Remove ads
বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার ঐতিহাসিক সরকারি কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নরসিংদী সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নরসিংদীতে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ অক্টোবর নরসিংদী সদর উপজেলার পশ্চিম ব্রাহ্মন্দীতে ‘নরসিংদী কলেজ’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজটিতে সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর বিষয়ে পাঠদান করে হয়ে থাকে। এর উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা - তিনটি শাখায় পাঠদান করা হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত। কলেজটির প্রথম কার্যালয় ছিল সাটিরপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (বর্তমানে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়)। ১৯৫৫ সালে এটি নিজস্ব স্থানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮০ সালে এর সরকারিকরণ হয়।[৩][৪]
প্রাক্তন নাম | নরসিংদী কলেজ |
---|---|
ধরন | সরকারি, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক কলেজ |
স্থাপিত | ২৬ অক্টোবর ১৯৪৯[১] |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ইআইআইএন | ১১২৭১৯ |
অধ্যক্ষ | প্রফেসর মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১১৩ [২] |
ঠিকানা | ২০৫/৩, পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী , , ১৬০২ , ২৩.৯৩৩৬° উত্তর ৯০.৭২৩২° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
পোশাকের রঙ | সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট |
ওয়েবসাইট | narsingdigovtcollege |
মানচিত্রে নরসিংদী সরকারি কলেজের অবস্থান |
নরসিংদী ১৯৪৯ সালে নারায়ণগঞ্জ মহকুমার প্রশাসনিক কাঠামোর আওতাভুক্ত ছিল। ১৯৪৯ সালের ২২ এপ্রিল, নরসিংদীর বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ স্থানীয় একটি সিনেমা হলে এক জনসমাবেশ করেন, যার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কীভাবে এ-অঞ্চলে একটি কলেজ গড়ে তোলা যায়। সমাবেশে কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন হলে তা সভায় সমর্থিত হয়। মহকুমা প্রশাসকের উত্থাপিত প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সেখানে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাময়িক ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়।
১২-১৩ দিনের মধ্যেই নরসিংদী থানা প্রাঙ্গণে মহকুমা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ০৪ মে ১৯৪৯ তারিখে দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। এই সভায় নরসিংদী, মাধবদী, চিনিশপুর এবং ঢাকার অন্যান্য অঞ্চল হতে আরো ১৫ জন সদস্য কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিষদের মধ্যে কো-অপ্ট করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সভায় কিছু বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যেমন : কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক খরচ এবং পরবর্তী পরিচালনা বাবদ খরচ মেটানোর জন্যে নরসিংদী বাজারের পাট, চাল, কাপড়, সুতা, খাদ্য সামগ্রী, তেল ইত্যাদি বিক্রয় সামগ্রী হতে মণ প্রতি ৬ পয়সা করে সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় কলেজের স্থান নির্বাচন, ‘প্রচার’, ‘অর্থ সংগ্রহ’— তিনটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। কলেজের জন্যে সংগৃহীত সমস্ত অর্থ তৎকালীন হাবিব ব্যাংক (নারায়ণগঞ্জ) এবং রায়পুরা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে জমা রাখার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। ২১ মে ১৯৪৯ তারিখে কলেজ প্রতিষ্ঠার তৃতীয় সভায় অর্থ সংগ্রহের জন্যে টিকেটের বিনিময়ে একটি চ্যারেটি শো করার ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ব্রাহ্মন্দীর জমিদার বাবু জিতেন্দ্র কিশোর মৌলিক ব্রাহ্মন্দীস্থ তার জায়গা হতে কলেজের জন্যে ১০ বিঘা জমিদানের যে-ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাতে ০৮ জুলাই ১৯৪৯ তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিষদের চতুর্থ সভায় বাবু জিতেন্দ্র কিশোর মৌলিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়। এই তারিখের সভায় ৪৯-৫০ শিক্ষাবর্ষ হতেই সাটিরপাড়া গার্লস হাই স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরগুলোতে কলেজের ক্লাশ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৫৫ সালে ব্রাহ্মন্দীতে কলেজের নিজস্ব ভবনে কলেজ স্থানান্তরিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত গার্লস স্কুলে কলেজের কার্যক্রম চালানো হয়। প্রথম পর্যায়ে শুধু আই.এ. এবং আই.কম শ্রেণির ক্লাশ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[৩]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.