পার্সি শেরওয়েল
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পার্সি উইলিয়াম শেরওয়েল (ইংরেজি: Percy Sherwell; জন্ম: ১৭ আগস্ট, ১৮৮০ - মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল, ১৯৪৮) নাটালের ইসিপিঙ্গো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৬ থেকে ১৯১১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন পার্সি শেরওয়েল।
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | – | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৬ অক্টোবর ২০১৮ |
খেলোয়াড়ী জীবন
দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার চতুষ্টয় অব্রে ফকনার, রেজিনাল্ড সোয়ার্জ, বার্ট ভগলার ও গর্ডন হোয়াইটের বলগুলো দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন। ২০-এর অধিক স্ট্যাম্পিং ঘটিয়ে অন্য যে-কোন উইকেট-রক্ষকের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন পার্সি শেরওয়েল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তেরো টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পার্সি শেরওয়েল। সবগুলোতেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।[১] উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ৭বার অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামার অনন্য রেকর্ড গড়েন।[২]
ইংল্যান্ড গমন
২ জানুয়ারি, ১৯০৬ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯০৫-০৬ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে স্মরণীয় সাফল্য পান। জানুয়ারি, ১৯০৬ সালে জোহেন্সবার্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে অভিষেক ঘটে তার। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দলকে ১ উইকেটের নাটকীয় জয়লাভে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। শেষ উইকেট জুটিতে ডেভ নোর্সের (৯৩) সাথে মূল্যবান ৪৮ রানের জুটি গড়েন ও ২৮৪ রানের জয়ের অসম্ভব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষমতা দেখান। শেরওয়েল ২২ রান তুলে অপরাজিত থাকেন।
১৯০৭ সালে পুনরায় ইংল্যান্ড সফরে যান। লর্ডসে তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র সেঞ্চুরির সন্ধান পান।
ব্যক্তিগত জীবন
ক্রিকেটের পাশাপাশি টেনিসে সিদ্ধহস্তের পরিচয় দেন। ১৯০৪ সালে সাউথ আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নশীপের এককে শিরোপা জয় করেন। এছাড়াও, ১৯০৩ ও ১৯০৪ সালে দ্বৈত শিরোপা লাভ করেন তিনি।
১৭ এপ্রিল, ১৯৪৮ তারিখে রোডেশিয়ার বুলাওয়ে এলাকায় ৬৮ বছর বয়সে পার্সি শেরওয়েলের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.