নিরূপা রায়

ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

নিরূপা রায় (গুজরাতি: નિરુપા રોય; জন্ম: কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা, ৪ জানুয়ারি ১৯৩১ - ১৩ অক্টোবর ২০০৪) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে কাজ করতেন এবং ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে তাকে মাতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যেত। পাঁচ দশকের অধিক সময়ের অভিনয় জীবনে তিনি ২৭৫টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি মুনিমজী (১৯৫৫), ছায়া (১৯৬১) ও শেহনাই (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ২০০৪ সালে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার অর্জন করেন।

দ্রুত তথ্য নিরূপা রায়, জন্ম ...
নিরূপা রায়
জন্ম
কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা

(১৯৩১-০১-০৪)৪ জানুয়ারি ১৯৩১
বলসাড়, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু১৩ অক্টোবর ২০০৪(2004-10-13) (বয়স ৭৩)
মৃত্যুর কারণহৃদরোগ
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৪৬-১৯৯৯
দাম্পত্য সঙ্গীকামাল রায় (বি. ১৯৪৬)
সন্তান
পুরস্কারফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৪ বার)
বন্ধ

প্রারম্ভিক জীবন ও বিবাহ

নিরূপা রায় ১৯৩১ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির (বর্তমান গুজরাত) বলসাড় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসারা।[] তিনি ১৫ বছর বয়সে কামাল রায়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং মুম্বইয়ে চলে যান। এই দম্পতির দুই পুত্র - যোগেশ ও কিরণ।[] চলচ্চিত্রে শিল্পে যোগ দেওয়ার পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে নিরূপা রায় রাখেন। তিনি গুজরাতি এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর পূর্বে বাচ্চাদের গুজরাতি শিখাতেন।

কর্মজীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৪৬ সালে তিনি ও তার স্বামী একটি গুজরাতি পত্রিকায় অভিনয়শিল্পী অনুসন্ধানের বিজ্ঞাপন অনুসারে তার তথ্য পাঠান। তিনি নির্বাচিত হন এবং গুজরাতি চলচ্চিত্র রণকদেবী (১৯৪৬) দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।তিনি গণসুন্দরী (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন।[] একই বছর তিনি তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র অমর রাজ-এ অভিনয় করেন। তিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকে পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল মীরা বাঈ (১৯৪৭), সত্যয়ন সাবিত্রী (১৯৪৮) ও হর হর মহাদেব (১৯৫০)। তার অভিনীত অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হল দো বিঘা জমিন (১৯৫৩), এই ছবিতে তিনি তার সর্বোচ্চ অভিনয় প্রতিভা প্রদর্শন করেন।[] মুনিমজী (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন।[] এই কাজের জন্য তিনি তার প্রথম শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ছায়া (১৯৬১) ও শেহনাই (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে আরও দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৭০-এর দশকে তাকে অমিতাভ বচ্চনশশী কাপুরের মায়ের চরিত্রে কাজ করতে দেখা যেত। বচ্চনের মায়ের চরিত্রে তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল দিওয়ার (১৯৭৫), অমর আকবর অ্যান্থনি (১৯৭৭) খুন পাসিনা (১৯৭৭), মুকাদ্দর কা সিকান্দর (১৯৭৮), সুহাগ (১৯৭৯), মর্দ (১৯৮৫), ও লাল বাদশা (১৯৯৯)।[] দিওয়ার ছবিতে তার অভিনয় এবং মা ও ছেলের চরিত্রের সংলাপগুলো হিন্দি চলচ্চিত্রে এক ধরনের গতানুগতিক ধারা হিসেবে ব্যবহৃত হয়[] এবং তাকে নিয়ে শশী কাপুরের "মেরে পাস মা হ্যায়" (আমার কাছে মা আছে) সংলাপটি কাল্ট তকমা লাভ করে।[][]

মৃত্যু ও উত্তরাধিকার

রায় ২০০৪ সালের ১৩ই অক্টোবর ৭৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে আনুমানিক ১০ লাখ রুপীর বিনিময়ে নেপিয়ান সি রোডে মালাবর হিল প্রপার্টি নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেন। তার মৃত্যুর পর তার স্বামী কামাল রায় এই সম্পত্তির মালিক হন। ২০১৫ সালে কামাল রায়ের মৃত্যুর পর তার দুই পুত্রের মধ্যে এই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ দেখা দেয়।[][]

পুরস্কার ও সম্মাননা

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
বঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার
  • ১৯৬২: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ছায়া

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.