শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

ডরিস ডে

মার্কিন অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

ডরিস ডে
Remove ads

ডরিস ডে (ইংরেজি: Doris Day; জন্ম: ডরিস ম্যারি অ্যান ক্যাপেলহফ, ৩ এপ্রিল ১৯২২ - ১৩ মে ২০১৯)[][] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা, ও প্রাণি-কল্যাণকর্মী। ১৯৩৯ সালে বিগ ব্যান্ডের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পর তার প্রথম রেকর্ডিং "সেন্টিমেন্টাল জার্নি" (১৯৪৫) তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাইয়ে দেয়। একক কর্মজীবন শুরুর লক্ষ্যে লে ব্রাউন অ্যান্ড হিজ ব্যান্ড অব রিনাউন ত্যাগ করার পর তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে ৬৫০-এর অধিক গানের রেকর্ড করেন, যা তাকে ২০শ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় ও সমাদৃত সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।[]

দ্রুত তথ্য ডরিস ডে, জন্ম ...
Remove ads

ডরিস ধ্রুপদী হলিউড যুগের শেষভাগে রোম্যান্স অন দ্য হাই সিজ (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তার চলচ্চিত্র অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি সঙ্গীতধর্মী, হাস্যরসাত্মক ও নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ক্যালামিটি জেন (১৯৫৩) চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় এবং অ্যালফ্রেড হিচককের দ্য ম্যান হু ন্যু টু মাচ (১৯৫৬) চলচ্চিত্রে জেমস স্টুয়ার্টের বিপরীতে অভিনয় করনে। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে প্রধান নারী তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রক হাডসনের বিপরীতে পিলো টক ( ১৯৫৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি মিডনাইট লেস চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা নাট্য অভিনেত্রী এবং টানেল অব লাভ (১৯৫৮), পিলো টক (১৯৫৯), বিলি রোজ্‌স জাম্বু (১৯৬২) ও মুভ অভার, ডার্লিং (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি পাঁচটি গোল্ডেন গ্লোব হেনরিয়েতা পুরস্কারের মনোনয়ন থেকে তিনটি পুরস্কার অর্জন করেন এবং ১৯৮৯ সালে গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৪ সালে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশের নিকট থেকে প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম লাভ করেন। ২০১১ সালে তিনি তার ২৯তম স্টুডিও অ্যালবাম মাই হার্ট প্রকাশ করেন, যা যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ১০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। একই বছর তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। বক্স অফিসে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয়কারী তারকা তালিকায় ২০১২ সালে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন।[]

Remove ads

প্রারম্ভিক জীবন

ডরিস ম্যারি অ্যান ক্যাপেলহফ ১৯২২ সালের ৩রা এপ্রিল ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[] তার পিতা উইলিয়াম জোসেফ ক্যাপেলহফ (১৮৯২-১৯৬৭) ছিলেন একজন সঙ্গীতের শিক্ষক ও দলীয় সঙ্গীত নির্দেশক এবং মাতা আলমা সোফিয়া (জন্ম: ওয়েলজ, ১৮৯৫-১৯৭৬) ছিলেন একজন গৃহিণী।[][] তার পিতামহ ও মাতামহ জার্মান অভিবাসী ছিলেন।[] ডে তার জীবনের অনেকটা সময় জানতেন যে তিনি ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, তার ৯৫তম জন্মদিনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস তার জন্মসদন খুঁজে পায়, যাতে তার জন্ম তারিখ ১৯২২ দেওয়া ছিল।[]

ডরিস তিন ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার দুই বড় ভাই ছিল, তাদের মধ্যে রিচার্ড তার জন্মের আগেই মারা যান এবং পল তার দুই/তিন বছরের বড়। তার পিতার সর্বজনজ্ঞাত ব্যভিচারের কারণে তার পিতামাতা আলাদা হয়ে যান।[] ডরিস শৈশবে নৃত্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে জেরি ডোহার্টির সাথে নৃত্যজুটি গঠন করে সিনসিনাটি শহরে নৃত্য পরিবেশন করতেন।[১০] ১৯৩৭ সালের ১৩ই অক্টোবর এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি ডান পায়ে আঘাত পান, যা তার পেশাদার নৃত্যশিল্পী হতে বাধার সৃষ্টি করে।[১১][১২]

