শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
তেলাপিয়া
মাছের প্রজাতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
তেলাপিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Oreochromis mossambicus) একটি মাঝারি আকারের মাছ। মাছটিকে ইংরেজিতে Mozambique tilapia বলে। দেহ চ্যাপ্টা। মাছটি ডিম পাড়ার পর নিজের মুখে রেখে দেয় বাচ্চা ফোটাবার জন্য। শরীর আশযুক্ত।
Remove ads
Remove ads
শ্রেনীবিন্যাস
তেলাপিয়া Cichlidae পরিবার (family) এর অন্তর্গত। এই পরিবারের মাছেরা সাধারণত ডিম পেড়ে মুখে রেখে বাচ্চা ফোটায়।ভারতে এই মাছ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানী করা হয়েছে।
বাসস্থান
এটি মিঠা পানির/জলের মাছ। সাধারণত খাল এবং বিলে পাওয়া যায়। তবে পুকুরেও সহজেই চাষ করা যায়।
চাষ পদ্ধতি

মাছ এর চাষ পদ্ধতি খুব সহজ।কার্প মাছের সাথে এ মাছ চাষ করা যায়। তবে অধিক ফলনের জন্য বর্তমানে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে কিছু নতুন কোম্পানী হয়েছে যারা মাছের খাবার উৎপন্ন করেন। এসব খাবার বা মৎস ফিড দিয়ে এ মাছ চাষ করলে চার মাসে মাছের ওজন ৫০০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এতে নিয়মিত খাবার প্রয়োগ ও চিকিৎসক দ্বারা মাছের যত্ন নিতে হয়। তেলাপিয়া গোত্রের নতুন সংযোজন মনোসেক্স যা অধিক ফলনশীল।এছাড়াও বায়োফ্লকে চাষ করার জন্য তেলাপিয়া মাছ উপযুক্ত। হেক্টর প্রতি উৎপাদন ২৫-৩০ টন।

মনোসেক্স তেলাপিয়া
তেলাপিয়া চাষের বড় বাঁধা হচ্ছে এর অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তার।অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তারের ফলে পুকুরে বিভিন্ন আকারের তেলাপিয়া মাছ দেখা যায়।এতে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।প্রকৃতিগতভাবেই পুরুষ তেলাপিয়ার দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়।এই ধারণাকে কাজে লাগিয়েই শুধুমাত্র পুরুষ তেলাপিয়া মাছ চাষকেই মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ বলে।
বাজার চাহিদা
তেলাপিয়া বর্তমানে বাংলাদেশের মৎস্য চাষে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে।বর্তমানে পৃথিবীব্যাপি তেলাপিয়া মাছের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে।এছাড়া আমাদের দেশের প্রকৃতি ও আবহাওয়া তেলাপিয়া মাছের চাষের জন্য উপযোগী।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকায় এই প্রজাতিটি অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি বিদেশী মাছের তালিকায়। ১৯৫৪ সালে মশা ও ম্যালেরিয়া দমনের জন্য এ মাছ আমদানি করা হয়।[২]
চিত্রশালা
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads