দারবান্দ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দারবান্দ (রুশ: Дербе́нт; ফার্সি: دربند; আজারবাইজানি: Dərbənd; লেজগিয়: Кьвевар; আভের: Дербенд), [7] রাশিয়ার একটি শহর, কাস্পিয়ান সাগরের তীরে এবং আজারবাইজান সীমান্তের উত্তরে অবস্থিত।এটি রাশিয়ার দক্ষিণতম শহর, এবং দাগেস্তানের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর। রুশ জনগণনা অনুযায়ী এর জনসংখ্যা: ১১৯,২০০ (২০১০ জনগননা); ১০১,০৩১ (২০০২ জনগননা); ৭৮৩৭১ (১৯৮৯ জনগননা)।
দারবান্দ Дербент | |
---|---|
শহর[1] | |
অন্যান্য প্রতিলিপি | |
• আজারবাইজানী | Dərbənd |
• লেজগিয়ান | Кьвевар |
• আভার | Дербенд |
লুয়া ত্রুটি: ।দারবান্দের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪২°০৩′ উত্তর ৪৮°১৮′ পূর্ব | |
দেশ | রাশিয়া |
ফেডারেল বিষয় | Dagestan[1] |
প্রতিষ্ঠাকাল | ৪৩৮ |
শহর অবস্থা | ১৮৪০ |
আয়তন[2] | |
• মোট | ৬৯.৬৩ বর্গকিমি (২৬.৮৮ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১০ আদমশুমারি)[3] | |
• মোট | ১,১৯,২০০ |
• ক্রম | ২০১০ এ ১৩৭তম |
• জনঘনত্ব | ১,৭০০/বর্গকিমি (৪,৪০০/বর্গমাইল) |
প্রশাসনিক অবস্থা | |
• অধীনস্ত | দেরবন্টের শহর[1] |
• রাজধানী | ডাগেষ্টান প্রজাতন্ত্র[1] |
• রাজধানী | দেরবন্টের শহর[1], দেরবন্টস্কাই জেলা[1] |
পৌরসভা অবস্থা | |
• শহুরে জেলা | Derbent Urban Okrug[4] |
• রাজধানী | Derbent Urban Okrug[4], দেরবন্টস্কাই পৌরসভা জেলা |
সময় অঞ্চল | মস্কো সময় [5] (ইউটিসি+3) |
ডাক কোড[6] | 368600 |
ডায়ালিং কোড | +৭ 87240 |
যমজ শহর | ইয়াকিমা, গাঞ্জা, হাদেরা, পেস্কভ |
OKTMO আইডি | 82710000001 |
ওয়েবসাইট | www |
দারবান্দ কাস্পিয়ান সাগর এবং ককেশাস পর্বতমালা মধ্যে সংকীর্ণ প্রবেশপথ দখল করে রেখেছে যা উত্তরের ইউরেশীয় প্রান্তর এবং দক্ষিণে ইরানের মালভূমিকে সংযোগ করেছে।
ঐতিহাসিক দলিলপত্রের উপর ভিত্তি করে, যা ৮ম খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত পুরানো, দারবান্দকে রাশিয়ার সবচেয়ে পুরানো শহর বলে দাবি করা হয়। [8] কৌশলগত অবস্থানের কারণে, এই শহরটি বহুবার হাত বদল হয়েছে, বিশেষ করে পার্সিয়ান, আরব, তইমুর, শিরভান এবং ইরানি রাজ্যদের মধ্যে। উনিশ শতকে, ১৮১৩ সালের গুলিস্তান চুক্তির দ্বারা এটি ইরানের থেকে রাশিয়ার হাতে চলে যায়। [9]
দারবান্দ শব্দটি এসেছে আধুনিক ফার্সি: دربند, অনুবাদ 'Barred gate' থেকে (দার “দরজা” + বান্দ “বাধা,” মানে, “বন্ধ দরজা”), যা সন্নিহিত গিরিপথকে উল্লেখ করে। এটা প্রায়ই আলেকজাণ্ডারের কাল্পনিক দ্বারের সঙ্গে চিহ্নিত করা হয়। পঞ্চম শতাব্দির শুরু বা ষষ্ঠ শতাব্দীর শুরুরদিকে এর ফার্সি নামের প্রচলন শুরু হয়,যখন শহরটি পারস্যের সাসানীয় রাজবংশের কাভাধ ১ দ্বারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু এর আগে থেকেই দারবান্দ সম্ভবত