নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ
বাংলাদেশের সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অবস্থিত একটি মেডিকেল কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ (ইংরেজি: North East Medical College) হচ্ছে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল স্কুল, যা ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অবস্থান সিলেট এর দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। এটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এর স্কুল অব মেডিক্যাল সাইন্সের এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের এর অধীনে অধিভুক্ত।
![]() | |
অন্যান্য নাম | নথিস্ট (আঞ্চলিক ডাকনাম) |
---|---|
ধরন | বেসরকারি মেডিক্যাল স্কুল |
স্থাপিত | ১৯৯৮ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | শাবিপ্রবি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী |
শিক্ষার্থী | ৬০০+ |
অবস্থান | , ২৪.৮৬৫° উত্তর ৯১.৮৫৭° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | ইংরেজি |
ওয়েবসাইট | nemc |
![]() |
প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। স্নাতক শেষে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য এক বছরের ইন্টার্নশীপ বাধ্যতামূলক। এই ডিগ্রী বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-এর দ্বারা স্বীকৃত।
ইতিহাস
নর্থ ইস্ট মেডিকেল প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৯৮ সালে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।[১]
ক্যাম্পাস

এই কলেজটি সিলেটের দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অবস্থিত, , ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ৩০০ মিটার (৯৮০ ফুট) দক্ষিণ পার্শ্বে।[২] ক্যাম্পাসে অবস্থিত প্রধান ভবনটিতে রয়েছে একটি একাডেমিক ভবন এবং নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, কলেজের ৬০০-শয্যাবিশিষ্ট প্রশিক্ষণ হসপিটাল।[৩]
নর্থ ইস্ট নার্সিং কলেজ ও একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এটা তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এবং ধাত্রীবিদ্যা, চার বছর মেয়াদী বেসিক ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন নার্সিং, এবং দু’বছর-মেয়াদী পোস্ট-বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং ডিগ্রী প্রদান করে থাকে।[৪]
সংগঠন এবং প্রশাসন
এই কলেজটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এর স্কুল অব মেডিকেল সাইন্স এবং সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত একটি কলেজ।[২][৫] কলেজটির অধ্যক্ষ হচ্ছেন অধ্যাপক ডা শাহরিয়ার হোসাইন চৌধুরী।[৬]
একাডেমীকস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
কলেজটি পাঁচ বছর মেয়াদী একটি কোর্স পরিচালনা করে, যা শাবিপ্রবি থেকে ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রী প্রদান করে, এবং এই ডিগ্রী বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-এর (BMDC) দ্বারা স্বীকৃত। চূড়ান্ত প্রফেশনাল পরীক্ষা শেষে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য এক বছরের ইন্টার্নশীপ বাধ্যতামূলক। মেডিসিন বিভাগে প্র্যাকটিস করার জন্য বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন পেতে এই ইন্টার্নশীপ কোর্সটি হচ্ছে একটি পূর্বশর্ত।[২][৭] একাডেমিক ক্যালেন্ডার জুলাই থেকে শুরু হয়ে আবার জুন পর্যন্ত চলতে থাকে।[৮]
অক্টোবর ২০১৪ সালে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ বছরের কোর্সের জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে এডমিশন এবং টিউশন ফি বাবদ মোট ১৯,৯০,০০০ বাংলাদেশি টাকা (US$25,750 ২০১৪ অনুসারে) ধার্য করে দেয়।[৯] বাংলাদেশের সকল মেডিকেল কলেজে (সরকারি এবং বেসরকারি) এমবিবিএস প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য বাংলাদেশিদের সকল ভর্তি কার্যক্রম ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের (DGHS) মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন হয়। এতে একই সঙ্গে সারা দেশে বহু নির্বাচনী প্রশ্নে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রার্থীরা মূলত পরীক্ষায় তাদের স্কোরের ভিত্তিতে ভর্তি হয়, যদিও সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (SSC) এবং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (HSC) পর্যায়ের গ্রেড পয়েন্টও একটা ভূমিকা রাখে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের তাদের SSC এবং HSC-এর গ্রেডের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়।[১০] জুলাই ২০১৪ অনুসারে, কলেজটি প্রতি বছর ১১৫ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ করে দিতে সক্ষম হয়।[১১]
২০০৪ সাল থেকে, কলেজটি একটি স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে যা বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস(BCPS) দ্বারা স্বীকৃত।[১]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.