Remove ads
ভারতীয় অভিনেতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নাগা চৈতন্য আক্কিনেনি (জন্ম: ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি তেলুগু সিনেমায় কাজ করেন ৷ ২০০৯ সালের চলচ্চিত্র জোশ -এর মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তার অভিষেক হয়, সিনেমাটি পরিচালনা করেন ভাসু বর্মা এবং প্রযোজনা করেন দিল রাজু ৷[১] তার প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পূর্বেই তিনি ইন্দিরা প্রোডাকশনস্ এর সাথে তার ২য় চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন, যেটা পরিচালনা করেন গৌতম মেনন ৷[২] ২০১০ সালে মুক্তি পায় তার (চৈতন্য) এবং সামান্থা অভিনীত চলচ্চিত্র ইয়ে মায়া চেসাভে, যার সঙ্গে চৈতন্যর বাবা আক্কিনেনি নাগার্জুনার রোমান্টিক চলচ্চিত্র গীতাঞ্জলির তুলনা চলে ৷[৩] চৈতন্যর পরবর্তী মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল সুকুমার পরিচালিত ১০০% লাভ, যেখানে তার সহ-অভিনেত্রী ছিলেন তামান্না ৷ সিনেমাটি বক্স অফিসে ভালো সফলতা লাভ করে ৷ এই সিনেমার পর শীঘ্রই তার আরও দুটি ছবি যথাক্রমে ধাদা, এবং বেজাওয়াদা মুক্তি পায়, তবে সিনেমা দুটি তেমন সফলতা লাভ করতে পারেনি ৷ চৈতন্য "অটোনগর সুরিয়া" সিনেমাটিও আবির্ভূত হন ৷[৪] ২০১৬ সালে তিনি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, প্রথমটি হলো প্রেমাম, যেখানে তার সহ-অভিনেত্রী ছিলেন শ্রুতি হসন এবং দ্বিতীয়টি হলো সাহাসাম স্বাসাগা সাগিপো ৷ দুটি চলচ্চিত্রই সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে নেয় ৷ পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে, তিনি রারান্দই ভেদুকা চৌধাম নামের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেটি এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ উপার্জিত চলচ্চিত্র ৷ ২০১৮ সালে, তিনি শৈলজা রেড্ডী আল্লুডু এবং সব্যসাচী নামক দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ৷[৫][৬]
নাগা চৈতন্য আক্কিনেনি | |
---|---|
জন্ম | নাগা চৈতন্য আক্কিনেনি ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | চৈ, চৈতন্য, চৈতু, যুবসম্রাট |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ২০০৯–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | সামান্থা রুথ প্রভু (বি. ২০১৭; বিচ্ছেদ. ২০২১) শোভিতা ধুলিপালা (বি. ২০২৪) |
পিতা-মাতা | আক্কিনেনি নাগার্জুনা ডাগ্গুবাতি লক্ষ্মী |
আত্মীয় | অখিল আক্কিনেনি (সৎ ভাই) |
চৈতন্য ১৯৮৬ সালের ২৩ নভেম্বর তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তার বাবা হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও উদ্যোক্তা আক্কিনেনি নাগার্জুনা, যিনি অভিনেতা আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাওয়ের পুত্র এবং তার মায়ের নাম লক্ষ্মী ডাগ্গুবাতি, যিনি প্রযোজক ডি. রামানাইডুয়ের কন্যা ৷[৭] তার মামা ডাগ্গুবাতি ভেঙ্কটেশ এবং মামাতো ভাই রানা ডাগ্গুবাতি, চাচাতো ভাই সুমন্ত ও সুশান্তও অভিনেতা ৷[৮] চৈতন্য যখন ছোট্ট শিশু, তখন তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তারা উভয়ই অন্য ব্যক্তিকে বিয়ে করেন ৷ একদিকে নাগার্জুনা বিয়ে করেন প্রাক্তন অভিনেত্রী অমলা আক্কিনেনিকে, অন্যদিকে লক্ষ্মী বিয়ে করেন শরৎ বিজয়রাঘবনকে, যিনি পেশায় একজন কর্পোরেট কার্যনির্বাহী ৷ চৈতন্যর বাবা এবং সৎ মায়ের সংসারে তার একটি অর্ধ-ভ্রাতা রয়েছে, তার নাম অখিল আক্কিনেনি [৯]