সাসানীয় রাজবংশের দ্বিতীয় শাহ, শাপুর দ্বারা পারথিয়ান্সদের এবং ককেশিয়ান অ্যালবেনিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়ের ফলে সাসানীয় প্রভাব বলয়ের মধ্যে ছিল। অতি প্রাচীনকাল থেকেই, ককেশাসের দরজা হিসেবে এই এলাকার গুরুত্ব অনুবাধন করা হয়েছিল ও কাজে লাগানো হয়েছিল এবং দারবান্দতে ৫০০০ এরও বেশি বয়সী প্রত্নতাত্ত্বিক কাঠামো রয়েছে। এই ভৌগোলিক বিশেষত্বের ফলে শহরটি দুটি প্রাচীরের মধ্যে বিকশিত হয়েছে, যা পাহাড় থেকে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দুর্গ দেড় সহস্রাব্দেরও বেশি সময়কাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে যা বিশ্বের অন্য কোন দুর্গের চেয়েও বেশি।
আরবি গ্রন্থে এই শহরটি পরিচিত ছিল বাব আল-আবয়োআব (আরবি: باب الأبواب: আক্ষরিক অনুবাদ: দরজার দরজা), বা শুধু আল-বাব নামে।
কাস্পিয়ান সাগর এবং উত্তর ককেশাস পর্বতমালার মধ্যবর্তী একটি সংকীর্ণ, তিন কিলোমিটারের টুকরো জমির উপর দারবান্দের অবস্থান সমগ্র ককেশাস অঞ্চলের মধ্যে কৌশলগত বলে ধরা হয়।ঐতিহাসিকভাবে, এই অবস্থানের কারণে দারবান্দের শাসকরা ইউরেশীয় প্রান্তর এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যকার ভূমি দ্বারা চলাচলা ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো।ককেশাস শৈলশ্রেণী অতিক্রম করার একমাত্র বাস্তবসম্মত পথটি ছিল ডেরিয়াল ঘাট দ্বারা।
ঐতিহ্যগতভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে একটি ইরানি শহর,[10] দারবান্দ অঞ্চলে প্রথম দৃঢ় উপনিবেশের ইতিহাস অষ্টম খ্রিস্টপূর্বাব্দ পুরানো এবং ষষ্ঠ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে শুরু করে যা মাঝে মাঝে পারস্য সম্রাটগণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো। ৪র্থ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত, এটি ককেশিয়ান আলবেনিয়ার অংশ ছিল যা আকিমিনীয় পারস্য সাম্রাজ্যের অধস্তন ছিল, এবং ঐতিহ্যগতভাবে রাজধানী আলবানা দ্বারা একে শনাক্ত করা হত।[11] এর আধুনিক নামটি হচ্ছে একটি ফার্সি শব্দ (دربند দারবান্দ) যার মানে হচ্ছে "প্রবেশপথ", যার ব্যবহার ৫ম শতাব্দীর শেষ বা ৬ষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম দিকে শুরু হয়, যখন শহরটি পারস্যের সাসানীয় রাজবংশের কাভাধ ১ দ্বারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়,[12] কিন্তু এর আগে থেকেই দারবান্দ সম্ভবত সাসানীয় রাজবংশের দ্বিতীয় শাহ, শাপুর দ্বারা পারথিয়ান্সদের এবং ককেশিয়ান অ্যালবেনিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়ের ফলে সাসানীয় প্রভাব বলয়ের মধ্যে ছিল। ৫ম শতাব্দীতে দারবান্দ সীমান্ত দুর্গ ও সাসানীয় সীমান্ত রক্ষীদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত।
