আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতিতে, টেসলা (প্রতীক: T) হলো চৌম্বক আবেশনের (চৌম্বক প্রবাহ ঘনত্ব সহ) নিষ্পন্ন একক

দ্রুত তথ্য
টেসলা
একক পদ্ধতি এস.আই. নিষ্পন্ন একক
যে রাশির একক চৌম্বকীয় প্রবাহ ঘনত্ব
প্রতীক T
নামকরণ নিকোলা টেসলার নামে
এস.আই. ভৌত একক kgs−2A−1
বন্ধ
Thumb
টেসলা একক পদ্ধতি এস.আই. নিষ্পন্ন একক এর একক চৌম্বকীয় প্রবাহ ঘনত্ব প্রতীক T নামকরণ নিকোলা টেসলার নামে এস.আই. ভৌত একক kg⋅s−2⋅A−1 এক টেসলা সমান প্রতি বর্গমিটার বর্গমিটারে এক ওয়েবার। একজন স্লোভেনীয় তড়িত প্রকৌশলী ফ্রান্স অ্যাভসিনের প্রস্তাবে নিকোলা টেসলার সম্মানে এককটিকে ১৯৬০ সালের ওজন ও পরিমাপের সাধারণ সম্মেলনে টেসলার নামে ঘোষণা করা হয়।

এক টেসলা সমান প্রতি বর্গমিটার বর্গমিটারে এক ওয়েবার[1] একজন স্লোভেনীয় তড়িত প্রকৌশলী ফ্রান্স অ্যাভসিনের প্রস্তাবে নিকোলা টেসলার সম্মানে এককটিকে ১৯৬০ সালের ওজন ও পরিমাপের সাধারণ সম্মেলনে টেসলার নামে ঘোষণা করা হয়।

পৃথিবীতে স্থায়ী চৌম্বক থেকে প্রত্যক্ষ করা সবচেয়ে শক্তশালী চৌম্বক ক্ষেত্র পাওয়া যায় হলবিচ বলয়ে যার মান ৪.৫ টেসলা পর্যন্ত হতে পারে। লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির ন্যাশনাল হাই ম্যাগনেটিক ফিল্ড ল্যাবরেটরি বিদ্যায়তনে বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া সবথেকে শক্তিশালী টেকসই স্পন্দিত চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী করেন, পৃথিবীর প্রথম ১০০ টেসলার অ-বিধ্বংসী চৌম্বক ক্ষেত্র।[2] ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তড়িচ্চুম্বকীয় প্রবাহ-সঙ্কোচনের প্রক্রিয়া ব্যবহার করে ১২০০ T এর একটি ক্ষেত্র তৈরী করেন যা ১০০ মাইক্রোসেকেন্ডের ক্রমে টিকে ছিল। [3]

সংজ্ঞা

লোরেন্‌ৎস বলের সূত্রানুযায়ী, এক টেসলার একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের মাঝে উলম্বভাবে প্রতি সেকেন্ডে এক মিটার বেগে ধাবমান একটি এক কুলম্ব আধান সম্পন্ন কণা বিস্তৃতি সহ এক নিউটন বল অনুভব করে। এস.আই. নিষ্পন্ন একক হিসেবে, টেসলাকে এভাবেও প্রকাশ করা যায়:

(শেষ রাশি পর্যন্ত এস.আই. ভৌত এককে)[4]

ব্যবহৃত একক সমূহ:

A = অ্যাম্পিয়ার
C = কুলম্ব
kg = কিলোগ্রাম
m = মিটার
N = নিউটন
s = সেকেন্ড
H = হেনরী
V = ভোল্ট
J = জুল
Wb = ওয়েবার

তড়িৎ ক্ষেত্র বনাম চৌম্বক ক্ষেত্র

লোরেন্‌ৎস বলের উৎপত্তির দিক থেকে, তড়িৎ ক্ষেত্র এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের মাঝে পার্থক্য হলো, সাধারণত চৌম্বক ক্ষেত্রে একটি আহিত বস্তুর ওপত প্রযুক্ত বলের কারণ আহিত বস্তুটির আন্দোলন যেখানে তড়িৎ ক্ষেত্রে আহিত বস্তুর আন্দোলনের কারণে বলের প্রয়োগ হয় না।[5] ইহা উভয়ের এককের দিকে লক্ষ্য দিয়ে উপলব্ধি করা যেতে পারে। এম.কে.এস. একক পদ্ধতিতে তড়িৎ ক্ষেত্রের একক হলো, নিউট্রন প্রতি কুলম্ব, N/C, যেখানে তড়িৎ ক্ষেত্রকে (টেসলায়) লেখা যেতে পারে, N/(C·m/s)। উভয় প্রকার ক্ষেত্রের মাঝে বিভাজক গুণক হলো, মিটার প্রতি সেকেন্ড (m/s), যা হলো বেগ। এই সম্পর্ক দেখায় যে একটি স্থিতিশীল তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রকে কেবল চৌম্বকীয় বা বৈদ্যুতিক অথবা এদের উভয়ের সমাহার হিসেবে দেখা গেলেও, তা আসলে প্রসঙ্গ কাঠামো-এর ওপর নির্ভর করে (যা হলো, একটির বেগ ক্ষেত্রটির সাপেক্ষে আপেক্ষিক)।[6][7]

ফেরোচৌম্বকে, আন্দোলন যা চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী করে তা হলো ইলেক্ট্রনের স্পিন (এবং কিছুটা কাক্ষিক কৌনিক ভরবেগ)।[8] তড়িৎ বাহী তারে (বৈদ্যুতিক চুম্বক) আন্দোলনটি হয় তারের মাঝদিয়ে ইলেক্ট্রনের পরিবহনের কারণে (তারটি সোজা বা প্যাঁচানো যাই হোক না কেন)।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.