Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নীল অ্যালেন মল্যান্ডার (ইংরেজি: Neil Mallender; জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯৬১) ইয়র্কশায়ারের কার্ক স্যান্ডল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[1] বর্তমানে তিনি আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করছেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নীল অ্যালেন মল্যান্ডার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কার্ক স্যান্ডল, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৩ আগস্ট ১৯৬১||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ঘোস্টি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, আম্পায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৫৬) | ২৩ জুলাই ১৯৯২ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ আগস্ট ১৯৯২ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫–১৯৯৬ | নর্দাম্পটনশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭–১৯৯৪ | সমারসেট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩–১৯৯৩ | ওতাগো | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮০–১৯৮৬ | নর্দাম্পটনশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আম্পায়ারিং তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট আম্পায়ার | ৩ (২০০৩–২০০৪) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই আম্পায়ার | ২২ (২০০১–২০০৩) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এফসি আম্পায়ার | ১৯৬ (১৯৯৭–বর্তমান) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এলএ আম্পায়ার | ২৪১ (১৯৯৭–বর্তমান) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০ আম্পায়ার | ৭২ (২০০৩–বর্তমান) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ার ও সমারসেট এবং নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘ঘোস্টি’ ডাকনামে পরিচিত নীল মল্যান্ডার।
ইয়র্কশায়ারের কার্ক স্যান্ডল এলাকায় নীল মলেন্ডারের জন্ম। শৈশবের কিছুটা অংশ সমারসেটে অতিবাহিত করার পর লিঙ্কনশায়ারে চলে যান। সেখানকার বোর্ন গ্রামার স্কুলের ভর্তি হন। বিদ্যালয়ে অবস্থানকালে সহজাত ক্রীড়াবিদ হিসেবে ক্রিকেট ও ফুটবলে দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এ সময়ে কাউন্টি ও কান্ট্রি পর্যায়ে বালকদের বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন। ইংল্যান্ডের যুব দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেছিলেন তিনি।
১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নীল মল্যান্ডারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘোস্টি ডাকনামে পরিচিতি পান। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নর্দাম্পটনশায়ার এবং ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সমারসেট দলের পক্ষে খেলেছেন।[2] এছাড়াও, ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত ওতাগোর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
বিদ্যালয় জীবন শেষে বেশকিছু কাউন্টির সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। তন্মধ্যে জন্মগতভাবে ইয়র্কশায়ারীয় হলেও ১৯৮০ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। ইংল্যান্ড ইয়ং ক্রিকেটার্সের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। সেখানে আশাতীত ভালো খেলেন তিনি। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উত্তরোত্তর কার্যকরী ব্যাটসম্যানে রূপান্তরিত হন। নিজেকে সামলিয়ে তীক্ষ্ণ পেস বোলিংয়ের কার্যকারিতা দেখান। ১৯৮৪ সালে কাউন্টি ক্যাপ লাভ করেন। তবে, ১৯৮৭ সালে সমারসেটের পথে ধাবিত হন। টানটনে দলের পুণর্গঠনে প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অতিশীঘ্রই দলের সদস্য ও খেলোয়াড়দের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন নীল মল্যান্ডার। বেশ দেরি করে হলেও বড় ধরনের সুযোগ লাভ করেন। সুযোগও বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগান তিনি। ২৩ জুলাই, ১৯৯২ তারিখে লিডসে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৬ আগস্ট, ১৯৯২ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