৩০টি উত্তরমুখী টাওয়ার সহ ২০ মিটার লম্বা (৬৬ ফুট) দেয়ালটি কাভাদের ছেলে খসরাউ ১ এর সময়কার বলে ধারণা করা হয়, যিনি দারবান্দের দুর্গের নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন।[13]
সাসানীয় দুর্গের বর্তমানে কোন অস্তিত্ব নেই, বিখ্যাত দারবান্দ দুর্গ নামে যেটা আজ দাঁড়িয়ে আছে তার নির্মাণ ১২শ শতাব্দী থেকে শুরু করা হয়েছিল।[14] কেউ কেউ বলে যে কাস্পিয়ান সাগরের উচ্চতা পূর্বে বেশি ছিল এবং পানির স্তর হ্রাস পাওয়ার ফলে একটি আক্রমনের রাস্তার উদয় হওয়ায় দারবান্দকে সুরক্ষিত করতে হয়েছিল।[15] কাহিনিকার মোভসেস কাগানকাৎভাতসি লিখেছিলেন "বিস্ময়কর দেয়াল, যার নির্মাণে পারস্য রাজারা আমাদের দেশেকে নি:শেষিত করে ফেলেছিলেন, এবং স্থাপত্যবিদ নিয়োগ ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেছিলেন একটি বিরাট ইমারত নির্মাণের জন্য যা ককেশাস পর্বতমালা এবং গ্রেট ইস্টার্ন সাগরের মধ্যবর্তী স্থানে বিস্তৃত ছিল।" দারবান্দ সাসানীয় সাম্রাজ্যের একটি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটি এবং পোতাশ্রয় হয়ে ওঠে। ৫ম ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে,দারবান্দ এছাড়াও ককেশাসে খ্রিস্টান বিশ্বাসের প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
সেই সময়ে যখন সাসানীয়রা বাইজেন্টাইনদের সাথে যুদ্ধের কারণে অমনোযোগী ছিলো অথবা পূর্ব প্রদেশে হেফথালাইতেসদের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলো সেই সময়ে উত্তরের উপজাতিরা ককেশাস অঞ্চলে অগ্রসর হতে সফল হয়। দারবান্দে কাস্পিয়ান সাগরের কিনারা বরারা একটি মাটির ইটের প্রাচীর মাধ্যমে রাস্তা বন্ধ করার সাসানীয়দের প্রথম প্রচেষ্টা দ্বিতীয় ইয়াযদেগ্রেদ এর রাজত্বকাল (৪৩৮-৪৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সময়কার পুরানো।
মোভসেস কাগানকাৎভাতসি ৬২৭ সালে পশ্চিম তুর্কীয় খানাতের টং ইয়াবঘু এর একটি বড় দল দ্বারা দারবান্দের লুণ্ঠনের একটি স্পষ্ট বর্ণনা দিয়ে গেছেন। তার উত্তরসূরী,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বরি শাদ, টং ইয়াবঘুর বিজয়কে সুসংহত করতে অক্ষম হন, এবং পারস্যরা শহরটি পুনরুদ্ধার করেন, যারা মুসলিম আরব দ্বারা পারস্য বিজয়ের আগ পর্যন্ত এটিকে অবিচ্ছেদ্য শাসনক্ষেত্র হিসেবে রাখতে সক্ষম হন।
এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাসানীয় রাজত্বের সময়ে প্রাচীন ইরানীয় ভাষার অনেক উপদান দাগেস্তান ও দারবান্দের জনগনের দৈনন্দিন ভাষায় মিশে যায় যা আজও ব্যবহৃত হয়।