Loading AI tools
ভারতীয় রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পদ্মজা নায়ডু (১৯০০ - ২ মে ১৯৭৫[1] ) একজন ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন।
পদ্মজা নায়ডুর জন্ম হয়েছিল হায়দরাবাদ শহরে; তার মা ছিলেন বাঙালি এবং পিতা তেলুগু। তার মা ছিলেন স্বনামধন্য কবি এবং ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা সরোজিনী নায়ডু। তার পিতা মুত্যালা গোবিন্দরাজুলু নায়ডু একজন চিকিৎসক ছিলেন।[2] তার চার ভাইবোন ছিলেন: জয়সূর্য, লীলামণি, আদিত্য এবং রণধীরা।[3]
২১ বছর বয়সে তিনি নিজাম শাসিত দেশীয় রাজ্য হায়দরাবাদে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য জেলে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর, তিনি ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন।[4] ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুন পর্যন্ত তিনি ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[5] তিনি সমাজসেবী সংস্থা রেড ক্রস এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতীয় রেড ক্রসের চেয়ারপার্সন ছিলেন।[6]
তার জীবনের প্রথম দিকে পদ্মজা রুটি পেটিতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, যিনি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি হলেন পরে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা।[7] পদ্মজা নায়ডুর সঙ্গে জওহরলাল ও তার বোন বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতসহ নেহরু পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।[8] বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত পরে ইন্দিরা গান্ধীর বন্ধু ও জীবনীকার পুপুল জয়াকারকে বলেছিলেন, পদ্মজা নায়ডু এবং নেহরু বহু বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করতেন। নেহরু পদ্মাজাকে বিয়ে করেননি কারণ তিনি তার মেয়ে ইন্দিরাকে আঘাত করতে চাননি।[9][10] যাইহোক, পদ্মজা কখনো বিয়ে করেননি এই আশায় যে, নেহরু একদিন তাকে প্রস্তাব করবেন।[7][11] অবসর গ্রহণের পর পদ্মজা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিন মুর্তি ভবন এস্টেটের একটা বাংলোতে থাকতেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নেহরুর সরকারি বাসভবন এবং পরে সেই জয়গায় তার নামে একটা জাদুঘর উৎসর্গিত হয়েছিল।[3]
দার্জিলিং শহরের পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জুওলজিকাল পার্ক তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.