ অক্টোবর ১৯২৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৫ মার্চ ২০১১ ৮১) পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, আম্পায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫১-১৯৬৩ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৩ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ জানুয়ারি ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও বেডিংটন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন পিটার লোডার।[1] পাতলা গড়নের অধিকারী লোডার বিশাল পেস ও বাউন্সারের সাহায্যে ফাস্ট-বোলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিক করেন তিন।
সারের ওয়ালিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন পিটার লোডার।[2] সারের বোলিং আক্রমণের অন্যতম অংশীদার ছিলেন তিনি। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৮ সময়কালে ধারাবাহিকভাবে সাতবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৯৫১ সালে তার অভিষেক ঘটে। জুলাই, ১৯৫৩ সালে দলে নিজ স্থান পাকাপোক্ত করেন। উপর্যুপরি তিন খেলায় ৩৪ উইকেট পান।
সারের পক্ষে দুইবার ইনিংসে ৯ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৫৩ সালে কেন্টের বিপক্ষে ৯/২৩ ও ১৯৫৮ সালে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ৯/১৭ লাভ করেন। সাতবার এক মৌসুমে শতাধিক উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, সর্বশেষ শতাধিক উইকেট পেয়েছেন ১৯৬২ সালে।[3]
ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমন সফলতা না পেলেও ১৯৫৫ সালে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ৮১ রান তুলেন। দলীয় সংগ্রহ একপর্যায়ে ১১৯/৮ হলে তার ইনিংসের কল্যাণে ২৬৮ রানে সারে দল অল-আউট হয়।[3]
ফ্রাঙ্ক টাইসন, ফ্রেড ট্রুম্যান ও ব্রায়ান স্ট্যাদামের অসম্ভব ক্রীড়ানৈপুণ্যের কারণে লোডারকে ইংল্যান্ড দলে অনিয়মিত অবস্থায় দেখা যেতো। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। কিন্তু কোন টেস্টেই অংশ নিতে দেখা যায়নি। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ১৯.৫০ গড়ে ২৬ উইকেট দখল করেন। কিন্তু নিজস্ব শেষ সিরিজে তিনি মাত্র সাত উইকেট পেয়েছিলেন। শুরুরদিকের খেলায় তীব্র রোদে পীড়িত হবার ফলে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। পরের খেলায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া একাদশের খেলায়ও ব্যথার কারণে মাঠ থেকে ফিরে আসেন। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকদিন তাকে বিছানায় অবস্থান করতে হয়। কিন্তু পরের সপ্তাহেই প্রথম টেস্টে অংশ নেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে আঘাতের কারণে খেলায় অংশ নেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। চতুর্থ টেস্টের পর পঞ্চম টেস্টে অংশগ্রহণের প্রাক্কালে তিনি ও স্ট্যাদামের গাড়ি দূর্ঘটনার পতিত হলে তিনি আর কখনো ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেননি। চাকিংয়ের কারণে অভিযুক্ত হলেও আম্পায়ার কর্তৃক কখনো অভিযুক্ত হননি। কেননা, তার সাধারণ ডেলিভারীগুলোর তুলনায় বাউন্সারের বলগুলো বেশ দ্রুততর ছিল।
১৯৫৭ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হেডিংলিতে ৬/৩৬ লাভ করেন।[4] তার এ হ্যাট্রিকটি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বাদশ হ্যাট্রিক ছিল। লোডারের হ্যাট্রিকের দীর্ঘ আটত্রিশ বছর পর ডমিনিক কর্ক পরবর্তী ইংরেজ হিসেবে হ্যাট্রিক করেছিলেন।[5] ১৯৫৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন তিনি।[6]
ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান লোডার সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, নিখুঁত বোলিংয়ের অধিকারী হিসেবে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেলায় পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।[2]
১৯৬৩ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে চলে গেলে সারের সাথে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে রাজ্যদলের পক্ষে একটি খেলায় অংশ নেন যা তার প্রথম-শ্রেণীর শেষ মৌসুম ছিল। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর আম্পায়ারিংয়ের জগতে ঢুকে পড়েন তিনি। ২০০৭ সালে ওয়াকার শীর্ষ গ্রেড ক্রিকেটের আম্পায়ার হিসেবে অবসর নেন।
৮১ বছর বয়সে ১৫ মার্চ, ২০১১ তারিখে পার্থে তার দেহাবসান ঘটে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.