ডিকি ফুলার
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রিচার্ড লিভিংস্টন ডিকি ফুলার (ইংরেজি: Dickie Fuller; জন্ম: ৩০ জানুয়ারি, ১৯১৩ - মৃত্যু: ৩ মে, ১৯৮৭) সেন্ট অ্যানের সেন্ট অ্যান্স বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জ্যামাইকীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
![]() আনুমানিক ১৯৩৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডিকি ফুলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রিচার্ড লিভিংস্টন ফুলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট অ্যান্স বে, সেন্ট অ্যান, জ্যামাইকা | ৩০ জানুয়ারি ১৯১৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩ মে ১৯৮৭ ৭৪) কিংস্টন, জ্যামাইকা | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | হিউ ফুলার (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৪৩) | ১৪ মার্চ ১৯৩৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৪/৩৫ - ১৯৪৬/৪৭ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ মে, ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ডিকি ফুলার।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৩৪-৩৫ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত ডিকি ফুলারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বেশ মোটাসোটা গড়নের অল-রাউন্ডার ছিলেন। নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সোজা ভঙ্গীমায় ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন।
মার্চ, ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ড দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করতে আসে। সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে জ্যামাইকার সদস্যরূপে দুই খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম খেলায় জ্যামাইকার সর্বাপেক্ষা সফলতম বোলারে পরিণত হন তিনি। চার উইকেট পান ও দ্বিতীয় খেলায় আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১১৩ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ১৩০ মিনিটে শতরান স্পর্শ করেন। এর অল্প কয়েকদিন বাদে জ্যামাইকার কিংস্টনে অনুষ্ঠিত টেস্টে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিশ্বযুদ্ধ পূর্বকালে আরও একবার খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে সফররত ইয়র্কশায়ার দলের বিপক্ষে খেলেন। এক দশকেরও অধিক সময় পর চারটি খেলায় অংশ নেন। অংশগ্রহণকৃত আটটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সবকটিই কিংস্টনে খেলেছিলেন ডিকি ফুলার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডিকি ফুলার। ১৪ মার্চ, ১৯৩৫ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[১] এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
সাবিনা পার্কে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইনিংস ব্যবধানে জয়লাভ করলেও তার ভূমিকা ছিল খুবই নগণ্য।[২] ২০ বছর ও ৯ দিন বয়সী ফুলারের টেস্ট অভিষেক পর্বটি মোটেই সুখকর ছিল না। মাত্র ১ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন ও বল হাতে আট ওভার বোলিং করে কোন উইকেটের সন্ধান পাননি।
অবসর
১৯৫০-এর দশকের শুরুতে ইংল্যান্ডের লীগ ক্রিকেটে অংশ নেন। ডারমাহ লীগে সিহাম হার্বারের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।[৩] ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর জ্যামাইকার গভর্নমেন্ট স্পোর্ট কোচ হিসেবে ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৮ সময় পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।[৪]
৩ মে, ১৯৮৭ তারিখে ৭৪ বছর বয়সে জ্যামাইকার কিংস্টন এলাকায় ডিকি ফুলারের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.