আফগান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নওরোজ খান মঙ্গল (পশতু: نوروز منگل; জন্ম: ২৮ নভেম্বর ১৯৮৪) একজন প্রাক্তন আফগান ক্রিকেটার। ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার। মঙ্গল আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল এর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
![]() ২০১০ সালে নওরোজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নওরোজ খান মঙ্গল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কাবুল, আফগানিস্তান | ২৮ নভেম্বর ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩ |
পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
পুরুষদের ক্রিকেট | ||
আফগানিস্তান-এর প্রতিনিধিত্বকারী | ||
এশিয়ান গেমস | ||
২০১০ গংচু | দল |
মঙ্গল আফগানিস্তানের কাবুল এ জন্মগ্রহণ করেন। মঙ্গল তার পরিবারের সাথে পাকিস্তান প্রতিবেশী শরণার্থী শিবির এর মধ্যে তার প্রাথমিক জীবন পরিচালিত হয়। মঙ্গল যে ক্যাম্পে ছিলেন সেখান থেকে ক্রিকেট খেলতেন এবং তার খেলা সতীর্থদের অনেক ভালো লাগে। আফগানিস্তানে যুদ্ধ মার্কিন সেনাবাহিনী ২০০১ সালে আফগানিস্তানের তালিবান শাসন শেষ হতে দেখেন এবং এরপর মঙ্গল দেশে ফিরে আসেন। সবশেষে, আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১]
মঙ্গল আফগানিস্তানের কোচ তাজ মালিকের সাথে সমঝোতার সৃষ্টি করেন। মঙ্গলের পিতা তাকে খেলা থেকে দুরে রাখার চেষ্টা করতেন। মালিক মঙ্গলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পাকিস্তানের সীমান্ত খোস্ত প্রদেশের গিয়েছিলেন। তাদের বলতে যে: "সে একদিন অনেক বড় হবে"। মালিক তাদের সাথে রাতে কথা বলেন এবং সকালে মঙ্গলকে খেলানোর জন্য অনুমতি নেন।[২] মঙ্গলের আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় ২০০১ সালে কায়েদ-ই-আযম ট্রফিতে নাউসেহেরার বিরুদ্ধে।[৩] তার আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে এসিসি ট্রফিতে ওমান এর বিরুদ্ধে। টুর্নামেন্ট চলাকালে মঙ্গল ২৭১ রান নিয়ে আফগানিস্তান সর্ব্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী নির্বাচিত হন।[৪] এটা ছিল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ প্রথম সময় এবং তারা কুয়েতকে হারিয়ে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালালের দিকে অগ্রসর হয়।[১]
২০০৭ সালে মঙ্গলকে জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়। মঙ্গলের নেতৃত্বে ২০০৮ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ ডিভিশন ফাইভ জিতে যেটি তার নেতৃত্ব্বের মাত্র ১ বছরেরও কম সময় ছিল। মঙ্গলের নেতৃত্বে আফগানিস্তান স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআইতে জয় লাভ করে।[৫] মঙ্গল অক্টোবর ২০১০ সালে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে কেনিয়া জাতীয় দলের বিরুদ্ধে প্রথম শতক লাভ করেন। তিনি ১৬৮ রান করে রান আউটের শিকার হন। তিনি তার ইনিংসটি গড়েন বোলার হামিদ হাসানের সাথে এবং আফগানিস্তান ১৬৭ রানের ব্যাবধানে জয় লাভ করে।[৬][৭] ২০১০ সালের নভেম্বরে মোহাম্মাদ নবীকে চীনে অনুষ্ঠিতব্য ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে অধিনায়ক করা ঘোষণা দেওয়া হয় এবং উক্ত মাসেই তাকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়।[৮] আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন যে "আমরা ১৬টি একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলেছি কিন্তু আমরা শুধুমাত্র নয়টি জিততে পেরেছি সেইজন্য আমরা অধিনায়কত্ব বোঝা নওরোজ খুব ভারী মনে হচ্ছে এজন্য নবীকে সর্বোত্তম মনে করে হচ্ছে। [৯] সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে তারা ফাইনালে ওঠে এবং ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়ে একটি রৌপ্যপদক দিয়ে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।[১০][১১]
সিরি. নং | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | ম্যাচে অবদান |
---|---|---|---|---|
১ | কানাডা | স্পোর্টপার্ক ওয়েস্টভিলিয়েট, ভুরবার্গ | ১ জুলাই ২০১০ | ৩-০-১৩-০, ১ ক্যাচ; ৭০* (৫৮ বল: ৬x৪); |
২ | স্কটল্যান্ড | শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, শারজাহ | ৬ মার্চ ২০১৩ | ডিএনবি; ১১২* (৯৬ বল: ৮x৪, ৬x৬); |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.