তিরুনেলবেলি
ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
তিরুনেলবেলি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি অন্যতম প্রধান শহর। এটি তিরুনেলবেলি জেলার সদরদপ্তর। এটি রাজ্যের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম সিটি করপোরেশন। তিরুনেলবেলি চেন্নাই থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, থোদুকুটি থেকে ৫৮ কিলোমিটার ও কন্যাকুমারী থেকে ৭৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
তিরুনেলবেলি নেল্লাই, তিন্নেভেলি | |
---|---|
মহানগর | |
ডাকনাম: দক্ষিণ ভারতের অক্সফোর্ড | |
স্থানাঙ্ক: ৮°৪৩′৪১.৮২″ উত্তর ৭৭°৪১′৪৩.৯৪″ পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
অঞ্চল | পাণ্ডে নাড়ু |
জেলা | তিরুনেলবেলি জেলা |
সরকার | |
• ধরন | মিউনিসিপাল কর্পোরেশন |
• শাসক | তিরুনেলবেলি সিটি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন |
• মেয়র | "শুন্য" |
আয়তন | |
• মহানগর | ১৮৯.৯ বর্গকিমি (৭৩.৩ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৫ |
উচ্চতা | ৪৭ মিটার (১৫৪ ফুট) |
জনসংখ্যা [১] | |
• মহানগর | ৯,৬৮,৯৮৪. population_as_of = ২,০১১ |
• জনঘনত্ব | ৪,৩৭০/বর্গকিমি (১১,৩০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৪,৯৭,৮২৬ |
ভাষা | |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | 627xxx |
টেলিফোন কোড | 91 (0)462, (0)4633 |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-72 |
ওয়েবসাইট | http://www.tirunelvelicorporation.in/ |
তিরুনেলবেলি একটি ঐতিহাসিক শহর, যা প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে স্থাপিত হয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলটি থামিরাবারানি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত, পূর্ব তীরে এই শহরেরই আরেক অংশ পালায়ামকোট্টাই অবস্থিত, যা তিরুনেলবেলি সিটি কর্পোরেশনের অংশ। এটি অনেক বিদ্যালয় ও সরকারি দপ্তরের প্রধান কার্যালয়।
ইতিহাস
তিরুনেবেলির ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছিলেন রবার্ট কাল্ডওয়েল (১৮১৪-৯১), একজন খ্রিস্টান মিশনারী যিনি এই অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিলেন।[২] তিরুনেলভেলি পাণ্ড্য রাজাদের তাদের দ্বিতীয় রাজধানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল; মাদুরাই ছিল তাদের সাম্রাজ্যের প্রধান রাজধানী।[৩]
ভূগোল
কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী তিরুনেলবেলির আবহাওয়া শুষ্ক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ক্রান্তীয় সেভেনা প্রকৃতির। এ ধরনের জলবায়ু বিশ্বজুড়ে অনিয়মিতভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও ল্যাক্যাডেভ সাগরের নিকটবর্তী অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে সাধারণ।
তিরুনেলবেলি ৮°২৩'৪১" উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৭°৪১'৪৩" দক্ষিণ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।[৪] সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৪৭ মিটার (১৫৪ ফুট)।
জনসংখ্যা
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুযায়ী তিরুনেলবেলি শহরের মোট জনসংখ্যা ছিল ৪৭৩,৬৩৭ জন। লিঙ্গ অনুপাত ছিল প্রতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে ১০২৭ জন নারী, যেখানে ভারতের জাতীয় গড় অনুপাত ৯২৯ জন।[৫] ৬ বছরের নিচের জনসংখ্যা ৪৫৬২৪ জন, এর মধ্যে ২৩,৮৯৩ জন পুরুষ এবং ২২,৭৩০ জন মহিলা। তফসিলি জাতি ও উপজাতি যথাক্রমে ১৩.১৭% ও ০.৩২% শতাংশ। তিরুনেলবেলির স্বাক্ষরতার হার ৮১.৪৯%, যেখানে ভারতের জাতীয় স্বাক্ষরতার হার ৭২.৯৯% শতাংশ। এখানে ১২০,৪৬৬টি পরিবার বসবাস করে।[৬]
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী তিরুনেলবেলির মোট জনসংখ্যার ৬৯.০% হিন্দু, ২০.২% মুসলমান, ১০.৫৯% খ্রিস্টান, ০.০১% শিখ, ০.০১% বৌদ্ধ, ০.০১% জৈন এবং ০.৩৫% অন্যান্য ধর্মের লোক বসবাস করে।[৭]
প্রশাসন
তিরুনেলবেলি পৌরসভা ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে পালয়ামকটাই এবং মেলপালয়াম পৌরসভা, দ্য স্ট্যাচলন টাউন পঞ্চায়েত এবং আরও এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তিরুনেলবেলি পৌর করপোরেশন গঠিত হয়েছিল। পৌর কর্পোরেশনের পাঁচটি অঞ্চল রয়েছে: তিরুনেলবেলি, তীব্র্লাল্লাল, পালয়ামকটাই, পেটিয়াই এবং মেলপালায়াম। কর্পোরেশনের ৫৫ ওয়ার্ড রয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন নির্বাচিত কাউন্সিলর থাকেন।
শিক্ষা
১৭৯০-এর দশকে তামিল খ্রিস্টান মিশনারিরা তিরুনেবেলিতে বেশ কয়েকটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিল। মিশনারি শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে প্রাথমিক ও বোর্ডিং স্কুল, সেমিনার, শিল্প স্কুল, অনাথ এবং কলেজ অন্তর্ভুক্ত। ১৮২১ সালে মেয়েদের জন্য প্রথম বোর্ডিং স্কুল খোলা হয়েছিল, কিন্তু তাতে খ্রিস্টান শিক্ষার উপর জোর প্রচেষ্টার ছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থমাস মুনো (১৭৬১-১৮২৭) দুই সারির স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন: জেলা স্কুল, যেগুলোতে আইন শিক্ষা দেওয়া হত এবং উপজেলা স্কুল, যেগুলোতে মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির স্থানীয় ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হত।
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.