Loading AI tools
ভারতীয় মুখোশ এবং ছৌ-নৃত্য শিল্পী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নেপালচন্দ্র সূত্রধর (ডিসেম্বর ১০, ১৯৪০ - নভেম্বর ১, ২০২৩) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি মুখোশ এবং ছৌ-নৃত্য শিল্পী। [1]তার শিল্পকর্মে কুশলতার জন্য ভারত সরকার ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশের সর্বোচ্চ চতুর্থ বেসামরিক মরণোত্তর পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে। [2][3]
নেপালচন্দ্র সূত্রধর | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১ নভেম্বর ২০২৩ ৮২) | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | হৃদরোগ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৪০-১৯৪৭) ভারতীয় (১৯৪৭-২০২৩) |
পরিচিতির কারণ | ছৌ মুখোশ ও ছৌ নাচ |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুন্দরা সূত্রধর |
সন্তান | কাঞ্চন সূত্রধর (পুত্র) গৌতম সূত্রধর (পুত্র) কল্যাণী সূত্রধর (কন্যা) |
পিতা-মাতা | যোগিন্দর সূত্রধর (পিতা) সুচিত্রা দেবী (মাতা) |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (২০২৪) |
নেপাল সূত্রধরের জন্ম ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বাঘমুণ্ডি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মুখোশের জন্য বিখ্যাত চড়িদা গ্রামে। পিতা যোগিন্দর সূত্রধর ও মাতা সুচিত্রা দেবী। ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি তাদের পারিবারিক পেশা। তার পিতামহ শ্রীনাথ সূত্রধর ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত ছৌ নৃত্য শিল্পী গম্ভীর সিং মুড়ার পিতা জিপা সিং এর ঘনিষ্ঠ। নেপাল তার মার সুচিত্রা দেবীর আগ্রহে আট বৎসর বয়সে প্রথমে তার পিতার কাছে ও পরে পিতামহের কাছে ছৌ নাচ শিখতে শুরু করেন। দশ বছর বয়সে তার পিতা মারা যান। মুখোশ তৈরির পারিবারিক পেশায় যুক্ত হয়ে তরুণ নেপাল দশ বৎসর গম্ভীর সিং মুড়ার দলে ছিলেন। বাইশ বছর বয়সে নিজে মুখোশ তৈরির পাশাপাশি তার সন্তান, নাতি-নাতনি গ্রামের অন্যান্য যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। পুরুলিয়ায় তার জন্মস্থানের পাশাপাশি নানা গ্রামসহ মেদিনীপুর ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নানা জায়গায় প্রায় ত্রিশ বছর কাটিয়ে সত্তরটিরও বেশি ছৌ নাচের দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
নেপাল তার শিল্পকর্মের প্রদর্শনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড, স্পেন, নিউজিল্যান্ড সহ নানা দেশ ভ্রমণ করেন। [1] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিউজিয়ামে যেমন শোভা পাচ্ছে তার তৈরি বাইশ ফুটের "রাম-লক্ষ্মণ-সীতা" [4] তেমনই অকল্যান্ডে সজ্জিত আছে তার হাতে গড়া পঁচিশ ফুটের রাবণের মূর্তি।
নেপালচন্দ্র হরিয়ানায় সুরজকুণ্ড মেলায় হরিয়ানা সরকারের কালামণি পুরস্কার লাভ করেন।[1] ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে তার শিল্পকর্মে অবদানের জন্য মরণোত্তর পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করে।
নেপালচন্দ্র সূত্রধরের স্ত্রী সুন্দরা সূত্রধর এবং তাদের কন্যা কল্যাণী,[3] পুত্র কাঞ্চন ও গৌতম কলেজে প্রশিক্ষিত হলেও পারিবারিক পেশায় যুক্ত।[1] ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে বেশ কিছুদিন তিনি হাঁপানিতে ভুগছিলেন, শেষে ১ নভেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন।[4]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.