নরম্যান মার্শাল
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নরম্যান এজার মার্শাল (ইংরেজি: Norman Marshall; জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৪ - মৃত্যু: ১১ আগস্ট, ২০০৭) বার্বাডোসের সেন্ট টমাসের ওয়েলচম্যান হল প্লান্টেশন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। অফ-স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি মাঝারীসারিতে ব্যাটিং করতেন নরম্যান মার্শাল।
![]() ১৯৮২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে নরম্যান মার্শাল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নরম্যান এজার মার্শাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট | ২৬ এপ্রিল ১৯৫৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ এপ্রিল ২০১৭ |
প্রারম্ভিক জীবন
ফাউন্ডেশন স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি। ১৯৪০-৪১ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অধিকাংশ সময়ই বার্বাডোসের পক্ষে খেললেও কাজ করার সুবাদে ১৯৫৪ ও ১৯৫৫ সালে ত্রিনিদাদের পক্ষে চারবার অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে বার্বাডোসের সদস্যরূপে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৩৪ রান তুলেন। এছাড়াও, ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে জ্যামাইকার বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/১১৭ গড়েন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
খুবই মিতব্যয়ী বোলিং করতেন মার্শাল। এছাড়াও, আক্রমণাত্মকধর্মী ব্যাটিংয়ের অধিকারী ছিলেন। ১৯৫৫ সালে ৩১ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। জর্জটাউনে ২৬ এপ্রিল, ১৯৫৫ তারিখে অনুষ্ঠিত নিম্নমূখী রান সংগ্রহের প্রবণতার ঐ টেস্টে তিনি ০ ও ৮ এবং ২/৬২ পেয়েছিলেন। ঐ খেলায় তার দল ৮ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর তাকে টেস্ট দলে নেয়া হয়নি। মৎস্য আহরণ শেষে ফিরে আসলে তিনি তার অন্তর্ভূক্তির কথা জানতে পারেন।
অবসর
১৯৩৯ সালে বার্বাডোসে ওয়ান্ডেরার্স ক্লাবে খেলেন। সেখানে তিনি কিছু সময় কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর সিঙ্গার কোম্পানীর নির্বাহী হিসেবে পেরু ও ভেনেজুয়েলায গমন করেন। ঐ দেশগুলোয়ও ক্রিকেটের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। বার্বাডোসে ফিরে পঞ্চাশ বছর বয়সেও ওয়ান্ডেরার্স দলকে মধ্যমস্তরের বিভাগে নিয়ে যেতে সক্ষমতা দেখান।
তার ভাই রয় মার্শাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন ও ত্রিশ সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে রান তুলেছেন যার অধিকাংশই ছিল হ্যাম্পশায়ারের সদস্যরূপে। ৮৩ বছর বয়সে ১১ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাস্টিংস এলাকায় তার দেহাবসান ঘটে। শেষদিনগুলোয় গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ করতেন ও নিয়মিতভাবে টেনিস খেলায় অংশ নিতেন।[১]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.