রিডলি স্কট পরিচালিত ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দ্য মার্শিয়ান ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রিডলি স্কট। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ৮৮তম একাডেমি পুরস্কার আসরে ৭টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ‘দ্য মার্শিয়ান’।
দ্য মার্শিয়ান | |
---|---|
![]() মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | রিডলি স্কট |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার | ড্রিউ গডার্ড |
উৎস | অ্যান্ডি উইর কর্তৃক দ্য মার্শিয়ান |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | হ্যারি গ্রেগসন-উইলিয়ামস |
চিত্রগ্রাহক | ড্যারিয়াজ ওলস্কি |
সম্পাদক | পিয়েত্রো স্কেলিয়া |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪১ মিনিট[১] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র[২] |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $১০৮ মিলিয়ন[৩] |
আয় | $৬০৫.৫ মিলিয়ন[৪] |
নভোচারী মার্ক ওয়াটনি মঙ্গল গ্রহ অভিযানে গেছেন। সেখানে একদিন একটি শক্তিশালী বালুঝড় থেকে বাঁচতে অভিযাত্রীরা দ্রুত ফিরে আসতে বাধ্য হন। এ সময় ছিটকে পড়েন ওয়াটনি। তাঁকে ‘মৃত’ ধরে নেন বাকিরা। কিন্তু মার্ক বেঁচে যান এবং চেতনা ফিরলে নিজেকে লাল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে একাকী অবস্থায় আবিষ্কার করেন। সেখানে নেই খাবার, পানি আর বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ। তাই টিকে থাকার জন্য তাঁকে কাজে লাগাতে হয় নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা এবং অসীম সাহস ও প্রাণশক্তি। তৈরি করেন খাবার আর বাসস্থান। একপর্যায়ে তিনি পৃথিবীতে সংকেত পাঠানোর একটা উপায় বের করে ফেললেন এবং জানিয়ে দিলেন, আমি বেঁচে আছি। লাখ লাখ মাইল দূরে নাসার একদল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী নিরলস চেষ্টা শুরু করেন মার্শিয়ান বা মঙ্গলচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার। একই সঙ্গে তাঁর সহযাত্রীরা একটি দুঃসাহসী পরিকল্পনা করেন উদ্ধার অভিযানের। অবিশ্বাস্য সব প্রচেষ্টা আর অফুরন্ত উদ্যমের পর বিশ্ববাসী দেখতে পায়, পৃথিবীতে ওয়াটনির নিরাপদ প্রত্যাবর্তন।
দ্য মার্শিয়ান নামের চলচ্চিত্রটি আগেরগুলোর চেয়ে আলাদা। আগের ছবিগুলোয় ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের ব্যাপক ভূমিকা থাকত। দ্য মার্শিয়ান ছবিটায় বরং দেখানো হয়েছে, গ্রহটিতে একজন মানুষ আটকা পড়লে কীভাবে বেঁচে থাকবে। অ্যান্ডি উইয়ার দ্য মার্শিয়ান বই থেকে ছবির গল্প নেওয়া হয়েছে। ছবির গল্প যেমন রোমাঞ্চকর, ছবি তৈরির গল্পও কম যায় না।
গল্পটি এমন এক জায়গার, যা শুধু ছবিতেই দেখা সম্ভব। আর ছবিগুলো আছে কেবল নাসার কাছে। তাই নাসার সাহায্য ছাড়া ছবির পাত্রপাত্রীর হাঁটাচলা করা দুঃসাধ্য। নাসা কর্তৃপক্ষ গল্প শুনে আগ্রহ দেখিয়েছে এ কারণে যে তারাও প্রায় একই রকম গবেষণা চালাচ্ছে এখন। বিষয়টি হলো-মানুষ কীভাবে মঙ্গল গ্রহে জীবনধারণ করবে। তাই তারা সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করা শুরু করে।
ছবিটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৪-র ২৪ নভেম্বর। হাঙ্গেরি ও জর্দানের ছয়টি জায়গা বেছে নেওয়া হয় লোকেশন হিসেবে। আর সেগুলো হলো-ওয়াদি রাম (জর্দান), বুদাপেস্ট (হাঙ্গেরি), কোর্ডা স্টুডিও ( হাঙ্গেরি), বুদারস এয়ারপোর্ট ( হাঙ্গেরি) এবং জর্দান ও হাঙ্গেরির আরো কিছু অংশ। সবচেয়ে বেশি চিত্রায়িত হয় কোরদা স্টুডিওতে।[৫]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.