দুইবার ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার দ্বারপ্রান্তে চলে আসেন। ১৯৮৩-৮৪ ও ১৯৯১-৯২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডে সফররত আঘাতে জর্জরিত ইংরেজ দলে বিকল্প খেলোয়াড় অনুসন্ধানে তার দিকেও দৃষ্টি নিবদ্ধিত রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।[1] তবে, ১৯৯২ সালের পূর্ব-পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি তিনি। জুলাই, ১৯৯২ সালে হেডিংলিতে সফররত পাকিস্তান দলের বিপক্ষে ৩০ বছর বয়সে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ধারণা করা হয়েছিল যে, তার বোলিং ভঙ্গীমা অনেকাংশেই হেডিংলির পিচের উপযোগী হবে।[3] মল্যান্ডারের অন্তর্ভুক্তি সঠিক সিদ্ধান্তরূপে বিবেচিত হয়। সুনিয়ন্ত্রিত সুইং ও পেসে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদেরকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন। অনুপযোগী পরিবেশে সফরকারীরা বাজেভাবে স্ট্রোক খেলতে থাকে।[1] দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৫০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে অভিষেক টেস্টে পাঁচ-উইকেট পান। তার অংশগ্রহণের পূর্বেকার গত নয় বছরে অভিষেক ঘটা ক্রিকেটারের এটিই সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল। খেলায় তিনি ১২২ রান খরচায় আট উইকেট দখল করেন। জয় পেয়ে স্বাগতিকরা ১-১ ব্যবধানে সিরিজে ফিরে আসে।[4]
ওভালের পঞ্চম টেস্টে নিজের অবস্থান ধরে রাখেন। বোলিং উদ্বোধনে নামেন তিনি। তবে খেলায় তিনি মাত্র দুই উইকেট পেয়েছিলেন তাও আবার নিচেরসারির ব্যাটসম্যানের।[1][3] টেস্টে ২১.৫০ গড়ে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ওভালের পিচে তেমন উপযোগী না হলেও ব্যাটিং পিচে বেশ ভালো করেছিলেন। ভারতের পিচে সফলতা পাবার সম্ভাব্যতায় সন্দিহান এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কায় পূর্বেকার সফরে নীল মল্যান্ডারকে বাদ দেয়ার বিষয় বিবেচনা আনায় রিচি বেনোসহ অন্যান্যদের কাছে পীড়াদায়ক ছিল।
১৯৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত একাধারে দশ মৌসুম নিউজিল্যান্ডীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ওতাগো দলের পক্ষে খেলেন। অনেকাংশে তিনি স্থানীয় খেলোয়াড়ের পর্যায়ে উপনীত হয়েছিলেন। ১৯৯০-৯১ ও ১৯৯১-৯২ এ দুই বছরে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বোলিং গড়ে প্রায়শই শীর্ষস্থানের কাছাকাছি অবস্থান করতেন। আড়াই শতাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট ২০-এর চেয়ে অল্প বেশি গড়ে পেয়েছিলেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ব্যক্তিগত একমাত্র সেঞ্চুরির সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। তার এ অনবদ্য প্রচেষ্টায় ওতাগো দল দুই বার শেল ট্রফির শিরোপা জয় করে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ বিদেশী হিসেবে দুর্লভ সনদপ্রাপ্ত হন।
সর্বদাই মনেপ্রাণে, উজ্জীবিত হয়ে খেলতেন। ১৯৯৪ সালে সমারসেটের পক্ষে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলায় অংশ নেয়ার পর দল ত্যাগ করে নর্দাম্পটনশায়ারে চলে যান। তবে, ক্রমবর্ধমান আঘাতপ্রাপ্তি ও শারীরিক অক্ষমতায় ১৯৯৬ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করতে বাধ্য হন। এ পর্যায়ে ৯৩৭টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট ও প্রায় পাঁচ হাজার রান সংগ্রহ করেছিলেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিং জগতের দিকে ধাবিত হন। সমীহ করা প্রথম-শ্রেণীর আম্পায়ার হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। খুব দ্রুত তার উত্তরণ ঘটে। ২০০১ সালে লর্ডসে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথমবারের মতো খেলা পরিচালনা করেন। অক্টোবর, ২০০৩ সালে লাহোরে টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে প্রথম মাঠে নামেন।
২০০৩-০৪ মৌসুমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনটি টেস্ট এবং ২০০১ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে বাইশটি একদিনের আন্তর্জাতিক পরিচালনা করেন। ২০০৪ সালে আইসিসি আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।[5] তবে, পারিবারিক কারণে এ দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।[6].
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.