[16] বস্তুতপক্ষে, কয়েক শতাব্দী জুড়ে দারবান্দ এবং সাধারণভাবে পূর্ব ককেশাস অঞ্চলে "পার্সিয়ানাইজেশন" একটি ইচ্ছাকৃত নীতি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা দেখা যায় বিশেষ করে খসরাউ ১ এর রাজত্বকাল থেকে শুরু করে সাফাভি রাজবংশের শাহ ইসমাইল ১ এবং আব্বাস দ্যা গ্রেট এর রাজত্বকাল পর্যন্ত। "দারবান্দ-নামা" অনুযায়ী, সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণের পর খসরাউ ১ “পারস্য থেকে অনেক লোক এখানে স্থানান্তরিত করেন”,[17] পারস্যের অভ্যন্তর থেকে প্রায় ৩,০০০ পরিবারকে দারবান্দ এবং এর পার্শ্ববর্তী গ্রামে স্থানান্তর করেন। স্পেনীয় আরব হামিদ মোহাম্মদ গারনাতি এই কথাটি সমর্থন করেছিলেন, যিনি ১১৩০ সালে উল্লেখ করেছিলেন যে দারবান্দ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী দ্বারা জনপূর্ণ করা হয়, যাদের মধ্যে বৃহৎ ফার্সি ভাষী জনসংখ্যা ছিলো।[18]
৬৫৪ সালে, তাদের পারস্যে আক্রমণের পর আরবরা দারবান্দ দখল করে, যাকে তারা দরজার দরজা (বাব আল-আবয়োআব) বলতো।[19] তারা এই শহরটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্রে রুপান্তরিত করে এবং এই এলাকায় ইসলামের প্রবর্তন করে। দারবান্দের প্রতিরক্ষা স্থাপনা সমূহের প্রাচীনত্ব তাদের উপর এমন ছাপ ফেলে যে অনেক আরব ঐতিহাসিকগণ খসরাউ ১ এর সাথে তাদের সংযোগসূত্র স্থাপন ও স্থাপনা সমূহকে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন। ককেশাস অঞ্চলের মধ্যে দারবান্দ দুর্গ অবশ্যই সবচেয়ে খ্যাতিমান সাসানীয় আত্মরক্ষামূলক স্থাপনা ছিল এবং একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা এটি নির্মিত হয়েছিল। সিল্ক রুটের উত্তরাঞ্চলের শাখায় এর কৌশলগত অবস্থানের কারণে, দুর্গটি আরব-খাজার যুদ্ধে খাজারদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হয়েছিল। আক্রমণকারীদের কাছ থেকে গিরিপথটি রক্ষা করার জন্য সাসানীয়রাও সিউনিক থেকে আর্মেনীয়দের এনেছিলেন; ৯ম শতাব্দীর শেষের দিকে আরব শাসন দুর্বল হবার ফলে, সেখানে বসবাসরত আর্মেনীয়রা তাদের একটি রাজ্য স্থাপন করতে পেরেছিলো, যা ১৩শ শতকের প্রথম দিক পর্যন্ত টিকে ছিলো।[20][21]
দারবান্দের বিপরীতে, কাস্পিয়ান সাগরের পূর্ব দিকে খননকার্যের ফলে গোর্গানের মহা প্রাচীরের সন্ধান পাওয় যায় যা ছিল দারবান্দের দুর্গ ও প্রাচীরের পূর্ব দিকের সহযোগী। সেখানে একই প্রকারের সাসানীয় আত্মরক্ষামূলক স্থাপনা —বৃহৎ দুর্গ, দুর্গ শহর, লম্বা দেয়াল- একইভাবে সমুদ্র থেকে পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত।
খলিফা হারুনুর রশিদ দারবান্দে বসবাস করতেন এবং এটিকে শিল্পকলা ও বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হিসেবে খ্যাতিমান করে তুলেন। আরব ঐতিহাসিকদের মতে,৯ম শতাব্দীতে দারবান্দ, যার জনসংখ্যা ছিলো ৫০,০০০ থেকেও বেশি, ককেশাসের সবচেয়ে বড় শহর ছিলো। ১০ম শতাব্দীতে, আরবদের খিলাফতের পতনের সঙ্গে, দারবান্দ একটি আমিরশাহীর রাজধানীতে পরিণত হয়। এই আমিরশাহী প্রায়ই পার্শ্ববর্তী খ্রিস্টান রাষ্ট্র সারির এর সঙ্গে হারানো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো, যার ফলে সারির দারবান্দের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো। তা স্বত্বেও, আমিরশাহী তার প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে অনেকদিন টিকে ছিল এবং ১২৩৯ সালের মোঙ্গল আক্রমণের সময়ে উন্নতিলাভ করেছিলো। ১৪শ শতাব্দীতে, তৈমুর লং এর সেনাবাহিনী দারবান্দ দখল করে।