Remove ads

ব্যক্তিগত জীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

বিবাহ

ডরিস ডে চারবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১৩] তিনি ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে আল জর্ডানকে বিয়ে করেন। জর্ডান একজন ট্রম্বোনিস্ট, যার সাথে ডে'র প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল বার্নি র‍্যাপ্‌স ব্যান্ডে কাজ করার সময়। ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।[১৪] এই বিয়ের ফলে তার একমাত্র সন্তান টেরেন্স পল জর্ডান (পরবর্তী কালে টেরি মেলচার নামে পরিচিত) জন্মগ্রহণ করে, যে ২০০৪ সালে মারা যায়। তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল স্যাক্সোফোনবাদক জর্জ উইলিয়াম ওয়েডলারের সাথে। তিনি ছিলেন অভিনেত্রী ভার্জিনিয়া ওয়েডলারের ভাই। এই বিয়ে ১৯৪৬ সালের ৩০ই মার্চ থেকে ১৯৪৯ সালের ৩১শে মে পর্যন্ত ঠিকেছিল।[১৪]

১৯৫১ সালের ৩রা এপ্রিল তার ২৯তম জন্মদিনে তিনি মার্টিন মেলচারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬৮ সালের এপ্রিলে মেলচারের মৃত্যু পর্যন্ত এই বিয়ে ঠিকেছিল। মেলচার তার পুত্র টেরিকে দত্তক নেন এবং তাকে টেরি মেলচার হিসেবে লালন পালন করেন। টেরি একজন সফল সঙ্গীতজ্ঞ ও রেকর্ড প্রযোজক ছিলেন।[১৫] মার্টিন ডে'র অসংখ্য চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।

ডে ১৯৭৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ব্যারি কমডেনের (১৯৩৫-২০০৯) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১৬] কমডেন ডে'র একটি প্রিয় রেস্তোরাঁর প্রধান পরিবেশক ছিলেন। ১৯৮২ সালের ২রা এপ্রিল তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এই বিচ্ছেদের পর কমডেন অভিযোগ করেন যে ডে তার থেকেও তার "প্রাণী বন্ধুদের" বেশি যত্ন করতেন।[১৬]

মৃত্যু

ডে ২০১৯ সালের ১৩ই মে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার কারমেল ভ্যালিতে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।[১৭] ডরিস ডে অ্যানিম্যাল ফাউন্ডেশন তার মৃত্যুর বিষয়টি ঘোষণা দেয়। ফাউন্ডেশন আরও ঘোষণা দেয় যে ডে'র অনুরোধ অনুসারে কোন প্রকার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান, সমাধি বা অন্য গণস্মারক না করা হয়।[১৮][১৯][২০]

Remove ads

চলচ্চিত্রের তালিকা

আরও তথ্য বছর, শিরোনাম ...

ডিস্কের তালিকা

  • ইউ আর মাই থ্রিল (১৯৪৯)
  • ডে ড্রিমস (১৯৫৫)
  • ডে বাই ডে (১৯৫৬)
  • ডে বাই নাইট (১৯৫৭)
  • হুরে ফর হলিউড (১৯৫৮)
  • কাটিন' ক্যাপার্স (১৯৫৯)
  • হোয়াট এভরি গার্ল শুড নো (১৯৬০)
  • শো টাইম (১৯৬০)
  • লিসেন টু ডে (১৯৬০)
  • ব্রাইট অ্যান্ড শাইনি (১৯৬১)
  • আই হ্যাভ ড্রিমড (১৯৬১)
  • ডুয়েট (আন্দ্রে প্রেভিনের সাথে) (১৯৬২)
  • ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন (১৯৬২)
  • লাভ হিম (১৯৬৩)
  • দ্য ডরিস ডে ক্রিসমাস অ্যালবাম (১৯৬৪)
  • উইথ আ স্মাইল অ্যান্ড আ সং (১৯৬৪)
  • ল্যাটিন ফর লাভার্স (১৯৬৫)
  • ডরিস ডেস সেন্টিমেন্টাল জার্নি (১৯৬৫)
  • দ্য লাভ অ্যালবাম (রেকর্ডকৃত ১৯৬৭, প্রকাশিত ১৯৯৪)
  • মাই হার্ট (২০১১)
Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading content...

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads