নাসির উদ্দিন বিশ্বাস
বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার একজন শিল্পপতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (২২ নভেম্বর ১৯৪৫ – ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২) বাংলাদেশের একজন শিল্পপতি ও কুষ্টিয়া জেলার একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি ও সমাজসেবক ছিলেন।[৪] তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গ্রুপ নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।[৫][৬][৭] এছাড়া তিনি কুষ্টিয়া জেলায় ১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন।[৮][৯]
নাসির উদ্দিন বিশ্বাস | |
---|---|
জন্ম | [১] | ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
মৃত্যু | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৭৭)[১] | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | কিডনি, হার্টসহ নানা জটিলতায়[১] |
সমাধি | সোনাইকুন্ডি, দৌলতপুর উপজেলা, কুষ্টিয়া জেলা[২] |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা |
|
পেশা | শিল্পপতি |
কর্মজীবন | ১৯৭৭-২০২২ |
প্রতিষ্ঠান | নাসির গ্রুপ |
পরিচিতির কারণ | নাসির গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা |
দাম্পত্য সঙ্গী | ১ম স্ত্রী আনোয়ারা বিশ্বাস[১] ২য় স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা[৩] |
সন্তান | ৬[৩] |
পিতা-মাতা |
জীবন বৃত্তান্ত
নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ওনার পিতা ইদ্রিস আলী ছিলেন একজন কৃষক।[১০]
শিক্ষা জীবন
নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ১৯৬৭ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৬৯ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে বিকম পাস করেন।[১০]
কর্ম জীবন
নাসির উদ্দিন বিশ্বাসে বাবা একজন কৃষক ছিলেন। এইজন্য ১৯৭১ সালে বিকম পাসের পরে তিনি কৃষিকাজে জড়িয়ে পরেন। এই কৃষি কাজের মাধ্যমেই তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭২ সালে তিনি তামাক ব্যবসা শুরু করেন। ০৪ বছর পরে তিনি নাসির বিড়ি ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন ১৯৭৬ সালে। পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৭ সালে নাসির গ্রুপ প্রতিষ্ঠত করেন।[১০]
উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড
তিনি নিজ এলাকা আল্লারদর্গায় নাসিরউদ্দিন গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। পরে সেটি নাসিরউদ্দিন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে উন্নীত করেন। একই এলাকায় প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বিশ্বাস-এর নামেআনোয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশু হাসপাতাল স্থাপন করেন। মায়ের নামে স্থাপন করেন রহিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও তিনি দৌলতপুর উপজেলায় নাসির উদ্দিন বিশ্বাস বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নাসির উদ্দিন বিশ্বাস নার্সিং ইনস্টিটিউট ও নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।[১১]
এ ছাড়া দৌলতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ১৩টি ইউনিয়নে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালনা করেতেন। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছে।[১১]
উল্লেখ যে তিনি ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর কুষ্টিয়া জেলার ১০০ জন করে ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করে আসছেন।[১১]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.