শিরভানশাহ রাজবংশ একটি স্বাধীন বা সামন্ত রাষ্ট্র হিসেবে ৮৬১ থেকে ১৫৩৮ সাল পর্যন্ত টিকে ছিলো; মুসলিম বিশ্বের অন্য কোন রাজবংশের চেয়েও বেশি। তারা তাদের সাংস্কৃতিক সাফল্য এবং ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর জন্য বিখ্যাত ছিল. শিরভানের শাসকরা, যাদের শিরভানশাহ বলা হতো, অনেকবার দারবান্দ দখল করারা চেষ্টা করেছিলো এবং সফলও হয়েছেল এবং ১৮তম শিরভানশাহ রাজা আফ্রিদুন ১ কে শহরের শাসনকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তী শত শত বছরে শহরটি অনেকবার হাত বদল হয়েছে। ২১তম শিরভানশাহ রাজা, আখসিতান ১, শহরটি পুনঃদখল করেন। তারপরেও, শহরটি আবার উত্তর কিপচকদের কাছে হারিয়ে ফেলেন।
তৈমুরি আগ্রাসনের পর, ৩৩ম শিরভানশাহ ইব্রাহিম ১ অব শিরভান, শিরভানকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে রাখতে সক্ষম হন।ইব্রাহিম ১ শিরভানের ভাগ্যকে পুনর্জাগরিত করেন, এবং তার ধূর্ত রাজনীতির মাধ্যমে রাজস্ব পরিশোধ ছাড়া রাজ্য শাসন করতে থাকেন।উপরন্তু, ইব্রাহিম ব্যাপকভাবে তার রাজ্যের সীমা বৃদ্ধি করেন। তিনি ১৪৩৭ সালে দারবান্দ বিজয় করেন। শিরভানশাহরা দারবান্দকে তাদের রাজনৈতিক কাঠামোর সাথে এমন ভাবে অঙ্গীভূত করেন যে এই শহর থেকে শিরভান রাজবংশের একটি নতুন শাখা উৎপন্ন হয়, দারবান্দ রাজবংশ। দারবান্দ রাজবংশ, শিরভানের কনিষ্ঠ রাজবংশ, ১৫শ শতাব্দীতে উত্তরাধিকার সূত্রে শিরভানের সিংহাসন আহরণ করে।
১৬শ শতাব্দীর প্রথম দিকে সাফাভিদ রাজবংশের শাহ ইসমাইল শিরভান রাজ্য দখল করেন। শাহ ইসমাইল যেমন শিরভানের সকল সম্পত্তি অধিকার করেন, তেমনি তিনি দারবান্দকে উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন।
১৯ শতকের তখন পর্যন্ত দারবান্দ ইরানের শাসনাধীন ছিলো, মাঝে মাঝে অটোমান তুর্কিদের সংক্ষিপ্ত দখল ছাড়া যেমন ১৫৮৩ সালের টর্চের যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল সন্ধির পর, যখন রাশিয়া শহরটি এবং ইরান-শাসিত দাগেস্তানের ব্যাপক জমি দখল করে নেয়।[22][23][24][25][26][27][28]
সম্রাট মহান পিটারের ১৭২২-২৩ সালের পারস্য অভিযানের ফলে রাশিয়া কর্তৃক সংক্ষিপ দখলকৃত হওয়ার পরে, গাঞ্জা চুক্তির, যা রুশ সাম্রাজ্য এবং সাফাভি ইরান (কার্যত নাদের শাহ দ্বারা শাসিত) নিষ্পন্ন, দ্বারা রাশিয়া দারবান্দ এবং তার দুর্গকে ইরানকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। ১৭৪৭ সালে, দারবান্দ একই নামের দারবান্দ খানাতের রাজধানীতে পরিণত হয়।
