দীপিকা চিখালিয়া
ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দীপিকা টোপিওয়ালা (বা দীপিকা চিখালিয়া; জন্ম: ২৯শে এপ্রিল ১৯৬৫) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি রামনন্দ সাগরের জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক রামায়ণে দেবী সীতার চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।[১] অতঃপর তিনি বেশ কয়েকটি ভারতীয় ঐতিহাসিক টেলিভিশন ধারাবাহিক করেছেন, যেগুলো তাঁকে দর্শকের মনে স্থান করে নিতে দারুণভাবে সহায়তা করেছিল।
দীপিকা চিখালিয়া | |
---|---|
সংসদ সদস্য, লোকসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | প্রকাশ ব্রহ্মভট্ট |
উত্তরসূরী | সত্যজিৎসিং গায়েকওয়াদ |
নির্বাচনী এলাকা | ভদোদরা, গুজরাত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দীপিকা চিখালিয়া ২৯ এপ্রিল ১৯৬৫ মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | হেমন্ত টপিওয়ালা |
পেশা | চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ |
তিনি চলচ্চিত্র সুন মেরি লায়লা (১৯৮৩)-তে অভিনয় করার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন; যেখানে তিনি রাজ কিরণের মতো অভিনয়শিল্পীর সাথে অভিনয় করেছিলেন। অতঃপর তিনি রাজেশ খান্নার সাথে ৩টি ব্যবসায়িকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন; যেগুলো হলো রুপয়ে দশ করোড়, ঘর কা চিরাগ এবং খুদাই। তিনি প্রভুর সাথে নঙ্গল (১৯৯২) নামে একটি মালয়ালম চলচ্চিত্রে এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে আশা ও ভালোবাসা নামক একটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি গুজরাতি সুপার স্টার নরেশ কানোদিয়ার বিপরীতে জোড়ে রহেজো রাজ এবং লাজু লখনের মতো কয়েকটি গুজরাতি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
দীপিকা চিখালিয়া রাজ কিরণের বিপরীতে ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুন মেরি লায়লা নামক চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, তবে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রটি সফল হলেও তিনি ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাননি। দীপিকা ১৯৮৫ সালে জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক দাদা দাদি কি কাহানি-তে অভিনয় করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ভগবান দাদা (১৯৮৬), কালা ধন্দা গোরে লোগ (১৯৮৬) এবং ডুরি (১৯৮৯)-এর ব্যবসায়িকভাবে অসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ভৌতিক চলচ্চিত্র চীখ (১৯৮৬) এবং রাত কে অন্ধের মে (১৯৮৭)-তে প্রধান নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন। যা বক্স অফিসে ভালো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।
পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে, তিনি রামনন্দ সাগরের জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক রামায়ণে দেবী সীতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা তাঁকে জাতীয় খ্যাতি অর্জন করতে দারুণভাবে সহায়তা করেছিল। অতঃপর তিনি ১৯৮৮ সালে বিক্রম অর বেতাল, ১৯৮৯ সালে দ্য সোর্ড অফ টিপু সুলতান এবং লব কুশ এর মতো জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে তাঁর জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হলো ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ঘর কা চিরাগ এবং ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রুপয়ে দশ করোড়; দুটি চলচ্চিত্রেই তিনি রাজেশ খান্নার সাথে অভিনয় করেছিলেন এবং এই চলচ্চিত্র দুটিতে তাঁর চরিত্রটি কম সময়ের জন্য প্রদর্শিত হয়েছিল। অতঃপর তিনি খুদাই নামক একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যেটি ১৯৯৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম ছিল। ১৯৯০ সালে শঙ্কর নাগের বিপরীতে কেন্দ্রীয় নায়িকা হিসাবে তাঁর কন্নড় চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এছাড়াও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে তাঁর বাংলা চলচ্চিত্র আশা ও ভালোবাসা (১৯৮৯) এবং প্রভুর বিপরীতে তামিল ছবি নঙ্গল (১৯৯৯) বক্স অফিসে বেশ জনপ্রিয় ছিল।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.