চৈতন্যর বেড়ে ওঠা চেন্নাইতে, যেখানে তিনি ১৮ বছর বসবাস করেছিলেন ৷ তিনি তার স্কুল ব্যান্ডে কীবোর্ড ও বেইস গিটার বাজাতেন এবং কীবোর্ড বিষয়ে পড়াশোনা করতে ট্রিনিটি কলেজ লন্ডন এ গিয়েছিলেন ৷[১০] চেন্নাইয়ের বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে চৈতন্য বি. কম ডিগ্রী গ্রহণের জন্য হায়দ্রাবাদে ফিরে আসেন ৷ অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছা তিনি অনেকদিন ধরেই তার অন্তরে লালন করে রেখেছিলেন ৷ ২য় বর্ষে পড়াকালীন সময়ে তিনি তার মনের আকাঙ্ক্ষা তার বাবা নাগার্জুনার কাছে প্রকাশ করেন ৷[১১] মুম্বাইতে তিনি অভিনয়ের উপর তিন মাসের কোর্স করেন এবং অভিনয় ও মার্শাল আর্টসে অধিকতর প্রশিক্ষণ লাভের জন্য লস্ অ্যাঞ্জেলস্ এ যান ৷ এছাড়াও চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়ার পূর্বে প্রায় তিন বছর ধরে তিনি তেলুগু ভাষার শব্দ ও রচনাশৈলীর উপর দক্ষতা ও উৎকর্ষ লাভের জন্য চেষ্টা করেন ৷[১২]
নভেম্বর ২০১৫ থেকে শুরু হওয়া প্রণয়ের সম্পর্কের পর ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে চৈতন্য এবং অভিনেত্রী সামান্থার বাগদান সম্পন্ন হয় ৷[৩] ঐবছরই গোয়ায় চৈতন্য এবং সামান্থা বিবাহের পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হন ৷ ৬ অক্টোবর তারিখে তারা হিন্দুধর্ম মতে এবং পরবর্তী দিন অর্থাৎ ৭ অক্টোবর তারিখে খ্রিস্টান ধর্মমতে বিয়ে করেন ৷ উভয় অনুষ্ঠানই পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়, সেখানে শুধুমাত্র তাদের কাছের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ৷[১৩] ২রা অক্টোবর, ২০২১-এ এই দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে। চৈতন্য এবং সামান্থাকে একত্রে তিনটি চলচ্চিত্রে দেখা গিয়েছে এবং সেগুলো বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার ঘোষিত হয়েছে।
চৈতন্য ২০০৯ সালে জোশ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন, যেখানে তিনি একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেন ৷ সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন ভাসু বর্মা ৷ Rediff.com লিখেছিল: "একজন অভিষিক্ত হিসেবে, নাগা চৈতন্য যথেষ্ট ভালো অভিনয় করেছেন ৷ তিনি তার অভিনয়ের দক্ষতাকে প্রমাণ করেছেন ৷ উন্নতির জন্য সর্বদা সুযোগ রয়েছে এবং আশা করা যায় যে, ভবিষ্যতে তিনি তার অভিনয় দক্ষতাকে আরও শাণিত করবেন ৷"[১৪] চৈতন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ অভিষেক বিভাগে "ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - দক্ষিণ" জিতে নেন ৷[১৫]
সাল | চলচ্চিত্র | চরিত্র | পরিচালক | নোট | |
---|---|---|---|---|---|
২০০৯ | জোশ | সত্য | ভাসু বর্মা | প্রথম চলচ্চিত্র | |
২০১০ | ইয়ে মায়া চেসাভে | কার্তিক | গৌতম মেনন | ভিন্নাইতান্ডি ভারুভায়া নামে পাশাপাশি তামিল ভাষায় নির্মিত হয় | |
ভিন্নাইতান্ডি ভারুভায়া | "জেসি" চলচ্চিত্রের নায়ক | গৌতম মেনন | তামিল চলচ্চিত্র, ক্যামিও উপস্থিতি | ||
২০১১ | ১০০% লাভ | বালু মহেন্দ্র | সুকুমার | ||
ধাদা | বিশ্ব | অজয় ভুয়ান | |||
বেজাওয়াদা | শিব কৃষ্ণ | বিবেক কৃষ্ণ | |||
২০১৩ | তাড়াখা | কার্তিক | কিশোর কুমার পারদাসানি | তামিল চলচ্চিত্র ভেট্টাই এর পুনর্নিমাণ | |
২০১৪ | মানাম | নাগার্জুনা/রাধা মোহন | বিক্রম কুমার | ||
অটোনগর সুরিয়া | সুরিয়া | দেবা কাট্টা | |||
ওকা লাইলা কোসাম | কার্তিক | বিজয় কুমার কোন্দা | |||
২০১৫ | দোহচায় | চান্দু | সুধীর বর্মা | ||