১৭৯৬ সালের পারস্য অভিযানের সময়, দারবান্দ জেনারেল ভালেরিয়ান যুবোভ অধীনস্থ রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা প্রচণ্ড আক্রমণের শিকার হয়,কিন্তু রাশিয়ানরা তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়,[29] ফলে দারবান্দ আবার পারস্য শাসনে ফিরে যায়। রুশ-পারস্য যুদ্ধের (১৮০৪-১৮১৩) কারণে এবং ১৮১৩ সালের গুলিস্তান চুক্তির ফলে, কাজার রাজবংশ কর্তৃক দারবান্দ ও বৃহত্তর দাগেস্তান বাধ্যতামূলকভাবে এবং তৃতীয়বারের মত রুশ সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হয়।[30] পটভূমির জন্য দেখুন রাশিয়ার ককেশাস বিজয়#কাস্পিয়ান উপকূল।)
দাগেস্তান রাজ্যের ১৮৮৬ সালের জনসংখ্যা গণনায়, দারবান্দের ১৫,২৬৫ অধিবাসীর মধ্যে, ৮,৯৯৪ (৫৮.৯%) ছিলো ইরানি বংশোদ্ভূত (রুশ: персы) এইভাবে শহরের মধ্যে তাদের একটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিলো।[31]
আধুনিক শহরটি নির্মিত হয়েছিলো কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম তীরে, রুবাস নদীর দক্ষিণে, তাবাসারান পর্বতমালার ঢালে (বৃহত্তর ককেশাস পর্বতমালার অংশ)। দারবান্দের ভালো গনপরিবহন ব্যবস্থা আছে, সাথে আছে নিজস্ব পোতাশ্রয়, দক্ষিণে বাকুতে যাওয়ার জন্য রেল ব্যবস্থা, এবং বাকু থেকে রোস্তভ-অন-ডন যাওয়ার রাস্তা।
শহরের উত্তর দিকে আছে কির্ক-লার বা চল্লিশ বীরের স্মৃতিস্তম্ভ, যারা ৭২৮ সালে আরবদের বিরুদ্ধে দাগেস্তান রক্ষায় শহীদ হয়েছিলেন। দক্ষিণে আছে ককেশীয় দেয়ালের সমুদ্রাভিমুখ প্রান্তসীমা (৫০ মিটার লম্বা), অন্যথায় আলেকজান্ডারের দেয়াল নামেও পরিচিত, যা লৌহদ্বার বা কাস্পিয়ান দ্বারের (পোর্তে অ্যাথানে বা পোর্তে কাস্পিয়ে) সংকীর্ণ গিরিপথ অবরুদ্ধ করে রাখে। যখন অক্ষত ছিলো, দেয়ালটির উচ্চতা ছিলো ৯ মি.(২৯ ফুট) এবং পুরুত্ব ছিলো ৩ মি.(১০ ফুট) এবং এর লোহার দরজা ও অসংখ্য প্রহরা-টাওয়ার দ্বারা এটি পারস্য সীমান্ত রক্ষা করতো।
দারবান্দ-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ১৭.০ (৬২.৬) |
২৫.০ (৭৭.০) |
১৮.০ (৬৪.৪) |
২৪.০ (৭৫.২) |
৩১.০ (৮৭.৮) |
৪১.০ (১০৫.৮) |
৩৮.০ (১০০.৪) |
৪০.০ (১০৪.০) |
৩৪.০ (৯৩.২) |
২৭.০ (৮০.৬) |
২৩.৪ (৭৪.১) |
১৯.০ (৬৬.২) |
৪১.০ (১০৫.৮) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ৫.০ (৪১.০) |
৪.৩ (৩৯.৭) |
৭.৫ (৪৫.৫) |
১৩.২ (৫৫.৮) |
১৯.৪ (৬৬.৯) |
২৪.৬ (৭৬.৩) |
২৭.৯ (৮২.২) |
২৭.৫ (৮১.৫) |
২৩.৩ (৭৩.৯) |
১৬.৭ (৬২.১) |
১১.৬ (৫২.৯) |
৭.৭ (৪৫.৯) |
১৫.৭ (৬০.৩) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ২.৭ (৩৬.৯) |
২.০ (৩৫.৬) |
৫.০ (৪১.০) |
১০.২ (৫০.৪) |
১৬.১ (৬১.০) |
২১.৪ (৭০.৫) |
২৪.৭ (৭৬.৫) |
২৪.২ (৭৫.৬) |
২০.০ (৬৮.০) |
১৩.৮ (৫৬.৮) |
৯.২ (৪৮.৬) |
৫.৩ (৪১.৫) |
১২.৯ (৫৫.২) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ০.৬ (৩৩.১) |
−০.২ (৩১.৬) |
২.৮ (৩৭.০) |
৭.৪ (৪৫.৩) |
১২.৭ (৫৪.৯) |
১৭.৭ (৬৩.৯) |
২১.৩ (৭০.৩) |
২০.৭ (৬৯.৩) |
১৬.৬ (৬১.৯) |
১০.৯ (৫১.৬) |
৬.৭ (৪৪.১) |
৩.১ (৩৭.৬) |
১০.০ (৫০.১) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | −১৪.০ (৬.৮) |
