ভারতীয় রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নির্মলা সীতারামান (তামিল: நிர்மலா சீத்தாராமன்; জন্ম ১৮ আগস্ট ১৯৫৯) ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি বর্তমানে অর্থমন্ত্রী এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১২ সাল থেকে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের রাজ্যসভার সদস্য। নির্মলা সীতারামান ইন্দিরা গান্ধীর পরে ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং দ্বিতীয় মহিলা অর্থমন্ত্রী।[৬][৭] তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে এবং স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন। [৮]
মাননীয়া নির্মলা সীতারামান | |
---|---|
![]() | |
ভারতের অর্থমন্ত্রী এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩১ মে ২০১৯[১] | |
প্রধানমন্ত্রী | নরেন্দ্র মোদি |
পূর্বসূরী | অরুণ জেটলি |
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ – ৩০ মে ২০১৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | নরেন্দ্র মোদি |
পূর্বসূরী | অরুণ জেটলি |
উত্তরসূরী | রাজনাথ সিং |
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী[২] | |
কাজের মেয়াদ ২৬ মে ২০১৪ – ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | |
প্রধানমন্ত্রী | নরেন্দ্র মোদি |
পূর্বসূরী | আনন্দ শর্মা |
উত্তরসূরী | সুরেশ প্রভু |
ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র | |
কাজের মেয়াদ ২০১০ – ২০১৪ | |
সংসদ সদস্য, রাজ্যসভা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১ জুলাই ২০১৬ | |
পূর্বসূরী | এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, বিজেপি |
নির্বাচনী এলাকা | কর্ণাটক[৩] |
কাজের মেয়াদ ২৬ জুন ২০১৪ – ২১ জুন ২০১৬ | |
পূর্বসূরী | এন জনার্ধন রেড্ডি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
উত্তরসূরী | সুরেশ প্রভু |
নির্বাচনী এলাকা | অন্ধ্রপ্রদেশ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মাদুরাই, মাদ্রাস রাজ্য, ভারত (এখন তামিলনাড়ু, ভারত) | ১৮ আগস্ট ১৯৫৯
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | পড়াকাল প্রভাকর |
সন্তান | ১ |
বাসস্থান | হায়দ্রাবাদ, তেলঙ্গানা, ভারত[৪][৫] |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সীতালক্ষ্মী রামাস্বামী কলেজ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় |
নির্মলা তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে সাবিত্রী ও নারায়ণন সীতারামনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নারায়ণন তিরুচিরাপল্লী জেলার মুসরির বাসিন্দা এবং তার মায়ের পরিবার তামিলনাড়ুর তিরুভেনকুড়ি, তাঞ্জাবুর ও সালেম জেলার স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবা ভারতীয় রেলওয়ের কর্মচারী ছিলেন এবং তাই তিনি রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তার শৈশব কাটিয়েছিলেন। তিনি মাদ্রাজ ও তিরুচিরাপল্লী থেকে তার পড়াশোনা করেছিলেন। [৯] তিনি ১৯৮০ সালে তিরুচিরাপল্লীর সীতালক্ষ্মি রামাস্বামী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৮৪ সালে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি ও এম.এস.ফিল-এর ডিগ্রি লাভ করেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। [১০][১১][১২] তারপর তিনি ইন্দো-ইউরোপের ব্যবসায়ের উপর মনোযোগ দিয়ে অর্থনীতিতে পিএইচডি-এর জন্য ভর্তি হয়। কিন্তু তার স্বামী লন্ডনের স্কুল অব ইকোনোমিক্সে বৃত্তি লাভের পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে চলে যান, ফলে তিনি ডিগ্রী সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন। [১৩]
নির্মলা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অন্ধ্রপ্রদেশের নরসাপুরম থেকে আগত তার তেলুগু ব্রাহ্মণ স্বামী পারকলা প্রভাকরের সঙ্গে পরিচিত হয়। নির্মলা বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন, কিন্তু তার স্বামী কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। [১৪] তারা ১৯৮৬ সালে বিবাহ করেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর যোগাযোগ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রভাকর। [১৫][১৬]
নির্মলা সীতারামান জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘ফ্রি থিঙ্কার’ নামে ছাত্র সংগঠন করতেন।[১৭] সেখান থেকেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি।[১৭] ২০০৮ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি একটি জুনিয়র মন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এবং জুন ২০১৪ সালে তিনি অন্ধ্র প্রদেশের রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। [১৮]
১১ জুন ২০১৬ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মে ২০১৬ সালে বিজেপির মনোনীত ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি ছিলেন এক। তিনি কর্ণাটক থেকে তার আসনে সফলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। [১৯] ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইন্দিরা গান্ধীর দ্বিতীয় নারী হিসেবে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। [২০][২১] ২০১৯ সালের ৩১ মে, নির্মলা সীতারামানকে অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[২২] তিনি ভারতের প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা অর্থমন্ত্রী। [১৭][২৩]
নির্মলা সীতারামান লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটের একটি ঘর সাজানোর সামগ্রীর দোকান হ্যাবিট্যাট-এ একজন সেলসগার্ল হিসেবে কাজ করেছেন।[১৭][২৪][২৫] তিনি যুক্তরাজ্যের কৃষি প্রকৌশলী সমিতির অর্থনীতিবিদের সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন। যুক্তরাজ্যে থাকার সময়, তিনি প্রাইস ওয়াটার হাউসের জন্য ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক (আর অ্যান্ড ডি)[১৬][১৭] হিসাবে এবং বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে সংক্ষিপ্তভাবে কাজ করেছেন। [২৬]
তিনি রাষ্ট্রীয় মহিলা আয়োগের (ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন) সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। [২৭] ২০১৭ সালে, তিনি হায়দ্রাবাদের প্রানভের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। [২৮]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.