কৃষ্ণাম্মা কালিপিন্ডি ইড্ডারিনি | নিজে স্বয়ং | আর. চান্দ্রু | ক্যামিও উপস্থিতি | ||
২০১৬ | আতাদুকুন্দম্ রা | ||||
প্রেমাম | বিক্রম ভাটসালয়া | চান্দু মোনদেন্তি | |||
সাহাসাম স্বাসাগা সাগিপো | ডিসিপি রজনীকান্ত মুরলীধর | গৌতম মেনন | |||
২০১৭ | রারান্দই ভেদুকা চৌধাম | শিবা | কল্যাণ কৃষ্ণ কুরাসালা | ||
যুদ্ধম্ শরণম্ | অর্জুন | কৃষ্ণ মারিমুথু | |||
২০১৮ | মহানতী | আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাও | নাগ আশ্বিন | ক্যামিও উপস্থিতি | |
নাদিগাইয়ার থিলাগাম | নাগ আশ্বিন | তামিল চলচ্চিত্র, ক্যামিও উপস্থিতি | |||
শৈলজা রেড্ডি আল্লুডু | চৈতন্য | মারুথি দাসারি | |||
সব্যসাচী | বিক্রম আদিত্য | চান্দু মোনদেতি | |||
২০১৯ | মাজিলি | পূর্ণা/পূর্ণা চন্দ্র রাও | শিবা নির্ভানা | ||
ওহ! বেবি | যুবক চ্যান্টি | বি.ভি. নন্দিনী রেড্ডী | ক্যামিও উপস্থিতি | ||
ভেঙ্কী মামা | কৃষ্ণা | কে. এস. রবীন্দ্র | |||
২০২১ | লাভ স্টোরি | রিভান্ত | শেখর কাম্মুলা | বক্স অফিস হিট |
সাল | পুরস্কার | বিভাগ | চলচ্চিত্র | ফলাফল | তথ্যসূত্র | |
---|---|---|---|---|---|---|
২০০৯ | ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস্ দক্ষিণ | শ্রেষ্ঠ পুরুষ অভিষেক – দক্ষিণ | জোশ | বিজয়ী | ||
সিনেমা অ্যাওয়ার্ডস্ | শ্রেষ্ঠ পুরুষ অভিষেক | বিজয়ী | ||||
২০১০ | ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস্ দক্ষিণ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – তেলুগু | ইয়ে মায়া চেসাভে | মনোনীত | ||
সাউথ স্কোপ সিনেমা অ্যাওয়ার্ডস্ | দক্ষিণের উদীয়মান তারকা | বিজয়ী | ||||
২০১২ | সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডস্ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – তেলুগু | ১০০% লাভ | মনোনীত | ||
২০১৪ | ৪র্থ সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডস্ | দক্ষিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | মানাম | মনোনীত | ||
৪র্থ সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডস্ | ৪র্থ দক্ষিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (সমালোচকদের রায়ে) | মানাম | বিজয়ী | |||
নন্দী অ্যাওয়ার্ডস্ | শ্রেষ্ঠ সাপোর্টিং অভিনেতা | মানাম | বিজয়ী | |||
২০১৫ | জী তেলুগু ১০ম অ্যানিভার্সারি অ্যাওয়ার্ডস্ | দশকের যুব আইকন | বিজয়ী | |||
২০১৬ | টিএসআর - টিভি৯ ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস্ | স্পেশাল অ্যাপ্রিসিয়েশন হিরো অ্যাওয়ার্ড | প্রেমাম | বিজয়ী | [১৬] | |
২০১৭ | ৬৪তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস্ দক্ষিণ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – তেলুগু | মনোনীত | |||
সন্তোষম্ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | বিজয়ী | ||||
জ়ি গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ডস্ | এন্টারটেইনার অব দ্যা ইয়ার | রারান্দোই ভেদুকা চৌধাম | মনোনীত | [১৭] | ||
২০১৯ | টিএসআর – টিভি৯ ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস্ | বিশেষ জুরি পুরস্কার | শৈলজা রেড্ডি আল্লুডু | বিজয়ী | [১৮] | |
২০২২ | ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস্ দক্ষিণ | সেরা অভিনেতা – তেলুগু | লাভ স্টোরি | মনোনীত | [১৯] | |
সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডস্ | সেরা অভিনেতা – তেলুগু | মনোনীত | [২০] | |||
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.