−১০.৯ (১২.৪) |
−১৪.০ (৬.৮) |
০.১ (৩২.২) |
১.৯ (৩৫.৪) |
১০.০ (৫০.০) |
১২.৯ (৫৫.২) |
৯.০ (৪৮.২) |
৬.০ (৪২.৮) |
−১.০ (৩০.২) |
−৩.৯ (২৫.০) |
−১২.০ (১০.৪) |
−১৪.০ (৬.৮) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৩.১ (০.৫২) |
২১.২ (০.৮৩) |
১৯.৩ (০.৭৬) |
১২.০ (০.৪৭) |
১৬.০ (০.৬৩) |
১৭.৪ (০.৬৯) |
৩৩.৭ (১.৩৩) |
১৬.২ (০.৬৪) |
২৬.০ (১.০২) |
৩৪.৩ (১.৩৫) |
১৭.৯ (০.৭০) |
২৯.৪ (১.১৬) |
২৫৬.৫ (১০.১) |
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় | ১৫.৩ | ১৫.৩ | ১০.২ | ৭.৬ | ৫.৮ | ২.৮ | ২.৯ | ৬.৬ | ৭.৭ | ১০.১ | ১০.৬ | ১০.০ | ১০৪.৯ |
উৎস: climatebase.ru[32] |
প্রশাসনিক বিভাগের কাঠামোর মধ্যে, দারবান্দস্কি জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে দারবান্দ কাজ করে, যদিও শহরটি এই জেলার অংশ নয়।[1] প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে, শহরটিকে দারবান্দ শহর হিসেবে আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়—একটি প্রশাসনিক ভাগ যা একটি জেলার সমান মর্যাদাপূর্ণ। একটি পৌর বিভাগ হিসেবে, দারবান্দ শহরটি দারবান্দ নগর এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়.[4]
প্রধান প্রধান জাতিগোষ্ঠী সমূহ (২০০২ আদমশুমারি):[33][34]
ইহুদীরা প্রাচীন কাল হতেই দারবান্দে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। খাজারের আমলে, তারা শহরের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো।[35] ইহুদি পর্যটক বেঞ্জামিন অব টুডেলা উল্লেখ করেছিলেন যে ১২শ শতাব্দীতে দারবান্দে ইহুদীদের বসবাস ছিলো, এবং খ্রিষ্টান পর্যটক উয়িলহেম অব রুব্রুকিস দারবান্দের ইহুদি সম্প্রদায় সম্পর্কে লিখে গিয়েছিলেন। আধুনিক যুগে দারবান্দের ইহুদীদের সম্পর্কে প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় একজন জার্মান পর্যটক, অ্যাডাম অলেরিয়াস, দ্বারা ১৭শ শতাব্দীতে।
দারবান্দের ইহুদীরা ১৮শ শতকের যুদ্ধে নির্যাতিত হয়েছিলো। পারস্যের নাদীর শাহ অনেক ইহুদীকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করেন। রাশিয়ার দখলের পর, দাগেস্তানের গ্রামঞ্চলের অনেক ইহুদী দারবান্দ শহরে পালিয়ে আসে, যা মাউন্টেন ইহুদীদের আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। ইহুদী জনসংখ্যা ছিলো: ১৮৯৭ সালে ২,২০০ (জনসংখ্যার ১৫%) এবং ১৯০৩ সালে ৩,৫০০। ১৯৮৯ সালে, শহরে ১৩,০০০ এর মত ইহুদী ছিলো, কিন্তু অধিকাংশ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর অভিবাসী হিসেবে চলে গিয়েছিলো। ২০০২ সালে, সেখানে একটি সায়নাগোগ (ইহুদি ধর্মস্থান) এবং কমিউনিটি সেন্টার সহ ২,০০০ ইহুদী ছিলো।[36] দারবান্দের প্রধান রাব্বি (ইহুদী যাজক), ওবাদিয়া ইসাকভ, ২০১৩ এর ২৫ জুলাই একটি হত্যা প্রচেষ্টায় মারান্তক আহত হয়েছিলেন, ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে আরও ইহুদিবিদ্বেষ কাজের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিলো।[37] ২০১৬ সালে, ইহুদী জনসংখ্যা কমে ১,৩৪৫ এ দাঁড়িয়েছে।[38]
এই শহরের প্রধান অর্থনীতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে যন্ত্র নির্মাণ, খাদ্য, বস্ত্র, মাছধরা ও মৎস্য সরবরাহ, নির্মাণ সামগ্রী ও কাঠের শিল্প। এটা রাশিয়ান ব্র্যান্ডি উৎপাদন কেন্দ্র। শিক্ষা পরিকাঠামোোয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরী স্কুল অন্তর্ভুক্ত। সংস্কৃতিক দিকে, সেখানে একটি লেজগিন নাটকের নাট্যশালা (এস. স্টালস্কির নামে নামকরণ) আছে। শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার (১.২ মাইল) ছায়াকা (সীগাল) নামে একটি অবকাশ কলোনি আছে।
সোভিয়েত ঔপন্যাসিক ইউরি ক্রাইমভ তার "দ্যা ট্যাঙ্কার দারবান্দ" নামক বইয়ে দারবান্দ শহরের নামে একটি কাল্পনিক মোটর ট্যাঙ্কারের নাম রেখেছিলেন।
দারবান্দ একটি বিশাল যাদুঘরের মতো এবং এর কছাকাছি বিস্তীর্ণ পর্বত ও উপকূল রয়েছে, এবং পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০০৩ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক কেল্লা, পুরানো শহর এবং দুর্গটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করায় আরও বেড়ে গেছে; কিন্তু, এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে।
বর্তমান দুর্গ ও দেয়ালটি উত্তরের যাযাবর গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক কাঠামো হিসাবে পারস্য সাসানীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, এবং ১৯ শতকের গোড়ার দিকে পর্যন্ত, যতদিন এর সামরিক প্রাসঙ্গিকতা ছিলো, এটিকে আরব, মঙ্গোল, তইমুরিদ, শিরভান, এবং ইরানীয়রা ক্রমাগত মেরামত ও উন্নত করেছিলো। সাসানীউ সম্রাট খসরাউ (চোস্রোয়েস) ১ এর নির্দেশনায় দুর্গটির নির্মাণ করা হয়েছিলো।
দেয়াল এবং এর বিভিন্ন প্রহরা-টাওয়ারগুলোর এক বিরাট অংশ এখনও দৃঢ় আকৃতিতে রয়েছে। দেয়ালটি, যা সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছেছে, ৬ষ্ঠ শতাব্দী অর্থাৎ সাসানীয় আমল পর্যন্ত পুরানো। শহরটির একটি ভালোভাবে সংরক্ষিত কেল্লা রয়েছে (নারিন-কালা), যা শক্ত দেয়াল দ্বারা ৪.৫ হেক্টর (১১ একর) এলাকা পরিবেষ্টিত করেছে। ঐতিহাসিক আকর্ষণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত স্নানঘর, কূপ, পুরাতন কবরস্থান, সরাইখানা, ১৮ শতকের খানের সমাধি, সেইসাথে বিভিন্ন মসজিদ। সবচেয়ে পুরানো মসজিদ হচ্ছে জুমা মসজিদ, যা ৬ষ্ঠ শতাব্দীর বৃহৎ খ্রিষ্টান গির্জার উপর নির্মাণ কর হয়েছে; এটির একটি ১৫শ শতব্দির মাদ্রাসা রয়েছে। অন্যান্য মসজিদ সমূহের মধ্যে আছে ১৭শ শতকের কিরহ্লার মসজিদ, বালা মসজিদ এবং ১৮ শতকের চেরতেবে মসজিদ।
দারবান্দের জমজ শহরগুলো হচ্ছে:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.